Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: rumman on April 18, 2015, 01:46:18 PM
-
(http://www.bd24live.com/bangla/article_images/2015/04/17/11102722_6379520.jpg)
সফেদা (Sapota) একটি পুষ্টি মান সমৃদ্ধ অত্যান্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফল। এটিকে প্রাকৃতিক পুষ্টির দোকান ঘর বলা হয়। এটি খাদ্যশক্তি কিলোক্যালরি শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ও জিংক এর একটি সমৃধ্য উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের, ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা, ইত্যাদি।
চলুন জেনে নেই সফেদার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:
১। সফেদা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, তাই একে প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।
এতে পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ রয়েছে যা হজম বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আধাপাকা সফেদা জলে ফুটিয়ে কষ বের করে খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়।
২। এতে প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে যা ক্ষয়কারক গ্যাস্ট্রিক, আন্ত্রিক প্রদাহ, পেট জ্বলা, ইত্যাদি রোগের সমাধান করে।
৩। সফেদা খেলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর হয়। এছাড়াও সফেদায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। নিয়মিত সফেদা খেলে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ও দাঁত ভালো থাকে।
৪। শরীরের কোষের ক্ষতিসাধন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত সফেদা খেলে ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা কমে যায়। শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে এবং ফুসফুস ভালো রাখে।
৫। ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সফেদা সহায়দা করে। ীতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ আছে। এটি চোখ, ত্বক ও হাড়ের জন্য খুব ভালো।
৬। শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত সফেদা খেতে পারেন। সফেদায় চর্বি থাকে না। তাই বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
৭। সফেদার পুষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে কর্মজীবী মায়ের জন্য অনেক উপকারী। এটা গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা দূর করতে সাহায্য করে।
৮। সফেদায় থাকা ডায়াটরি ফাইবার, পলিফেনলিক যৌগ ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।নিয়মিত সফেদা খেলে শারীরবৃত্তীয় কাজের গতি ত্বরান্বিত হয়।
৯। এফলে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস হাড়ের গঠনকেও মজবুত করে।
১০। হঠাৎ করে সর্দি, কাশি হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে সফেদা খেতে পারবেন।
১১। সফেদায় আছে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ। এই গ্লুকোজ শক্তি দেয়। কাজেও আসে গতি।
১২। সফেদা ফলের স্নায়ু শান্ত করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে। তাই খেতে পারেন।
১৩। সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়।
১৪। সফেদা বীজের চুর্ণ খেলে কিডনির রোগ ভালো হয় এবং এটা মুত্রাশয়ের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।-সূত্র: গানুনলিমিটেড ।
Source: //www.bd24live.com/bangla/article/37370/index.html#sthash.IXoTgZv4.dpuf