Daffodil International University
Health Tips => Food and Nutrition Science => Topic started by: Sahadat on March 09, 2015, 05:20:31 PM
-
গ্রীষ্মকালীণ অতি সাধারণ একটি ফল বেল। কারো কাছে বেল খুবই পছন্দের। বাজারে এখন সুলভমূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেল পাওয়া যাচ্ছে। বেলের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ফলের চেয়ে অত্যন্ত বেশি। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও লৌহ উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে ৬২.৫% পানি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ৩১.৮ গ্রাম শ্বেতসার, ০.৩৯ স্নেহ, ৮৭ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, ০.১৩ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১.১৯ মিলিগ্রাম রিবোফ্ল্যাবিন এবং ১.১ মিলিগ্রাম লৌহ আছে। বেল খেলে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় এসব উপাদানের চাহিদা পূরন ছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।
* বেলের শরবত খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা থাকলে তা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
* প্রতিদিন বেলের শরবত পান করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
* কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগের এবং পাকা বেল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ।
* পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হেমোরয়েড (মলদ্বারের রোগ) রোগীদের জন্য বেল খুবই উপকারী ফল।
* বেলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
* বেলে খাদ্যআঁশের পরিমাণও অনেক বেশি। খাদ্যআঁশ যুক্ত ফল হজমশক্তি বাড়িয়ে গ্যাস-অ্যাসিডিটির পরিমাণ কমায়। ত্বককে মসৃণ রাখতেও সাহায্য করে ভীষণভাবে।
* বেলের ভিটামিন ‘এ’ চোখের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোতে পুষ্টি জোগায়।
* যারা নিয়মিত বেল খান, তাদের কোলন ক্যান্সার, গ্লুকোমা, জেরোসিস, জেরোপথ্যালমিয়া (চোখের অসুখ) হওয়ার প্রবণতা থাকে তুলনামূলকভাবে কম।