Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: mahmud_eee on June 18, 2015, 09:38:37 AM

Title: ব্যাংক ছাড়াই ব্যাংকিং সেবা!
Post by: mahmud_eee on June 18, 2015, 09:38:37 AM

প্রচলিত ব্যাংকের কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই ‘ব্যাংকিং’ সেবা দেওয়ার অভিনব উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমেছে নতুন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান অ্যাব্রা। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি অ্যাপের মাধ্যমেই দৈনন্দিন জীবনের সব লেনদেন করা যাবে, প্রয়োজন হবে না কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের।

বলা হচ্ছে প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার সবকিছুই অ্যাব্রার কাছ থেকে পাবেন একজন ব্যবহারকারী। কেবল অংশগ্রহন থাকবে না কোনো ব্যাংকের। ব্যাংকের অংশগ্রহণ না থাকায় পেপাল, ভেনমো এবং চেস পে’র মতো সেবাগুলোর থেকেও আলাদা করে দেখা হচ্ছে অ্যাব্রাকে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা ব্যবহারের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয় ব্যবহারকারীর।

এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, ‘ব্যাংকিং প্রক্রিয়া হবে টেক্সট মেসেজ পাঠানোর মতোই সহজ’- এমন চিন্তার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে অ্যাব্রার সেবা।

ছোট একটি উদাহরণ দিলেই প্রক্রিয়াটি ঠিক কীভাবে কাজ করবে তা পরিষ্কার হবে। ধরে নেওয়া যাক, অ্যাব্রা ব্যবহারকারীর নগদ অর্থ প্রয়োজন। তিনি অ্যাপ চালু করে জিপিএসের সাহায্যে নিকটস্থ একজন ব্যাংক ‘টেলার’ খুঁজে বের করবেন এবং দুজনের জন্যই সুবিধাজনক হবে এমন স্থানে দেখা করবেন।

দুজনের ফোনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কিউআর কোড চলে আসবে। কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে উভয়ই সত্যতা যাচাই করে লেনদেন সম্পন্ন করবেন। অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়া একই থাকবে, শুধু কাজগুলো বিপরীতভাবে করা হবে।

এক্ষেত্রে একজন সাধারণ মানুষও ব্যাংক ‘টেলারের’ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাব্রা আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখবে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে।

প্রতি লেনদেনে ০.২৫ শতাংশ চার্জ করবে অ্যাব্রা। অন্যদিকে টেলার কী পরিমাণ চার্জ নেবেন, সে ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে টেলারদেরকে ১.৫ শতাংশ চার্জ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধু ফোন নম্বর বাদে সেবা গ্রহণকারীদের অন্য কোনো ডেটা সংগ্রহ করা হবে না বলেও জানিয়েছে অ্যাব্রা। 

বেটা সংস্করণ দিয়ে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনে নিজেদের সেবা শুরু করবে অ্যাব্রা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বিল বারহাইট জানিয়েছেন, দেশগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক ‘টেলার’ সাইন-আপ করেছেন এবং আগামী বছর নাগাদ এই সেবা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।