আল-কোরআন ও সুন্নাহ হতে সংকলিত শরীয়তসম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক
(http://2.bp.blogspot.com/-HVMPLf-uZ7E/VAGnlmra4_I/AAAAAAAABwM/7P3ukwVUFRA/s1600/Preaching%2BAuthentic%2BIslam%2Bin%2BBangla.jpg)
শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী
১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা।
২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়।
৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র
সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই।
৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা
আল-কোরআনে বর্ণিত ঝাড়-ফুঁক সংক্রান্ত আয়াতসমূহ
১- সূরা আল-ফাতিহা।
﴿ ٱلرَّحِيمِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱللَّهِ بِسۡمِ١ ٱلۡعَٰلَمِينَ رَبِّ لِلَّهِ ٱلۡحَمۡدُ٢ ٱلرَّحِيمِ ٱلرَّحۡمَٰنِ٣ ٱلدِّينِ يَوۡمِ مَٰلِكِ٤ نَسۡتَعِينُ وَإِيَّاكَ نَعۡبُدُ إِيَّاكَ٥ ٱهۡدِنَا
(১) “আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। (২) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য,
যিনি সকল সৃষ্টিজগতের একাম্ত পরিচালনাকারী ও মালিক (৩) যিনি পরম দয়ালু, অতিশয় করুণাময়। (৪) যিনি
বিচারদিনের মালিক। (৫) আমরা একমাত্র আপনারই ‘ইবাদত করি আর আপনারই নিকট সাহায্য চাই। (৬)
আমাদেরকে সরলপথ প্রদান করুন। তাদের পথে, যাদেরকে আপনি নে‘মত দান করেছেন। (৭) তাদের পথে নয়, যারা
ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [الفاتحة: ١، ٧]
আপনার পক্ষ হতে গযবপ্রাপ্ত (অর্থাৎ, ইহুদীগণ)। আর তাদের পথেও নয়, যারা পথভ্রষ্ট (গোমরাহ) হয়েছে”
(অর্থাৎ, খৃষ্টানগণ)। আমীন।
২- সূরা আল-বাক্বারার ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আয়াত।
﴿ الٓمٓ١ لِّلۡمُتَّقِينَ هُدٗى فِيهِۛ رَيۡبَۛ لَا ٱلۡكِتَٰبُ ذَٰلِكَ٢ يُنفِقُونَ رَزَقۡنَٰهُمۡ وَمِمَّا ٱلصَّلَوٰةَ وَيُقِيمُونَ بِٱلۡغَيۡبِ يُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ٣ يُؤۡمِنُونَ وَٱلَّذِينَ
بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ وَبِٱلۡأٓخِرَةِ هُمۡ يُوقِنُونَ ٤ أُوْلَٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدٗى مِّن رَّبِّهِمۡۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥ ﴾ [البقرة: ١، ٥]
অর্থাৎ, (১) “আলিফ লা-ম মী-ম (২) এটা সেই কিতাব যার মধ্যে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই, যারা
আল্লাহভীরু তাদের জন্য পথপ্রদর্শনকারী। (৩) যারা অদেখা বিষয়ের উপর ঈমান আনে এবং সালাত কায়েম করে
আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে খরচ করে। (৪) আর তারা ঈমান এনেছে, যে সব কিছু আপনার প্রতি
নাযিল হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে নাযিল হয়েছে, আর আখেরাতের প্রতি তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে। (৫) তারাই তাদের
মালিক ও সার্বিক তত্বাবধানকারী আল্লাহর পক্ষ হতে প্রাপ্ত হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে আর এরাই
