Daffodil International University

Faculty of Science and Information Technology => Environmental Science and Disaster Management => Topic started by: rumman on April 08, 2015, 01:05:25 PM

Title: Some helpful ways to avoid lightning
Post by: rumman on April 08, 2015, 01:05:25 PM
(http://amarbangladeshonline.com/wp-content/uploads/2015/04/555.jpg)


সাধারণত বৈশাখ মাসে কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হয়।কিন্তু এ বছর চৈত্রমাসেই প্রকৃতি অস্থির হয়ে ওঠেছে।শুরু হয়ে গেছে বিদ্যুতের ঝলকানি আর ঝড়ের ঝাপটা,বেপরোয়া তান্ডব।প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার কাছে মানুষ অসহায়!কান ফাটানো,গগনবিদারী আওয়াজ তুলে বিদ্যুৎ চমকায়, একেই বলা হয়- ‘বজ্রপাত’।কোন কোন গ্রাম বিদ্যুৎ চমকানোকে ‘ঠাটা’ও বলা হয়।বজ্রপাত কেড়ে নিয়েছে, নিচ্ছে মানুষের জীবন।
এ মৌসুমে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায় নিম্নে দেওয়া হলো । এক নিবন্ধে বিষয়টি জানিয়েছে উইকিহাউ।
১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিন
ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো একটি পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।বজ্রপাতের সময় খোলা স্থানে কখনোই দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন
কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।
৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন
বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন। বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে বা স্থানে কখনোই দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না
বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।
৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান
বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।
৬. গাড়ির ভেতর থাকলে করণীয়
বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।
৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সাবধান
এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।বজ্রপাতের সময় খোলা স্থানে কখনোই এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
৮. পানি থেকে সরুন
বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।
৯. পরস্পর দূরে থাকুন
কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
১০. নিচু হয়ে বসুন
যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
১১. বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ জানুন
আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।
১২. রবারের বুট পরন
বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।
১৩. বাড়ি সুরক্ষিত করুন
আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৪. বজ্রপাতে আহত হলে করণীয়
বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।

Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: shimo on April 15, 2015, 01:37:12 PM
Informative post
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: Mostakima Mafruha Lubna on April 21, 2015, 03:55:27 PM
Very handy information. Thank you for sharing.
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: subrata.ns on July 14, 2015, 09:09:07 AM
Thank you for the informative post
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: Shahriar Mohammad Kamal on July 14, 2015, 09:55:50 AM
খুবই প্রয়োজনীয় একটা পোষ্ট ।
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: Mashud on July 29, 2015, 02:43:02 PM
Thank You for your nice post.
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: asitrony on August 03, 2015, 08:55:48 AM
Very informative post.


Thanks for the post ...
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: imran986 on August 13, 2015, 09:45:51 AM
Informative Information. Thanks for Sharing with us....
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: Shekh Moniruzzaman on October 20, 2015, 05:06:54 PM
Very informative post, should be followed........Thank you for sharing.
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: silmi on November 23, 2015, 01:08:02 PM
Thanks for sharing.. Very informative
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: Kazi Taufiqur Rahman on November 26, 2015, 05:55:36 PM
Nice post. Thanks for sharing.
Title: Re: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক কয়েকটি উপায়
Post by: azad.ns on January 13, 2016, 09:50:03 AM
Thanks......
Title: Re: Some helpful ways to avoid lightning
Post by: Farhana Irin on March 08, 2016, 01:17:31 PM
Very Helpful post. Thank you letting us know.  :)
Title: Re: Some helpful ways to avoid lightning
Post by: rumman on May 05, 2017, 03:08:12 PM
বজ্রপাতের সময় করণীয়

আল্লাহ তাআলার শক্তির নিদর্শনগুলোর একটি, যা তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের সাবধান করার জন্য রেখেছেন। তিনি চাইলেই যে কাউকে এর মাধ্যমে যেকোনো সময় শাস্তি দিতে পারেন। যদিও সব ক্ষেত্রে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা এমনটি করেন না। যা আল্লাহ তাআলা  নিজেই পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘বজ্র তাঁরই তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তাঁর ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত রয়েছে)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান, তারপর যার ওপর ইচ্ছা তাকে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (অর্থাৎ কাফেরদের) অবস্থা এই যে তারা আল্লাহর সম্পর্কেই তর্ক-বিতর্ক করছে, অথচ তাঁর শক্তি অতি প্রচণ্ড। (সুরা : রাদ, আয়াত : ১৩)

মানুষের কাজ-কর্মই বজ্রপাতের মূল কারণ। খোদাদ্রোহিতা, জিনা, ব্যভিচার, পরকীয়া, অন্যায়, অত্যাচার ইত্যাদি নাফরমানিই এ ধরনের আজাবকে ডেকে আনে। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রিয় নবী (সা.) তাঁর উম্মতদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন, তখন বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগজাবিকা ওয়ালা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আ-ফিনা কবলা জালিকা। ’ (তিরমিজি : ৩৪৫০)

অন্য রেওয়ায়েতে আছে, হজরত ইবনে আবি জাকারিয়্যা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ শুনে এ দোয়া পড়বে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’, সে বজ্রে আঘাতপ্রাপ্ত হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২৯২১৩)

এ ছাড়া বেশি বেশি তাওবা ও সদকা করার মাধ্যমে আমরা সব ধরনের দুর্যোগ থেকে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে পরিত্রাণ চাইতে পারি। কেননা হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের প্রবল পরাক্রমশালী প্রভু বলেছেন, ‘যদি আমার বান্দারা আমার বিধান মেনে চলত, তবে আমি তাদের রাত্রি বেলায় বৃষ্টি দিতাম, সকাল বেলায় সূর্য দিতাম এবং কখনো তাদের বজ্রপাতের আওয়াজ শুনাতাম না। ’  (মুসনাদে আহমাদ : ৮৭০৮)
Title: Re: Some helpful ways to avoid lightning
Post by: Zannatul Ferdaus on May 06, 2017, 01:47:31 PM
 :)
Title: Re: Some helpful ways to avoid lightning
Post by: sisyphus on May 07, 2017, 06:03:37 PM
যুগোপযোগী লেখা। ধন্যবাদ