Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on March 10, 2015, 01:32:48 PM

Title: জন্ম জীবনের দায়মুক্তির উপায় কি ?
Post by: Mohammad Nazrul Islam on March 10, 2015, 01:32:48 PM
দায়মুক্তিতেই জীবনের স্বার্থকতা। বস্তুবাদী পৃথিবীতে সৃষ্টির দায়মুক্তি পরমার্থীকতায়। আর মানবের দায়মুক্তি সৃষ্টি জগতের কল্যাণে। তাই সনাতন ধর্মে বলা হয়-‘সর্ব মঙ্গল; মঙ্গলও শিবে--।

সার্বজনীন সত্য যে, জন্মের কারণ ও বিনাশ সৃষ্টিকূলকে সার্বক্ষনীক ভাবায় । অথচ এই ভাবনার উৎস সৃষ্টকূ’লের অজানা। এর বৈজ্ঞানিক বাখ্যা অনুমান নির্ভর। আবার ধর্মীয় বাখ্যা আত্ম-তৃপ্তির অন্বেষা। এই  সর্ম্পকে পবিত্র কুরআনের বাখ্যা সার্বজনীন। কারণ কুরআনে মানুষকে তথা সৃষ্টিকূলকে ‘আত্ম-সমর্পন করতে বলা হয়েছে। আর ধর্মকে উল্লেখ করা হয়েছে শান্তির অন্বেষা হিসাবে।

বর্তমান বিশ্ব বিবাদ-বিভাজন, ও শ্রেনী বৈষ্যমের চারণ ভূমিতে পরিনত হতে চলেছে। মানুষ-মানুষে, তো বটেই; ধর্মে-ধর্মে, ধনে-জনে, জাতিতে-জাতিতে, রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে, সমাজ-সমাজে কিম্বা পরিবার-পরিবারে এই বৈষম্য চরম আকার ধারন করে চলেছে। যা আত্ম-অশান্তির মূল কারণ। অথচ, শ্রষ্ঠার দান সর্বভোগ্য, সমতায় স্থীতি।

-কবি নজরুল  তার ফরিয়াদ কবিতায় বলেছেন- ‘সু-স্নিগ্ধ মাটি, সুধাসম জল, পাখির কন্ঠে গান, সকলের এতে সম-অধিকার এই তার ফরমান-ভগবান, ভগবান. ভগবান।।

সভ্যতার আদি লগ্নকে ‘মাৎস্যের ন্যায়’ বলে হতো। সব্যতার উন্নতির এতো দিনেও এই  বর্বর ধারনা  মানুষের মন হতে মুছে যায়নি। ‘দুর্বলের প্রতি সবলের আক্রমন, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এই কুপ্রবৃত্তি থেকে মানুষ আজ বেরিয়ে আসতে পারেনি। বর্তমান সভ্যতার স্বর্ণযুগেও এই ধারনা সু-কৌশলে দিদিব্যমান।

বলা যায়, হাজার বছরের গবেষণা ও মানবিক আত্ম-উপলব্ধি, জ্ঞান-অন্বেষার কষর্ণ সীমা রেখায় আবদ্ধ হতে চলেছে। এ যুগেও সবল দুর্বলকে শোষন করে আনন্দ পায়, মালিক-কর্মচারীকে, পুরোহিত ধর্মকে-জাতি-গোত্রকে, কিম্বা রাষ্ট্র প্রজাবর্গকে।

অধাকথিত, শিক্ষিতরা অনেকাংশেই অর্থলোভী। ভুলতার রস আরোহণে চামচামী কিম্বা চাটুকারী করে নিজ নিজ প্রতিভা প্রকাশে ব্যস্ত। ভীতু কাপুরুষ সূচক জীবনকে  আক্রিয়ে ধরে শিক্ষার অবমূল্যয়ণ করছে। এদের সভ্য বলার অর্থ অসভ্যতাকেই পুরস্কৃত করার নয় কি??। সার্বজনীন বাখ্যায়ঃ কড়ি নড়ে তো, আমি নড়ি ভাবনা।

আজ বিশ্বের ধরীবাজ-অনৈতিক রাষ্ট্র গুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ । স্বার্থপর-বেঈমান, ভন্ড-প্রতারকরা সমাজ-রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকর্তা।  অসী বড় না মসী বড় সেই প্রশ্নে জাতি দিশে হারা। তাহলে হাজার বছরের গবেষণার অর্থ কি? জন্মের স্বার্থকতাই বা কি? দায়মুক্তির উপায় কোথায়? সভ্য-সভ্যতার সংজ্ঞা কি? সত্য মিথ্যা কাকে বলে? জীবনের অর্থ কি??