Daffodil International University

Bangladesh => Heritage/Culture => Topic started by: Bipasha Matin on July 12, 2015, 05:13:14 PM

Title: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: Bipasha Matin on July 12, 2015, 05:13:14 PM
জামদানীর গল্প
বিপাশা মতিন, শিক্ষক, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, জামদানির প্যাটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন।

জামদানীর সাথে আমার স¤পর্ক একদিনের না, খুব নতুন ও না। সেই ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রয়োজনে শাড়ি পরা হোত। খেয়াল করতাম, আম্মু সব শাড়ি পরতে দিলেও বিশেষ এই শাড়িটি দিতোনা। মন খারাপ লাগতো খুব। একদিন খুব করে বায়না করাতে আম্মু বলল, “এইটা জামদানী, অনেক দামী শাড়ি, যত্ন করে রাখতে হয়, এইটা পরতে দেয়া যাবেনা”। তাই বলে এতো যত্ন?

অনেক অপেক্ষার পরে খালার বিয়েতে শাড়িটি আমার পরা হয়। সে কি আনন্দ আমার! সে কি উচ্ছাস!
 
(http://english.bdtravelnews.com/wp-content/uploads/2014/01/Jamdani-Sari.jpg)
যেমনি একদিনে জামদানির প্রতি আমার এই উচ্ছাস প্রকাশ পেয়েছিল, ঠিক তেমনি, ২০১২ সালের এপ্রিলের কোন এক সকালে খবরের কাগজ পড়তে গিয়ে আমার সেই উচ্ছাসে পড়ে হঠাত ভাটা!   
খবরটা অনেকটা এ রকম 'ইন্ডিয়া নাকি জামদানির পেটেন্ট (স্বত্ব) দাবি করেছে   আমাদের নাকি চড়া দামে (কর) জামদানি কিনতে হবে, জামদানি নাকি আর বাংলাদেশের থাকবে না।

খবরটা শুনে মনে হয়েছিলো আমার শাড়ির আঁচলে কে যেন টান দিলো!
না, আমার অস্তত্বিে বোধহয় টান পড়েছে!

খবরটির যৌক্তিকতা খুজতে গিয়ে দেখি, ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই অ্যাক্ট) এর আওতায় কিছুদিন আগে ভারত ‘কালনা’ জামদানি এবং ‘উপাধা’ জামদানি নামে দুটি শাড়ির নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের আরো কিছু প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী পন্য, যেমন, ফজলি আম, নকশীকাঁথা, শীতলপাটি ও আছে।

অথচ আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী নিজস্ব পণ্য সংরক্ষণে দীর্ঘদিন কোনো আইন না থাকায় এসব পণ্যের মালিকানা চলে গেছে ভারতের হাতে। 

একটা গল্প শুনেছিলাম, এক দেশে ছিল দুই বোন। বড় বোন ছিল খুব আদরের। বড় বোনের প্রশংসায় পুরো পরিবার গর্বিত। সে ছিল বিশাল স¤পদ। একদিন কোন এক দূর্যোগে বড় বোনহারিয়ে গেলে ছোটবোনটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। বড় বোনের আদলে ছোট বোন যেন নতুন রূপে নিজেকে বিকাশ করেছে । পরিবারে ছোটবোনটিও হয়েছে প্রশংসিত এবং প্রসিদ্ধ। এই দুই বোন আর কেউ নয়, আমাদের এই বাংলা পরিবারের অনেক বড় দুটি শিল্প-স¤পদ মসলিন ও জামদানি।

কথিত আছে, ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কো¤পানীর হাতে দেশের শাসনভার চলে যাওয়ায় মসলিন শিল্পের বিলুপ্তি ঘটে। ব্রিটিশরা মসলিন কারিগরদের বৃদ্ধাঙ্গলি কেটে দেওয়ায় এ শিল্প হতে তারা দূরে সরে গিয়ে কৃষিকাজে যুক্ত হয়।
ধ্বংস হয়ে যায় হাজার বছরের পুরোনো বাংগালি ঐতিহ্য মসলিন।