সফলকাম।” (সূরা আল-বাক্বারার ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আয়াত)।
৩- সূরা আল-বাক্বারার ১৬৪ নং আয়াত।
﴿ مِن ٱلسَّمَآءِ مِنَ ٱللَّهُ أَنزَلَ وَمَآ ٱلنَّاسَ يَنفَعُ بِمَا ٱلۡبَحۡرِ فِي تَجۡرِي ٱلَّتِي وَٱلۡفُلۡكِ وَٱلنَّهَارِ ٱلَّيۡلِ وَٱخۡتِلَٰفِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ خَلۡقِ فِي إِنَّ
لِّقَوۡمٖ لَأٓيَٰتٖ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلسَّمَآءِ بَيۡنَ ٱلۡمُسَخَّرِ وَٱلسَّحَابِ ٱلرِّيَٰحِ وَتَصۡرِيفِ دَآبَّةٖ كُلِّ مِن فِيهَا وَبَثَّ مَوۡتِهَا بَعۡدَ ٱلۡأَرۡضَ بِهِ فَأَحۡيَامَّآءٖ
“নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে, সমুদ্রে জাহাজসমুহের চলাচলে মানুষের জন্য
কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা আকাশ থেকে যে পানি বর্ষণ করেছেন, তা দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে
তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে ও মেঘমালায় যা তাঁরই হুকুমের
অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে – নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান
সম্প্রদায়ের জন্য।” (আল-বাকারা, আয়াত নং-১৬৪)।
৪- আয়াতুল-কুরসী (সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত)।
﴿ يَعۡلَمُ بِإِذۡنِهِۦۚ إِلَّا عِندَهُۥٓ يَشۡفَعُ ٱلَّذِي ذَا مَن ٱلۡأَرۡضِۗ فِي وَمَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ فِي مَا لَّهُۥ نَوۡمٞۚ وَلَا سِنَةٞ تَأۡخُذُهُۥ لَا ٱلۡقَيُّومُۚ ٱلۡحَيُّ هُوَ إِلَّا إِلَٰهَ لَآ ٱللَّهُ
وَهُوَ حِفۡظُهُمَاۚ ئَُودُهُۥ وَلَا وَٱلۡأَرۡضَۖ ٱلسَّمَٰوَٰتِ كُرۡسِيُّهُ وَسِعَ شَآءَۚ بِمَا إِلَّا عِلۡمِهِۦٓ مِّنۡ بِشَيۡءٖ يُحِيطُونَ وَلَا خَلۡفَهُمۡۖ وَمَا أَيۡدِيهِمۡ بَيۡنَمَا
“আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, তিনি চিরজীবিত এবং চিরন্তন। তাকে তন্দ্রা (ঝিমানো)
ও ঘূম কখনো স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই তারই, এমন কে আছে যে, তাঁর অনুমতি
ব্যতীত তাঁর নিকট সূপারিশ করতে পারে? (মানুষের) চোখের সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি
জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ব্যতীত তাঁর অনন্ত জ্ঞানের কোনো কিছুকেই কেউ আয়ত্ব করতে
পারেনা। তার ‘কুরসী’ সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে
কঠিন কাজ নয়। তিনি সমুন্নত ও মহিয়ান।” (সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত)।
৫- সূরা আল-বাক্বারার ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত।
﴿ وَقَالُواْ رُّسُلِهِۦۚ مِّن أَحَدٖ بَيۡنَ نُفَرِّقُ لَا وَرُسُلِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ بِٱللَّهِ ءَامَنَ كُلٌّ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ رَّبِّهِۦ مِن إِلَيۡهِ أُنزِلَ بِمَآ ٱلرَّسُولُ ءَامَنَ
