Daffodil International University
Faculties and Departments => Business Administration => Business & Entrepreneurship => MBA Discussion Forum => Topic started by: kamruzzaman.bba on July 09, 2015, 04:56:02 PM
-
অনেকেই শেয়ার ব্যবসা করতে চান। কিন্তু কোনোধরনের ধারণা না থাকায় আর শুরু করা হয় না। শেয়ার ব্যবসা করতে চাইলে একজন ব্যক্তিকে কী জানতে হবে এবং কীভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে তার একটি প্রাথমিক ধারণা অর্থসূচকের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
* প্রথমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ব্রোকারেজ হাউজে একক বা যৌথ একাউন্ট খোলা যায়।
* বয়স ১৮ বছর হতে হয়
* নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয়
বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো-
* জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, নিজের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির ১ কপি ছবি, ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত কাগজ ও ছবি জমা দিতে হবে।
* বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্রোকারেজ হাউজভেদে ৫০০-২,০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ দিতে হয়।
শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে :
শুরুতে শেয়ার বেচা-কেনার ক্ষেত্রে যেসকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়-
*প্রথমে দেখতে হবে কোম্পনিটির মৌলভিত্তি কেমন অথবা কোম্পানিটি কোন ক্যাটারগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিগুলোর জন্য ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে।
ক্যাটাগরিগুলো হলো- A, B, N ও Z
ক্যাটাগরি A: যে সকল কোম্পানি প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে এজিএম করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।
ক্যাটাগরি B: যে সকল কোম্পানি প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে এজিএম করে ও ১০% এর কম লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।
ক্যাটাগরি Z: যেসব কোম্পানি পর পর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না, কোম্পানীকে Z ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলো মার্জিন একাউন্টের বিপরীতে কোন লোন সুবিধা প্রদান করে না। এই কোম্পানীর শেয়ারগুলো ক্রয়ের ১৫ কার্যদিবস পর বিক্রি করতে হয়।
ক্যাটাগরি N: বাজারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন কোম্পানিগুলোর এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন কোম্পানিগুলো N ক্যাটাগরিতে অবস্থান করে।
কোম্পানির ইপিএস (আর্নিং পার শেয়ার) কত? প্রত্যেক কোম্পানি বছরে ৪টি কোয়ার্টারে ইপিএস দিয়ে থাকে। ইপিএস হলো শেয়ার প্রতি আয়। কোনো কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে সেই লভ্যাংশকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হলো ইপিএস।
কোম্পানির শেয়ারের পিই (প্রফিট আর্নি রেশিও) কত? যে কোম্পানির পিই যত বেশি সে কোম্পানি তত বেশি অতি মূল্যায়িত। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের কোম্পানিগুলোর পিই ২৫ এর বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
লেনদেন :
সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত লেনদেন হয়ে থাকে। ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে সরাসরি এবং ফোনের মাধ্যমে শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। ক্রয়কৃত শেয়ার ৪র্থ কর্মদিবসে বিক্রি করা যায়। শেয়ার বিক্রির ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সাধারণত অ্যাকাউন্ট পে চেক প্রদান করা হয়। অ্যাকাউন্টের টাকার মেয়াদ পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৩ দিন পূর্বে রিকুইজিশন দিতে হয়। আইপিও শেয়ার বিক্রির জন্য প্রদত্ত আইপিও এর ওয়্যারেন্ট পত্র ব্রোকারেজ হাউজে জমা দিতে হয়।
-
Thanks for sharing