এদিকে, মসলিনের অনুপস্থিতিতে জামদানি হয়ে উঠে বাংলার প্রধান বস্ত্রশিল্প। নারায়ণগঞ্জ এর যেই স্থানগুলো একসময় মসলিন তৈরি করে পৃথিবীকে অভিভূত করে ফেলেছিলো, সেখানেই গড়ে উঠেছে আজকের জামদানি পল্লী। আমাদের জামদানি পল্লী।  জামদানির খানদানি গল্প শুরু রাজা বাদশাহর আমল থেকেই।

খ্রিষ্টপূর্ব যুগে জামদানির বিকাশ ঘটে। ফারসি শব্দ থেকে আসা জামদানি নামটির ব্যবচ্ছেদ করলে দাঁড়ায়, “জামা” এবং “দানি”। জামা শব্দের অর্থ কাপড় এবং দানি শব্দের অর্থ বুটি। অর্থ্যাৎ জামদানি শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, বুটিযুক্ত কাপড়। রুবি গজনবীর মতে ফরাসি অপর শব্দ জাম-দার অর্থাৎ ফুলকরা বা বুটি দ্বারা খচিত করা (ঊসনড়ংংবফ) থেকে জামদানীর নামকরণ।জামদানি প্রসিদ্ধ হয়েছে তার বিখ্যাত জ্যামিতিক ডিজাইনের কারনে। জামদানির ব্যাপারে আরো একটি বিষয় না বললেই নয়, সেটি হল, জামদানী তৈরির পেছনের কাহিনী। বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার, বিবি রাসেল, আমাকে একদিন বলেছিলেন, জামদানি তৈরিতে এদেশের মাটি ও আবহাওয়া ও বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেকেই এই জামদানি রুপগঞ্জ ছাড়াও অন্য অনেক জায়গায় বোনার চেষ্টা করেছিলেন। একই সূতা, একই খাটিয়া, একই তাঁতি, কিন্তু স্থান ভিন্ন। হয়নি বোনা জামদানি, পারেনি বুনতে সেই জ্যামিতিক ডিজাইনের জামদানি।

আমার দেশের জামদানির এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যা একেবারেই বাংলাদেশের নিজস্ব। যা কখনই অনুকরন করা যাবেনা। সেখানে ভারতের জামদানির প্যাটেন্ট দাবী করা পুরোই অযৌক্তক। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করার চাইতে আমাদের উদাসীনতাকেও বিবেচনায় আনা উচিত। আমরা কেন ভুলে যাই, আমরাই তো এই দেশের সরকার? আমরা সবাই মিলেই তো এই দেশ, বাংলাদেশ।

আমি তাই-ই বিশ্বাস করি বলেই বিষয়টি জানার পর পরই সরকারের সমালোচনাতে ব্যতিব্যস্ত না হয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার জামদানির প্যাটেন্ট নিয়ে? কেন সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে থমকে আছে ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই অ্যাক্ট) এর খসড়া? কিভাবে নেয়া হচ্ছে জনগনের মতামত? আদৌ নেয়া হচ্ছে কিনা? মনে অনেক প্রশ্ন ছিলো আমার। অনেক না জানা বিষয় জানার আগ্রহ ছিল আমার।
বাংলাদেশের যদি গর্ব করার মতো কোন কিছু থাকে, জামদানি তাদের মধ্যে অন্যতম। আমার বিদেশি অনেক বন্ধুদের আমি জামদানি দিয়ে বাংলাদেশকে চেনাই। জামদানি বাংলাদেশের প্রান, প্রেরণা ও পরিচয়।