ٱلۡمَصِيرُ وَإِلَيۡكَ رَبَّنَا غُفۡرَانَكَ وَأَطَعۡنَاۖسَمِعۡنَا٢٨٥ تُؤَاخِذۡنَآ لَا رَبَّنَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ مَا وَعَلَيۡهَا كَسَبَتۡ مَا لَهَا وُسۡعَهَاۚ إِلَّا نَفۡسًا ٱللَّهُ يُكَلِّفُ لَا
عَنَّا وَٱعۡفُ بِهِۦۖ لَنَا طَاقَةَ لَا مَا تُحَمِّلۡنَا وَلَا رَبَّنَا قَبۡلِنَاۚ مِن ٱلَّذِينَ عَلَى حَمَلۡتَهُۥ كَمَا إِصۡرٗا عَلَيۡنَآ تَحۡمِلۡ وَلَا رَبَّنَا أَخۡطَأۡنَاۚ أَوۡ نَّسِينَآإِن
“রাসুল ঈমান রাখেন ঐ সমস্ত বিষয়ে, যা তার মালিক ও নিয়ন্ত্রক (আল্লাহর) পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং
মুমিনরাও। সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেস্তাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি এবং তার
নবীগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর নবীগণের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) কোনো প্রকার পার্থক্য
করি না। তারা বলে: আমরা শ্রবণ করলাম ও আনুগত্য স্বীকার করে নিলাম। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক,
আমরা আপনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আপনার দিকেই আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।
কোনো ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সামর্থের বাইরে কোনো কাজের ভার দেন না, সে তাই পাবে যা সে উপার্জন
করে, আর যা সে অর্জন করে তা তারই উপর বর্তায়।
হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে এ জন্য আমাদেরকে ধর-পাকড়
করবেন না। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেরূপ কঠিন বোঝা অর্পণ করেছেন,
আমাদের উপর তদ্রূপ কোনো বোঝা অর্পণ করবেন না।
হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! আমাদের শক্তি-সামর্থের বাইরে কোনো বোঝা বহনে আমাদেরকে বাধ্য
করবেন না। আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক, অতএব
কাফিরগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।” (সূরা আল-বাক্বারার ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত)।
৬- সূরা আল-‘ইমরানের ১৯০ ও ১৯১ নং আয়াত।
﴿ ٱلۡأَلۡبَٰبِ لِّأُوْلِي لَأٓيَٰتٖ وَٱلنَّهَارِ ٱلَّيۡلِ وَٱخۡتِلَٰفِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ خَلۡقِ فِي إِنَّ١٩٠ جُنُوبِهِمۡ وَعَلَىٰ وَقُعُودٗا قِيَٰمٗا ٱللَّهَ يَذۡكُرُونَ ٱلَّذِينَ
وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلۡقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هَٰذَا بَٰطِلٗا سُبۡحَٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ١٩١ ﴾ [ال عمران: ١٩٠، ١٩١]
“নিশ্চয়ই আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে ও দিবা-রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে
বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে আর বলে,
হে আমাদের রাব্ব্! আপনি এসব বৃথা (অযথা) সৃষ্টি করেননি। অতি পবিত্র আপনি, অতএব আমাদেরকে জাহান্নামের
শাস্তি থেকে বাঁচান।” (আল-‘ইমরানের ১৯০ ও ১৯১ নং আয়াত)।
৭- সূরা আল-আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত।
