Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: Md. Neamat Ullah on July 04, 2015, 10:25:29 AM
-
উন্নত বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট উদ্ভাবন করলেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবদুর রহমান
(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2015/07/03/image_240889.2015-07-02_22_794891.jpg)
যশোর জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবদুর রহমান উন্নতমানের দাহ্য গ্যাস ও জৈবসার উদ্ভাবনে সাফল্য দেখিয়েছে। 'প্রযুক্তি করতে পারে দারিদ্র্য বিমোচন'- এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সে উন্নত প্রযুক্তির বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়। এই বর্জ্যই তার উদ্ভাবিত বায়োগ্যাস প্লান্টের কাঁচামাল। বর্জ্যরে এই ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ থাকবে দূষণমুক্ত।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবদুর রহমানের উদ্ভাবিত উন্নত প্রযুক্তির এই বায়োগ্যাস প্লান্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে, ফেলে দেওয়া প্রতিদিনের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দেশের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। অত্যন্ত কম খরচে উন্নতমানের দাহ্য গ্যাস পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে উন্নতমানের জৈবসার। উপরি পাওনা হিসেবে পরিবেশ দূষণও কমে যাবে অনেকাংশে। তার প্লান্টে নতুন সংযোজন হয়েছে তিনটি অংশ। ক্রাশিং চেম্বার, গ্যাস সাকশন ও কমপ্রেসর ও কমপ্রেসড গ্যাস চেম্বার।
প্রকল্পে ব্যবহৃত গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের কারণে উৎপাদিত গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতে বাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের সাহায্যে সিএনজি আকারে উৎপাদিত গ্যাস যানবাহনে ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রকল্পের উপকারিতা হচ্ছে- প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, পরিবেশ দূষণ রোধ, প্রচুর পরিমাণে উন্নত জৈবসার উৎপাদন এবং গ্রামে সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে রন্ধন গ্যাস সরবরাহ সুলভকরণ।
যশোর জিলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র আবদুর রহমান সমাপনীতে ও জেএসসি-তে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আবদুর রহমান স্কুলের অষ্টম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় চার সেকশনের ভিতর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার পাশাপাশি নবম শ্রেণিতে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছে।
'প্রযুক্তি করতে পারে দারিদ্র্য বিমোচন'- এই চেতনায় দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন এক প্রযুক্তি উন্নত প্রযুক্তি বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করে আবদুর রহমান জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। ঢাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রহমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আবদুর রহমান ডা. এস এম আবদুল্লাহর পুত্র।