তৎকালীন শিল্পমন্ত্রি দিলীপ বড়ুয়া আমাদের স¤পূর্ন কথা ও অভিযোগ খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। খুব অবাক ও হলেন এরকম একটি বিষয় নিয়ে আমাদের উদ্বেগ দেখে। আশ্বাস দিলেন আইনটি দ্রুত সংসদে পাশ করানোর।

আশ্বাস পেয়ে আমার কাজের গতি আরো বেড়ে যায়। জামদানি ছাড়াও অন্যান্য দেশীয় সকল প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী পন্যের তথ্য সংগ্রহে নেমে পড়ি মাঠে।
দেখতে দেখতে কেটে গেল প্রায় নয় মাস। প্রতি সপ্তাহে শিল্প মন্ত্রণালয়ে ঢুঁ মারা আমার রুটিন হয়ে গিয়েছিল। মন্ত্রণালয়ে আমার নাম হয়ে গিয়েছিল, “জামদানি আপা”।

অবশেষে, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর, জাতীয় সংসদে আইনটি পাশ হয় এবং সেদিন সংসদে মন্ত্রির বিশেষ দাওয়াত আমাকে আরো আবেগাপ্ল“ত করে তোলে।
‘যাক, এইবার বোধহয় জামদানি আমার বাংলাদেশের প্রমান করা যাবে’। কিন্তু, হায়!, এখনো যে বিধিমালা তৈরি বাকি!

খবর নিয়ে জানলাম, আইন প্রনয়ণের পর সেই আইনের বিধিমালা করতে হয়। ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই অ্যাক্ট) এর বিধিমালার কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিধিমালা পাওয়া মাত্র এক মুহূর্ত দেরী না করে আমাদের দেশের ভৌগলিক নির্দেশক আইনের আওতায় জামদানীকে নিবন্ধন করতে হবে।  বাংলাদেশ, তারপর, ভারতের নিকট তাদের জামদানি নিবন্ধনের বাতিলের জন্য ভারতীয় ভৌগলিক নির্দেশক আইনের ২৭ ধারা মোতাবেক আবেদন করবে। ভারতে আইনি যুদ্ধ বাংলাদেশ যদি কোনো সন্তোষজনক ফলাফল না পায়, বা ভারত যদি জামদানী নিবন্ধন বাতিল না করে তাহলে বাংলাদেশ পরবর্তি ফয়সালার জন্য ডব্লিউটিও এর উরংঢ়ঁঃব ঝবঃঃষবসবহঃ ইড়ফু (উঝই)'র নিকট বিরোধ ফয়সালার আবেদন জানাতে পারবে।
আরো একটি বিষয়, মার্কেটিং-এর শিক্ষক হিসেবে আমি বলতে চাই। জামদানী আভিজাত্যের প্রতীক। এই শাড়ির বিশেষ একটি সেগমেন্ট বা বাজার আছে। খুব সহজে বলতে গেলে জামদানী একটি প্রিমিয়াম বা অভিজাত পন্য। কিন্তু বর্তমানে, জামদানির বাজার বৃদ্ধি ও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য নাইলনের সুতায় মেশিনে তৈরি শাড়ি জামদানির নামে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। যা কিনা দামেও অনেক কম।

আমার সোজা কথা, জামদানি রক্ষা করতে গিয়ে আমরা আমাদের জামদানি হারিয়ে ফেলছি নাতো? সবার জন্য জামদানি, বা গঅঝঝ গঅজকঊঞওঘএ করতে গিয়ে জামদানির বিশেষ সেই সেগমেন্ট (প্রিমিয়াম) থেকে সরে আসছি নাতো? নকশার পরিবর্তন বা ভিন্নতা আনতে গিয়ে জামদানির সেই বিশেষ  জ্যামিতিক নকশা বা মোটিফ হারিয়ে যাচ্ছে না তো? দাম কমিয়ে সবার ব্যভারের উপযোগী করতে গিয়ে জামদানীর কোয়ালিটির সাথে আপোষ করছি নাতো?

