Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: riazur on May 06, 2015, 12:41:13 PM
-
অতিরিক্ত লবণ খাদ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যার ফলে আপনার শরীরে জৈব-রাসায়নিক প্রভাবিত করতে পারে। আদর্শ মতে, প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ২,০০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম থাকা ঠিক নয়। এর থেকে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম গ্রহণ করলে আপনার শরীরের পুষ্টি শোষিত হবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন ফাংশন ব্যাহত হতে পারে। নীচে লবণের ৭টি বিপজ্জনক প্রভাব বর্ণনা করা হল-
১. উচ্চ রক্তচাপ:
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। শরীরের রক্তনালীসমূহের মধ্যে জল অণু অস্বাভাবিক হারে অন্তঃপ্রবাহ প্রচার করে। যার ফলে হটাত করে আপনার রক্তের ভলিউম ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। হটাত করে রক্তচাপ বৃদ্ধির ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মত গভীর ও বিপদজনক রোগ হতে পারে। এছাড়াও, কার্ডিওভাসকুলার রোগের সৃষ্টিও অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে।
২. হার্টের অস্বাভাবিক সমস্যা:
লবনাক্ত খাদ্যাভ্যাস এর কারনে উচ্চ রক্তচাপের ফলে বিভিন্ন হৃদরোগের সৃষ্টি হতে পারে। স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ভলিউমের সৃষ্টি হলে বুঝতে হবে আপনি বিভিন্ন হার্টের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এর ফলে আপনার হার্ট অস্বাভাবিক হারে বড় হতে পারে এবং হার্টের ভালভ পাতলা হতে থাকবে। বৃদ্ধি পাওয়া হার্টে বিভিন্ন ধরণের রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির অনুভব সৃষ্টি হতে পারে। আকস্মিক হৃদরোগের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৩. কিডনির রোগ:
যেসকল ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম শরীরের দ্বারা ব্যবহৃত হয় না, তা মল-মূত্রের মাধ্যমে ত্যাগ করা হয়। যার ফলে কিডনি পরিস্রাবণ এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। রক্তচাপ ও রক্ত ভলিউম আপনার কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪. নিরুদন এবং ফোলা:
তৃষ্ণার্ত বোধ নিমকি খাওয়া-দাওয়ার পর সরাসরি প্রতিক্রিয়া । আপনার রক্তে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকার কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। নিরূদ কোষ আপনার মস্তিষ্কে পানির জন্য সংকেত পাঠায়। পরবর্তীতে তরলে ভরা টিস্যুর জন্য আপনাকে স্ফুত ও ফোলা চেহারার মনে হয়। এই উপসর্গ আপনার শরীরের নিচের অংশ বিশেষে আরও গুরুতর করে তোলে।
৫. পাচক রোগ:
সোডিয়াম রক্ত এবং শরীরের তরল অ্যাসিড-বেস ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত লবণের দরুন এসিড রিফ্লাক্স ট্রিগারের ফলে আপনার পরিপাক নালী এবং হৃদয়ের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিমকি খাবার অভ্যাসগত কারনে ভোজনের ডিউড্রেনাল এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ক্যান্সারের জন্য একটি শক্তিশালী ঝুঁকি রয়েছে।
অতিরিক্ত লবণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই, খাবার সময় আলাদা লবণ না খাওয়া ভালো।