﴿ وَٱلۡقَمَرَ وَٱلشَّمۡسَ حَثِيثٗا يَطۡلُبُهُۥ ٱلنَّهَارَ ٱلَّيۡلَ يُغۡشِي ٱلۡعَرۡشِۖ عَلَى ٱسۡتَوَىٰ ثُمَّ أَيَّامٖ سِتَّةِ فِي وَٱلۡأَرۡضَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ خَلَقَ ٱلَّذِي ٱللَّهُ رَبَّكُمُ إِنَّ
“নিশ্চয়ই তোমাদের রব হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি
আরশের উপর উঠলেন, তিনি দিনকে রাত দ্বারা ঢেকে দেন এমনভাবে যে, ওরা একে অন্যের পিছে পিছে দ্রুতগতিতে খুজে
বেড়ায়। আর চন্দ্র, সূর্য ও নক্ষত্ররাজিসহ সবই তার হুকুমের অনুগত। জেনে রাখো, সৃষ্টি করা ও আদেশ করা
একমাত্র তাঁরই কাজ। তিনিই বরকতময় আল্লাহ, যিনি সারা জাহানের মালিক, নিয়ন্ত্রক ও নির্বাহক।” (আল-
আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত)
৮- সূরা আল-আ‘রাফের ১১৭, ১১৮, ১১৯ নং আয়াত।
﴿ يَأۡفِكُونَ مَا تَلۡقَفُ هِيَ فَإِذَا عَصَاكَۖ أَلۡقِ أَنۡ مُوسَىٰٓ إِلَىٰ ۞وَأَوۡحَيۡنَآ١١٧ يَعۡمَلُونَ كَانُواْ مَا وَبَطَلَ ٱلۡحَقُّ فَوَقَعَ١١٨ هُنَالِكَ فَغُلِبُواْ
“অতঃপর আমরা অহীযোগে বললাম, এবার তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো, এটা সঙ্গে সঙ্গে জাদুকররা জাদুবলে
যা বানিয়েছিল সেগুলোকে গিলতে লাগল।সুতরাং এভাবে প্রকাশ হয়ে গেল সত্য বিষয় আর তাদের বানোয়াট কর্ম
وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٨٦ ﴾ [البقرة: ٢٨٥، ٢٨٦]
وَٱلنُّجُومَ مُسَخَّرَٰتِۢ بِأَمۡرِهِۦٓۗ أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤ ﴾ [الاعراف: ٥٤]
وَٱنقَلَبُواْ صَٰغِرِينَ ١١٩ ﴾ [الاعراف: ١١٧، ١١٩]
মিথ্যায় প্রতিপন্ন হলো। ফলে, তারা সেখানেই পরাজিত হয়ে গেল এবং অতীব অপদস্থ হল।” (সূরা আল-আ‘রাফের
১১৭, ১১৮, ১১৯ নং আয়াত)।
৯- সূরা ইউনুছের ৭৯, ৮০, ৮১ নং আয়াত।
﴿ عَلِيمٖ سَٰحِرٍ بِكُلِّ ٱئۡتُونِي فِرۡعَوۡنُ وَقَالَ٧٩ مُّلۡقُونَ أَنتُم مَآ أَلۡقُواْ مُّوسَىٰٓ لَهُم قَالَ ٱلسَّحَرَةُ جَآءَ فَلَمَّا٨٠ مَا مُوسَىٰ قَالَ أَلۡقَوۡاْ فَلَمَّآ
“আর ফিরআউন বললো: আমার নিকট সমস্ত সুদক্ষ জাদুকরদেরকে নিয়ে এসো। অতঃপর যখন জাদুকররা এলো,
তখন মূসা তাদেরকে বললেন: নিক্ষেপ করো, যা কিছু তোমরা নিক্ষেপ করতে চাও। অতঃপর তারা যখন নিক্ষেপ
করলো, তখন মূসা বললো: যতো জাদুই তোমরা এনেছ, আল্লাহ নিশ্চয়ই এসব এটাকে পন্ড (ভন্ডুল) করে
দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন ফাসাদকারীদের ‘আমলকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে দেন না।” (সূরা ইউনুছের ৭৯, ৮০,
جِئۡتُم بِهِ ٱلسِّحۡرُۖ إِنَّ ٱللَّهَ سَيُبۡطِلُهُۥٓ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُصۡلِحُ عَمَلَ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٨١ ﴾ [يونس: ٧٩، ٨١]
১০- সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাইলের) ৮২ নং আয়াত।
“আর আমরা অবতীর্ণ করি কুরআনে এমন সব বিষয়, যা রোগের শিফা বা সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত,
আর তা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” (সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাইলের) ৮২ নং আয়াত)।