আমার মা বলতেন, ‘সবাইকে খুশি রাখতে গেলে কাউকেই খুশি রাখতে পারবেনা’। একই কথা পড়েছিলাম, মার্কেটিং পড়তে গিয়েও। তাই, যারা জামদানির নকশা ও তাঁতিদের সাথে কাজ করছেন, তাদের কাছে আমার জোরালো আবেদন, জামদানিকে শুধু মুনাফা অর্জনের পন্য হিসেবে না দেখে, দেশের স¤পদ হিসেবে দেখুন।

থাকনা এই জামদানি বিশেষ একটি সেগমেন্টের জন্য? হোকনা জামদানি শুধু বিশেষ একটি দিনে পড়ার জন্য? থাকুক না জামদানি তৈরি শুধু হাতে বোনায় সীমাবদ্ধ? দাম ও মান কমিয়ে দিলে মসলিনের মত জামদানিও বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। মসলিনের মতো জামদানি হয়তো একদিন শুধু জাদুঘরেই দেখতে পাবো। এই ক্ষেত্রে, ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই অ্যাক্ট) জামদানিকে দিতে পারে এই সুরক্ষা।

কিছু পরিকল্পনা করা যেতে পারে এখন থেকেই, যেমন,

১। মেশিনে জামদানী তৈরি করা বন্ধ করতে হবে।
২। শুধুমাত্র দাম কমানোর জন্য জামদানির সুতোয় অন্য সুতোর মিশ্রণ হবে শিল্পটিকে হত্যা করানোর মতন। আর তাই, জামদানির সুতা ব্যবহারে সুতার গুনাগুনে কোন আপোষ না করা।
৩। জামদানিকে সহজলভ্য করতে গিয়ে জামদানির গুনাগুন নষ্ট না করা। বরং শিল্পটিকে একই রকম রেখে এক্সক্লুসিভভাবেই ক্রেতার সামনে আনতে হবে এবং কিনতে উৎসাহী করাতে হবে।
৪। উৎসব ও বিশেষ দিনগুলোতে জামদানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করা, হতে পারে, সেটা বিয়ের দিনই। সেক্ষেত্রে যদি দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউজ এবং ফ্যাশন ডিজাইনাররা জামদানি দিয়ে এক্সক্লুসিভ শাড়ি বানায়- তাহলে অনেক নারীই তার বিয়ের শাড়ি হিসেবে জামদানিকেই বেছে নিতে পারে। জামদানি মানে তো কেবল ছয় গজের শাড়িই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
৫। জামদানির ব্যবহার শুধু শাড়িতে সীমাবদ্ধ না রেখে, শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ফ, ব্যাগ, ওয়ালম্যাট ও করা যেতে পারে। এবং সেটা অবশ্যই জামদানির নিজস্ব প্যাটার্ন অক্ষুণè রেখে।
৬। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে তুলে ধরতে হবে জামদানিকে। ভুলে গেলে চলবেনা, প্রচারেই প্রসার। এর ফলে একদিকে যেমন আমাদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে, তেমনি অন্যদিকে জামদানি শিল্পীরাও ভালো থাকতে পারবেন।
৭। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই দেশের বাইরে গেলে নিজে জামদানি পড়েন এবং উপহার হিসেবে জামদানিকেই প্রাধান্য দেন। ঠিক তেমনি, জামদানির প্রচারের জন্য এরকম কিছু ‘ব্র্যান্ড’ অ্যাম্বাসেডার তৈরি করতে হবে।
৮। জামদানির গল্প ও ইতিকথা বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। পরবর্তি প্রজন্মের কাছে মসলিনের মতো, জামদানি কোন ইতিহাস না বরং গর্বের বিষয় হোক।
৯। জামদানি নিয়ে ডকুমেন্টারি করে মিডিয়া ছাড়াও বিভিন্ন ইভেন্ট করে প্রচারনা চালানো যেতে পারে।
১০। জামদানির জন্য জাদুঘর না বরং দেশ-বিদেশে জামদানির এক্সিবিশন দরকার যেখানে জামদানির বিভিন্ন নকশা, সুতা, শাড়ির ও জামদানি নিয়ে করা অন্যান্য পন্য প্রদর্শন করা যেতে পারে। প্রতি বছর জামদানি মেলা আয়োজন করে বিসিক এক্ষেত্রে খুব ভালো একটি ভূমিকা রাখছে। বিদেশেও এরকম জামদানি মেলা আয়োজন করলে প্রচার হবে আরো বেশি।
১১। সবশেষে, সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে জামদানি তাঁতিদের বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা হতে পারে সুতার ব্যবস্থা, খুদ্র ঋণের ব্যবস্থা, তাঁতিদের ট্রনেংি এর ব্যবস্থা এবং বিশেষ সম্মাননা দয়ো, জাতীয় পর্যায়ে বেস্ট ডিজাইনার বা বেস্ট সেলারকে পুরস্কৃত করা, তাঁতিদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা নিশ্চিত করা ইত্যাদি। তা না হলে এই তাঁতিরাই তাদের পরবর্তি প্রজন্মকে এই শিল্পে আনতে আগ্রহী হবেনা। বিসিকের উদ্যোগে ‘জামদানি পল্লী’ করা হয়েছে। আমরা চাই, সেই জামদানি পল্লীর মাধ্যমে নতুনদের এই শিল্পে আগ্রহী করে তোলা হোক। 
১২। তাঁতি ছাড়াও দেশের নবীন ডিজাইনারদের এই শিল্পে আগ্রহী করে তুললে এই শিল্পের প্রসার হবে ব্যাপক।
১৩। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে জামদানির একটি বিশেষ ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করতে হবে। দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ফ্যাশন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে এই ‘ব্র্যান্ড’ পরিচিত করতে হবে বিশ্বের দরবারে।
১৪। ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই অ্যাক্ট) এর বিধিমালা পাওয়া মাত্র এক মুহূর্ত দেরী না করে আমাদের দেশের ভৌগলিক নির্দেশক আইনের আওতায় জামদানীকে নিবন্ধন করতে হবে। ভারতের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিজস্ব মালিকানা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে।

