Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Topic started by: Karim Sarker(Sohel) on April 05, 2015, 04:42:31 PM

Title: গ্যাসট্রিক দূর করার কিছু টিপস
Post by: Karim Sarker(Sohel) on April 05, 2015, 04:42:31 PM
কেউ নিয়মিত আবার কেউ বা মাঝে মধ্যে গ্যাসট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় ভোগেন। কেন এই সমস্যা হয় এবং খাওয়ার পর গ্যাস বা অম্বলকে কীভাবে এড়ানো যায় – তারই কিছু সহজ উপায় দেওয়া হলো-

তিন বেলার খাবার ছয় বেলায় খান

আপনি তিন বেলার খাবারকে ভাগ করে ছয়বার খান। তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি, অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খান। যেমন আপনার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ, অল্প মাংস, সবজি, আলু ইত্যাদি। এছাড়া খালি পেটে ফলের রস বা টক জাতীয় খাবার একেবারেই নয়।

খাবার উপভোগ করুন

পরিমাণে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খান। দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিত নয়, কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে। বরং হাতে সময় থাকলে খাবার পর একটু হাঁটা যেতে পারে, যা খাবার হজম এবং মলত্যাগে সহায়তা করে থাকে।

বুঝে পান করুন

পিপাসা মেটাতে পানি এবং হালকা চা পান করতে পারেন। তবে দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত, যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। কফি বা অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম পান করলেই ভালো। তবে শুধু খাবার নয়, জল পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক

খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশি টাইট করে বাঁধবেন না। কারণ টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়, যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে। কাজেই একটু আরামদায়ক বা একটু ঢিলে কাপড়-চোপড় পরাই স্রেয়।

নিয়মিত হাঁটাচলা করুন

‘হাঁটা-চলার কোনো বিকল্প নেই’ – এ কথা কম-বেশি আমরা সকলেই জানি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেটে চাপ পড়ে এবং হাঁটাচলা না করায় মলত্যাগ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পেটে খাবার জমে থাকা মানেই অস্বস্তি বোধ এবং সে কারণে ওজন কমানো বা ওজন ঠিক রাখাও সম্ভব হয় না। ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা করলে শরীর থাকে হালকা থাকে, অন্ত্রও থাকে সক্রিয় আর গ্যাসও হয় কম।

বালিশটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন

গ্যাসট্রিক বা অম্বলের সমস্যা সাধারণত রাতে বেলায় হয়। তাই বালিশটা একটু উঁচু করে এবং শরীরের ওপরের দিকটাও একটু উঁচুতে তুলে ঘুমাবেন। এতে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড ওপরে উঠতে পারে না। বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে। তাছাড়া রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খেলে খাবার হজম করতে আর কোনো সমস্যা হয় না।

আঁশযুক্ত খাবার

ডাক্তারি ভাষায় টক খাবার বলতে বোঝায় মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, মসুরের ডাল ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর অ্যাসিড হতে পারে। তাই আলু, রুটি, সিম, মটরশুটি, মুগের ডাল, কলাইয়ের ডাল ইত্যাদি খাবার ‘টক’ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়া প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সামান্য আলু সেদ্ধ বা আলুর তরকারি থাকতে পারে। আঁশযুক্ত খাবারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

স্ট্রেসকে দূরে রাখুন

‘‘স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সাথে রয়েছে পেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই যে কোনো সংঘাত এড়িয়ে যতটা সম্ভব ‘স্ট্রেস’ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। হালকা খাবার, যথেষ্ট হাঁটাচলা, কিছুটা বিশ্রাম – এভাবেই পেট বা অন্ত্রকে রক্ষা করতে, গ্যাসট্রিককে প্রতিরোধ করতে পারেন।’’ এ পরামর্শ কোলনের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন স্ল্যুইটারের।

ধূমপান নয়!

স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে পেটে অ্যাসিড প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় – সেকথা আমরা অনেকেই জানি। স্ট্রেসের কারণে অনেকে ধূমপান করেন। কিন্তু নিকোটিন অন্ত্রের খাবার মলদ্বারের রাস্তায় যে পথ দিয়ে যায়, সেটিকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এছাড়া স্ট্রেস হরমোন হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধার কারণে পেটে অ্যাসিড উৎপাদন হয়, কাজেই আর ধূমপান নয়!

গ্যাসট্রিককে জয় করুন

হাঁপানি, হৃদরোগ, জন্ম নিরোধ ট্যাবলেট বা ব্যথার ওষুধ সেবন থেকেও অম্বল বা গ্যাসট্রিক হতে পারে। তাই যাঁরা এরকম ওষুধ সেবন করেন তাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে সেকথা সরাসরি ডাক্তারকে বলুন। কখনো অম্বল হয়নি এমন মানষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারুর হঠাৎ করে এ সমস্যা দেখা গেলে, বুঝতে হবে যে হয় অতিরিক্ত খাওয়া বা দেরিতে খাওয়া বা ভুল খাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। ডয়েচে ভেলে
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/34340/index.html#sthash.qZogFGbU.dpuf