১১- সূরা ত্বাহা এর ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নং আয়াত।
﴿ أَلۡقَىٰ مَنۡ أَوَّلَ نَّكُونَ أَن وَإِمَّآ تُلۡقِيَ أَن إِمَّآ يَٰمُوسَىٰٓ قَالُواْ٦٥ تَسۡعَىٰ أَنَّهَا سِحۡرِهِمۡ مِن إِلَيۡهِ يُخَيَّلُ وَعِصِيُّهُمۡ حِبَالُهُمۡ فَإِذَا أَلۡقُواْۖ بَلۡ قَالَ
٦٦ مُّوسَىٰ خِيفَةٗ نَفۡسِهِۦ فِي فَأَوۡجَسَ٦٧ ٱلۡأَعۡلَىٰ أَنتَ إِنَّكَ تَخَفۡ لَا قُلۡنَا٦٨ كَيۡدُ صَنَعُواْ إِنَّمَا صَنَعُوٓاْۖ مَا تَلۡقَفۡ يَمِينِكَ فِي مَا وَأَلۡقِ
“তারা বললো: হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ করো, অথবা আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি। মূসা বললো: বরং তোমরাই
নিক্ষেপ করো, তাদের জাদুর প্রভাবে হঠাৎ মূসার মনে হলো যে, তাদের দড়ি ও লাঠিগুলো ছুটাছুটি করছে। অতঃপর
মূসা তার অন্তরে কিছু ভীতি অনুভব করলো। আমি বললাম: ভয় করো না, তুমিই প্রবল (বিজয়ী হবে)। তোমার
ডান হাতে যা আছে, তা নিক্ষেপ করো, এটা তারা যা বানিয়েছে, তা গিলে ফেলবে, তারা যা তৈরী করেছে তা তো শুধু
জাদুকরের কৌশল, জাদুকর যেখানেই আসুক সফল হবে না।” (সূরা ত্বাহা এর ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নং
﴿ وَنُنَزِّلُ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِ مَا هُوَ شِفَآءٞ وَرَحۡمَةٞ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا خَسَارٗا ٨٢ ﴾ [الاسراء: ٨٢]
سَٰحِرٖۖ وَلَا يُفۡلِحُ ٱلسَّاحِرُ حَيۡثُ أَتَىٰ ٦٩ ﴾ [طه: ٦٥، ٦٩]
১২- সূরা আল-মুমিনুনের ১১৫, ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ নং আয়াত।
﴿ تُرۡجَعُونَ لَا إِلَيۡنَا وَأَنَّكُمۡ عَبَثٗا خَلَقۡنَٰكُمۡ أَنَّمَا أَفَحَسِبۡتُمۡ١١٥ ٱلۡكَرِيمِ ٱلۡعَرۡشِ رَبُّ هُوَ إِلَّا إِلَٰهَ لَآ ٱلۡحَقُّۖ ٱلۡمَلِكُ ٱللَّهُ فَتَعَٰلَى١١٦ يَدۡعُ وَمَن
ٱلۡكَٰفِرُونَ يُفۡلِحُ لَا إِنَّهُۥ رَبِّهِۦٓۚ عِندَ حِسَابُهُۥ فَإِنَّمَا بِهِۦ لَهُۥ بُرۡهَٰنَ لَا ءَاخَرَ إِلَٰهًا ٱللَّهِمَعَ١١٧ خَيۡرُ وَأَنتَ وَٱرۡحَمۡ ٱغۡفِرۡ رَّبِّ وَقُل
“তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমরা তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট ফিরে আসবে
না? মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি সত্যিকারের বাদশাহ, তিনি ব্যতীত কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, সম্মানিত ‘আরশের
তিনি রব্ব। যে ব্যক্তি আল্লাহর সহিত অন্য মা‘বুদকে ডাকে, ঐ বিষয়ে তার নিকট কোনো প্রমাণ নেই, তার
হিসাব তার রাব্বের নিকট আছে, নিশ্চয়ই কাফেররা সফলকাম হবে না। বলো, হে আমার রব্ব, ক্ষমা করুন ও দয়া
করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু।” (সূরা আল-মুমিনুনের ১১৫, ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ নং
আয়াত)।
ٱلرَّٰحِمِينَ ١١٨ ﴾ [المؤمنون: ١١٥، ١١٨]
১৩- সূরা আস-সাফ্ফাতের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নং আয়াত।
