Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: nmoon on March 24, 2015, 06:01:20 PM
-
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিক এর সমস্যা অনেক প্রকট রূপ ধারণ করেছেন। এর জন্য বিভিন্ন ধরণের ঔষধ আবিষ্কার করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাদ্য তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই, ডায়াবেটিককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিচের খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেন-
১. খেজুর:
খেজুর একটি কালো ও আঠালো ফল যার স্বাদ মিষ্টি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারনে ডায়াবেটিকের রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে এই খাদ্য খেতে পারেন। একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে, আঙ্গুর, কমলা ও মরিচের তুলনায় এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশী। তাই, নিশ্চিন্তে ডায়াবেটিক এর রোগীরা খেজুর খেতে পারেন।
(http://www.bd24live.com/bangla/article_images/2015/03/23/1016398_6.jpg)
২. দুধ:
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল দুধ। রক্তের শর্করার জন্য সবচেয়ে ভালো দুধ। দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করলেও কোন সমস্যা নেই। তবে তার উপাদান ও উপকরনের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। কুটির পনির ও কম চর্বিযুক্ত দই খেতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় দুধ, পনির অথবা দই খেতে পারেন।
৩. শণের বীজ:
শণের বীজ এ ফাইবার ও আলফা লিনলেনিক এসিড রয়েছে। যা শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সরবরাহ করে। এছাড়া শণের বীজ রক্তের শর্করা কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় ইত্যাদি। সকালে ওটমিল এর সাথে বা পনিরের সাথে শণের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।
৪. শিম:
শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এতে আপনি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করবেন। আমরা আগেই জেনেছি, ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ফেলে ও কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম থাকার কারনে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলে। প্রতিদিন সালাদ এর সাথে বা স্যুপ এর সাথে শিম খেতে পারেন।
৫. ওটমিল:
ওটমিল রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু, ওটমিলকে মিষ্টিজাতীয় খাদ্যে রূপান্তর করে খাওয়া যাবে না। ওটমিল একটি ভালো কার্বোহাইড্রেড খাদ্য।
আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এতে ভালো ফাইবার রয়েছে, যা হজম এর গতি ধীর করে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শুধু ভালো কার্বোহাইড্রেড এর জন্যই নয়, এতে থাকা ফাইবার এর কারনে শরীরের ওজন হ্রাস পায়।
উপরের এই পাঁচটি খাদ্য আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো পরিমাণে খেতে পারেন। তাই, এখন থেকে কম কম খাওয়ার চিন্তা ছেড়ে দিন।–সূত্র: টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।