সবশেষে, জামদানির ইতিহাস বাংলাদেশের এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। জামদানির বিপ্লব শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয় বরং ব্যক্তিগত পর্যায়ে শুরু করতে হবে। কেবল বাঙালি উৎসবে নয়- যেকোন উৎসবে জামদানি হয়ে উঠুক বাঙালির পোশাক- আমি শুরু করেছি, আমার বিয়েতে বিদেশি শাড়িকে না বলে, জামদানি পরে। ঠিক তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অভিজাত এই জামদানির ব্যবহার জামদানিকে করতে পারে বাংলাদেশের একটি ‘ব্র্যান্ড’।
Title: Re: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: JEWEL KUMAR ROY on July 13, 2015, 09:21:52 PM
Great Contribution...
Title: Re: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: Nahian Fyrose Fahim on September 08, 2015, 11:09:52 AM
Thank you for taking such a brave  initiative .Jamdani is our pride . No one can snatch it :)
Title: Re: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: Dr. Md. Harun-or Rashid on December 21, 2015, 05:53:42 PM
মসলিন, জামদানী এসব আমাদের মূল্যবান ঐতিহ্য। এটি ধরে রাখতে নিরন্তর সংগ্রামের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাইনা, কৃতজ্ঞতা জানাই।
Title: Re: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: Nargis Akter on February 24, 2016, 12:30:24 PM
Thank you for sharing the important post.

Nargis Akter
Lecturer, Natural Sciences
Daffodil International University
Title: Re: জামদানীর গল্প, বিপাশা মতিন
Post by: fahad.faisal on January 29, 2018, 05:57:48 PM
Thanks a lot for the informative post.