﴿ صَفّٗا وَٱلصَّٰٓفَّٰتِ١ زَجۡرٗا فَٱلزَّٰجِرَٰتِ٢ ذِكۡرًا فَٱلتَّٰلِيَٰتِ٣ لَوَٰحِدٞ إِلَٰهَكُمۡ إِنَّ٤ ٱلۡمَشَٰرِقِ وَرَبُّ بَيۡنَهُمَا وَمَا وَٱلۡأَرۡضِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ رَّبُّ٥
ٱلۡكَوَاكِبِ بِزِينَةٍ ٱلدُّنۡيَا ٱلسَّمَآءَ زَيَّنَّاإِنَّا٦ مَّارِدٖ شَيۡطَٰنٖ كُلِّ مِّن وَحِفۡظٗا٧ جَانِبٖ كُلِّ مِن وَيُقۡذَفُونَ ٱلۡأَعۡلَىٰ ٱلۡمَلَإِ إِلَى يَسَّمَّعُونَ لَّا٨
“সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান ফিরিশতাদের শপথ, এবং যারা কঠোর পরিচালক, আর যারা যিক্র আবৃতিতে রত (তাদের
শপথ)। নিশ্চয়ই তোমাদের মা‘বুদ এক, যিনি আসমান, যমীন এবং এদুয়ের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে, এসব কিছুর
রব্ব। এ ছাড়াও উদয়স্থানসমুহের ও রব্ব তিনি। আমি নিকটবর্তী আসমানকে নক্ষত্ররাজির শোভা দ্বারা
সূশোভিত করেছি, আর সংরক্ষণ করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে, তারা উর্ধ্ব জগতের কিছু শুনতে
পায়না, এবং তাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য রয়েছে অবিরাম
শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ (ছোঁ মেরে) কিছু শুনে ফেললে জলন্ত উল্কাপিন্ড তাদের পিছন দিকে হতে ধাওয়া করে।” (সূরা
আস-সাফ্ফাতের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নং আয়াত)।
১৪- সূরা আল- হাশরের ২২ ও ২৩ নং আয়াত।
﴿ ٱلرَّحِيمُ ٱلرَّحۡمَٰنُ هُوَ وَٱلشَّهَٰدَةِۖ ٱلۡغَيۡبِ عَٰلِمُ هُوَۖ إِلَّا إِلَٰهَ لَآ ٱلَّذِي ٱللَّهُ هُوَ٢٢ ٱلۡمُؤۡمِنُ ٱلسَّلَٰمُ ٱلۡقُدُّوسُ ٱلۡمَلِكُ هُوَ إِلَّا إِلَٰهَ لَآ ٱلَّذِي ٱللَّهُ هُوَ
“তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই তিনি জানেন। তিনিই পরম
দয়ালু ও অতি দয়াময়। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতিত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। তিনি বাদশা, পবিত্র, শান্তি-
নিরাপত্তাদাতা, অভিভাবক, পরাক্রমশালী, প্রবল, মহাশ্রেষ্ঠ। মানুষ তাঁর সহিত যা কিছুর শির্ক করছে, সে সব হতে
তিনি অতি পবিত্র ও মহান।” (সূরা আল- হাশরের ২২ ও ২৩ নং আয়াত)।
১৫- সূরা আল-ক্বালমের ৫১ নং আয়াত।
﴿ لَمَجۡنُونٞ إِنَّهُۥ وَيَقُولُونَ ٱلذِّكۡرَ سَمِعُواْ لَمَّا بِأَبۡصَٰرِهِمۡ لَيُزۡلِقُونَكَ كَفَرُواْ ٱلَّذِينَ يَكَادُ وَإِن٥١ لِّلۡعَٰلَمِينَ ذِكۡرٞ إِلَّا هُوَ وَمَا٥٢ [القلم: ﴾
“আর কাফেররা এমনভাবে আপনার দিকে তাকায় যে, এক্ষুনি তাদের দৃষ্টি দিয়ে আপনাকে ঘায়েল করে দিবে, তারা
একথাও বলে যে, নিশ্চয়ই সে (রাসূল) একজন পাগল।” (সূরা আল-ক্বালমের ৫১ নং আয়াত)।
১৬- সূরা জ্বীনের ৩ নং আয়াত।
“(আমার প্রতি) আরও অহি করা হয়েছে যে, আমাদের মালিক ও পরিচালনাকারীর (আল্লাহর) মান-মর্যাদা সম্ভ্রম
অতি উর্ধ্বে। তিনি কাহাকেও স্ত্রী বা সন্তান হিসেবে গ্রহন করেননি।”
১৭- সূরা আল-কাফেরুন।
﴿ ٱلۡكَٰفِرُونَ يَٰٓأَيُّهَا قُلۡ١ تَعۡبُدُونَ مَا أَعۡبُدُ لَآ٢ أَعۡبُدُ مَآ عَٰبِدُونَ أَنتُمۡ وَلَآ٣ عَبَدتُّمۡ مَّا عَابِدٞ أَنَا۠ وَلَآ٤ أَعۡبُدُ مَآ عَٰبِدُونَ أَنتُمۡ وَلَآ٥ لَكُمۡ
“বলো, হে কাফিরগণ! আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা করো এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও,
