Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Tasmia Tasrin on July 11, 2015, 12:41:24 PM
-
গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখেরও বেশি মানুষের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে দেখেন, যারা দৈনিক ১.৬ বার লেবুজাতীয় ফল বা ফলের জুস খান তাদের মেলানোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সপ্তাহে দুইবারেরও কম লেবুজাতীয় ফল গ্রহণকারীদের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি।
তবে জাম্বুরা ও কমলা খাওয়ার সঙ্গে অন্য ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির সাওউয়েই উ বলেন, “যদিও আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জাম্বুরা ও কমলা মেলানোমার ঝুঁকি বাড়ায়, তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমাদের আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “এখনই আমরা লেবুজাতীয় ফল খাওয়া কমানোর উপদেশ দিচ্ছি না। তবে যারা প্রচুর লেবুজাতীয় ফল খান তাদের দীর্ঘসময় রোদে পোড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা উচিৎ।”
গবেষকদের মতে, মেলানোমা এবং লেবুজাতীয় ফলের মধ্যকার সম্ভাব্য সম্পর্কটি হতে পারে এই ধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকা ‘ফিউরোকুমারিন্স’ নামক উপাদান।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, ফিউরোকুমারিন্স ত্বককে সূর্যের আলোর প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে, এমনকি মেলানোমায় আক্রান্তকারী অতিবেগুনি রশ্মির প্রতিও।
যুক্তরাষ্ট্রের এক লাখ পুরুষ ও মহিলাকে ২৬ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করে এই গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮শ’ ৪০ জনের মেলানোমা ধরা পড়ে।
লেবু বা টকজাতীয় ফল (আস্ত জাম্বুরা, আস্ত কমলা এবং এগুলোর রস) খাওয়ার সঙ্গে নারী পুরুষ উভয়েরই মেলানোমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিশেষত, জাম্বুরার সঙ্গে এই সম্পর্ক সবচেয়ে শক্তিশালী, এরপরেই আছে কমলার জুস।
অনলাইনে জার্নাল অফ ক্লিনিকাল অনকোলজিতে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।