Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: Saqueeb on June 20, 2015, 12:53:58 PM

Title: পেঁপের বারোমাসি পুষ্টিসেবা
Post by: Saqueeb on June 20, 2015, 12:53:58 PM
বারোমাসি সবজি বা ফল হিসেবে পেঁপে অনন্য। এটি পাওয়া যায় বছরজুড়ে। কাঁচাবাজার, ফলের দোকান বা ফেরিওয়ালার ঝুড়ি—সবখানেই পেঁপে মেলে। মাছ বা মাংসের ঝোলে সবজি হিসেবে দারুণ কদর পেঁপের। ভাজি, ভর্তা বা সবজির মিশ্র ব্যঞ্জনে পেঁপের দারুণ কদর রয়েছে। কাঁচা ও পাকা পেঁপে দুটোই সুস্বাদু। গুণও আছে বেশ।

কাচা পেঁপের ফলন সবচেয়ে বেশি রাজশাহী, যশোর, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে। ফল হিসেবে পেঁপের অধিকাংশ আসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মধুপুর ও ফরিদপুর থেকে। ফল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ফরিদপুর এবং গাজীপুরের পেঁপেই তুলনামূলক বেশি মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম জামালউদ্দিন বলেন, ‘ফলের মিষ্টতা ও স্বাদ আসলে নির্ভর করে ভালো জাতের পেঁপের ওপর। বেলে-দোআঁশ মাটিতে চাষ করা পেঁপে বেশ সুস্বাদু হয়। ফল ধরার ২০ দিনের ভেতরে কাঁচা (সবজি) পেঁপে খাওয়ার উপযোগী হয়। ফল হিসেবে খাওয়ার উপযোগী পেঁপে পাওয়া যায় এক মাসে।’

কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ী মো. নিজামুদ্দিন বলেন, ‘আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে সুস্বাদু পেঁপে পাওয়া যায়। হাইব্রিড জাতের চেয়ে দেশি জাতের পেঁপেই বেশি বিক্রি হয়। এখন পাওয়া যাচ্ছে গাছপাকা পেঁপে। বাজারে ফরমালিনমুক্ত গাছপাকা পেঁপের চাহিদাই বেশি।’

এখানেই কথা হলো ক্রেতা আবুল বাশারের সঙ্গে। জানালেন, পরিবারের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পেঁপে থাকেই। সবজি এবং ফল হিসেবে খাওয়ার জন্য পেঁপে খুব সহজলভ্য। সামনে রমজান মাস। প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় ফল হিসেবে পেঁপে তো অবশ্যই থাকবে।
সবজি ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘সবজি হিসেবেও হাইব্রিড জাতের পেঁপে নিতে চায় না, সবাই দেশিটাই খোঁজে। আষাঢ় মাসের পেঁপেই সবজি হিসেবে বেশি ভালো। রান্নার উপযোগী হৃষ্টপুষ্ট পেঁপে বছরের শেষ সময় বাজারে আসে।’

পেঁপের পুষ্টি উপাদান শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধও করে। ছবি: জাহিদুল করিমপেঁপের আছে নানা পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম পেঁপেতে কার্বোহাইড্রেট আছে ৭ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম, ৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, প্রোটিন আছে শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, মিনারেল শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম, ফাইবার শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম ও আয়রন শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘পেঁপের পুষ্টি উপাদানগুলো শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধও করে। পেঁপের প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃতস্বাস্থ্য ভালো রাখে। এগুলো রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। তাই হৃদস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উচ্চরক্তচাপ এড়াতে নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।’পুষ্টিবিদ বলেন, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে পেঁপে বিশেষ উপকারী। হজমশক্তি বাড়াতে ও পেটের গোলযোগ এড়াতেও পেঁপে খেতে পারেন।