যাঁর ইবাদত আমি করি, এবং আমি ইবাদতকারী নই তাঁর, যার ইবাদত তোমরা করে আসছো, আর তোমরা তাঁর
دُحُورٗاۖ وَلَهُمۡ عَذَابٞ وَاصِبٌ ٩ إِلَّا مَنۡ خَطِفَ ٱلۡخَطۡفَةَ فَأَتۡبَعَهُۥ شِهَابٞ ثَاقِبٞ ١٠ ﴾ [الصافات: ١، ١٠]
ٱلۡمُهَيۡمِنُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡجَبَّارُ ٱلۡمُتَكَبِّرُۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٢٣ ﴾ [الحشر: ٢٢، ٢٣]
﴿ وَأَنَّهُۥ تَعَٰلَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا ٱتَّخَذَ صَٰحِبَةٗ وَلَا وَلَدٗا ٣ ﴾ [الجن: ٣]
এবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (কুফর) তোমাদের জন্য আর আমার দ্বীন (ইসলাম)
১৮- সূরা আল-ইখলাছ।
“বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়, আল্লাহ হলেন – ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার
মুখাপেক্ষী), তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি, আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।” (সূরা আল-
﴿ قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ ٢ لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ ٣ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدُۢ ٤ ﴾ [الاخلاص: ١، ٤]
১৯- সূরা আল-ফালাক্ব।
﴿ ٱلۡفَلَقِ بِرَبِّ أَعُوذُ قُلۡ١ خَلَقَ مَا شَرِّ مِن٢ وَقَبَ إِذَا غَاسِقٍ شَرِّ وَمِن٣ ٱلۡعُقَدِ فِي ٱلنَّفَّٰثَٰتِ شَرِّ وَمِن٤ حَسَدَ إِذَا حَاسِدٍ شَرِّ وَمِن
“বলুন, আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর ভোরের রবের (মালিক ও অধিপতির), তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে,
আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সে সব নারীদের যারা গিরায় ফুঁক
দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।” (সূরা আল-ফালাক্ব)।
﴿ ٱلنَّاسِ بِرَبِّ أَعُوذُ قُلۡ١ ٱلنَّاسِ مَلِكِ٢ ٱلنَّاسِ إِلَٰهِ٣ ٱلۡخَنَّاسِ ٱلۡوَسۡوَاسِ شَرِّ مِن٤ لنَّاسِ صُدُورِ فِي يُوَسۡوِسُ ٱلَّذِي٥ ٱلۡجِنَّةِ مِنَ
“বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা‘বুদের কাছে, আত্মগোপনকারী
কুমন্ত্রণাদাতার নিকট অনিষ্ট হতে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন ও মানুষের মধ্য থেকে। (সূরা আন-
সাহীহ হাদীসে বর্ণিত ঝাড়-ফুঁক সংক্রান্ত দো‘আসমূহ
1- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে:
‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় তাঁর নিকট আমি তিনি যা সৃষ্টি করেছেন সেগুলোর অনিষ্ট থেকে আশ্রয়
চাই।’ (বিকালে ৩ বার)। (সাহীহ মুসলিম: ৪/২০৮১)।
2- সাহীহ আল-বুখারীতে রয়েছে:
‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় সকল শয়তান ও বিষাক্ত জীব-জন্তু থেকে ও যাবতীয় ক্ষতিকর চোখ
(বদ নযর) হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (সাহীহ আল বুখারী ৪/১৪৭, নং ৩৩৭১)।
3- হিসনূল মুসলিমে রয়েছে:-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (صحيح مسلم (4 / 2081).
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ " (صحيح البخاري (4 / 147(
فِي ذَرَأَ مَا شَرِّ وَمِنْ فِيهَا، يَعْرُجُ مَا شَرِّ وَمِنْ السَّمَاءِ، مِنَ يَنْزِلُ مَا شَرِّ مِنْ فَاجِرٌ، وَلَا بَرٌّ يُجَاوِزُهُنَّ لَا الَّتِي التَّامَّةِ اللَّهِ بِكَلِمَاتِ«أَعُوذُ
من المسلم (حصن رَحْمَنُ». يَا بِخَيْرٍ يَطْرُقُ طَارِقًا إِلَّا طَارِقٍ كُلِّ شَرِّ وَمِنْ وَالنَّهَارِ، اللَّيْلِ فِتَنِ شَرِّ وَمِنْ مِنْهَا، يَخْرُجُ مَا شَرِّ وَمِنْالْأَرْضِ،
“আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎব্যক্তি বা অসৎ ব্যক্তি
অতিক্রম করতে পারে না, — আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরী করেছেন তার অনিষ্ট
থেকে। আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে এবং যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবীতে তিনি
সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে, তার অনিষ্ট থেকে, দিনে রাতে সংঘটিত ফেতনার
অনিষ্ট থেকে, আর রাতের বেলায় হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে। তবে রাতে আগত কল্যাণকর আগমনকারী ব্যতীত,
হে দয়াময়।” (হিসনুল মুসলিম : ২/১৪১)।
4- হিসনূল মুসলিমে রয়েছে:-
الكتاب أذكار من المسلم (حصن يَحْضُرُونِ». وَأَنْ الشَّيَاطِينِ هَمَزَاتِ وَمِنْ عِبَادِهِ، وَشَرِّ وَعِقَابِهِ غَضَبِهِ مِنْ التَّامَّاتِ اللَّهِ بِكَلِمَاتِ«أَعُوذُ
“আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আশ্রয় চাই তাঁর রাগ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট
থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্হিতি থেকে।” (আবু দাউদ: ৪/১২, নং : ৩৮৯৩। সাহীহুত-
তিরমিযী ৩/১৭১)।
5- সাহীহ হাদীসে রয়েছে:-
( الْعَظِيمِ». الْعَرْشِ رَبُّ وَهُوَ تَوَكَّلْتُ عَلَيْهِ هُوَ، إِلَّا إِلَهَ لَا اللَّهُ«حَسْبِيَ7 ( داود أبي (سنن . مرات)4 /321 أذكار من المسلم (حصن).
“আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি, আর তিনি
মহান আরশের রব্ব।” (৭ বার)। (সূনানে আবু দাউদ ৪/৩২১) ও ( হিসনুল মুসলিম ১/৬১)।
6- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে:-
«بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ». (صحيح مسلم (4 / 1718).
“আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাঁড়ফুক করছি, কষ্টদায়ক সকল কিছুর ক্ষতি হতে, যে কোনো মানুষ বা বদনযর অথবা
হিংসুকের হিংসার নজর হতে। আল্লাহ আপনাকে শিফা বা রোগমুক্ত করুন, আমি আপনাকে আল্লাহর নামেই ঝাঁড়ফুক
করছি।” (সাহীহ মুসলিম: ৪/১৭১৮)।
7- সাহীহ হাদীসে রয়েছে:-
“আমি মহান আল্লাহর কাছে চাই, যিনি মহান আরশের রব্ব, তিনি যেন আপনাকে রোগ হতে শিফা দান করেন।” (৭ বার
পড়বেন)। (আবু-দাউদ, ৩/১৮৭)।
8- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে:-
তোমার শরীরের যেখানে ব্যথা রয়েছে সেখানে হাত রেখো এবং তিনবার বলো, বিসমিল্লাহ, তারপর সাতবার
«أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ ». (سنن أبي داود (3 / 187).
«أَعُوذُ بِاللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ». (صحيح مسلم (4 / 1728).
“এই যে ব্যথা আমি অনূভব করছি এবং যার আমি আশংকা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ তা‘আলার এবং তাঁর
কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (সাহীহ মুসলিম: ৪/১৭২৮, নং ২২০২)।
9- সাহীহ আল-বুখারীতে রয়েছে:-
«اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا». (صحيح البخاري (7 / 132).
“হে আল্লাহ! হে মানুষের রব্ব, আপনি তাদের কষ্ট, সমস্যা, বিপদদূরকারী। আপনি তাদেরকে শিফা (রোগমুক্ত) করে
দিন, আপনিই তো শিফাদানকারী। আপনি ব্যতীত রোগমুক্তকারী কেউই নেই, রোগ হতে এমন শিফা দান করুন,
যাতে রোগের কিছুই শরীরে অবশিষ্ট না থাকে।” (সাহীহ আল-বুখারী: ৭/১৩২)।
10- অনুরূপভাবে সাহীহ হাদীসে রয়েছে:
«بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ»، (ثَلَاثَ مَرَّاتٍ). (سنن أبي داود (4 / 323).
“আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।” (৩ বার)।
আবদুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন রহ.
অনুবাদ: আবুল কাসেম মুহাম্মাদ মাসুম
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া