Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: khairulsagir on July 29, 2015, 05:18:10 PM
-
দেখতে দেখতেই মেঘগুলো খরগোশ হয়ে গেল! আহ! আর একটা ভালুক এসে খেয়ে ফেলল সেই খরগোশটাকে! শিশুদের কল্পনাশক্তি কিন্তু এমনই প্রবল। আবার যেন অনেকটা এভাবেই নিজের ভেতর আলাদা এক জগৎ গড়ে নিতে নিতে একদিন ওরা গল্পের গরু গাছে ওঠাতে শুরু করে। এমন কিছু বলে বসে যা আদতে ঘটেইনি। কিংবা যা ঘটেছে তা না বলে অন্য কিছু একটা বলে দেয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, একটা বয়সে প্রায় সব শিশুই কখনো না কখনো এমন মিথ্যা বলেই। শিশুদের এমন মিথ্যা কথার নেপথ্যের নানা কারণ আর তার প্রতিকার এখানে তুলে ধরা হলো।
* ছোট্ট শিশুরা হয়তো সত্য বলা আর মিথ্যা বলার তফাত জানে না। এ ধরনের মিথ্যা হয়তো ক্ষতিকর নয়, কিন্তু স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়ে গেলে এ বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
* স্কুলের নতুন পরিবেশে অনেক নতুন মুখের সঙ্গে পরিচিতি শিশুদের মধ্যে অনেক সময় ভীতি তৈরি করতে পারে। ওরা হয়তো নিজেদের ভুল-ত্রুটি আড়াল করতে মিথ্যা বলতে পারে। নিজের ভুলটুকু অন্যের চোখে পড়লে বাকিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত হয়েও ওরা এটা করতে পারে।
* অনেক সময় সবার মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও শিশুরা মিথ্যা বলে। বিশেষত অবহেলিত শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। ভালোবাসা আর আদর যত্ন দিয়েই ওদের এই সমস্যা সারিয়ে তোলা সম্ভব।
* অনিশ্চয়তা আর আত্ম-মর্যাদার অভাব থেকে অনেক সময় শিশুদের মধ্যে বাড়িয়ে বলার অভ্যাস দেখা যায়। এটাও এক ধরনের মিথ্যা কথা বলা। খেলার সাথিদের সঙ্গে পাল্লা দিতে, সবাইকে নিজের বাহাদুরি দেখাতে শিশুরা এমন মিথ্যা বলতে পারে।
* অনেক সময় বাবা-মাকে পরিবার ও পেশাগত জীবনে মিথ্যা বলতে দেখেও শিশুরা মিথ্যা বলা শুরু করতে পারে। ওরা ভাবতে পারে যে, এটা দোষের কিছু নয়, বাবা-মা তো বলেই।
* ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কল্পনা আর মিথ্যার মধ্যে তফাতটা ধরিয়ে দিতে শুরু করুন। ওদের গল্পগুলো শুনুন, কিন্তু একটা বয়সের পর গল্পটা ব্যাখ্যা করে করে ওদের বাস্তব আর কল্প-কাহিনির তফাত বুঝিয়ে দিন।
* রূপকথা, উপকথার এমন গল্পগুলো শিশুদের শোনান যেখান থেকে ওরা ভালো কিছু শিখতে পারে। যাতে ভালো কাজ আর মন্দ কাজ সম্পর্কে ওরা বুঝতে পারে। মিথ্যা কথা মানুষের জন্য কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।
* অনেক সময় অভিভাবকেরা শিশুদের এই সব ছোট্ট ছোট্ট মিথ্যাগুলো শুনে কেবল প্রশ্রয়ের হাসি হাসেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ওদের মিথ্যা কথার পরিণতিটা বুঝিয়ে না দিলে এই অভ্যাস থেকে বের হওয়াটা শিশুর জন্য কঠিন হতে পারে।
* শিশুকে নিয়ে বসুন, শিশুর কাছে জানতে চান কী কারণে সে এই মিথ্যা কথাটা বলল/সত্য কথা বললে ওর কী সমস্যা হতো, ইত্যাদি। কথা বলে ওর মানসিক অবস্থাটা বুঝে নিন এবং সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করুন।
* সব সময় শিশুর ইতিবাচক আচরণের প্রশংসা করুন এবং সত্য বলা ও ভালো কাজের জন্য শিশুকে পুরস্কৃত করুন। এটা শিশুদের ইতিবাচক কাজে ও সত্য কথায় উৎসাহিত করে।
* যদি অভিভাবকদের নিজেদের আচরণগত ত্রুটির কারণে শিশুরা মিথ্যা বলা শেখে সেটা খুবই বিপজ্জনক। ফলে নিজেদের শুধরে নিন আর মনে রাখুন যে, মা-বাবার কাছ থেকেই শিশুরা সবচেয়ে বেশি শেখে।
Source: http://www.prothom-alo.com/life-style/article/587842/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87
-
Thanks. :)
-
When we requested our grandma to tell fairy tales, she recited poems instead of telling those. I never heard my father telling a lie :)
-
:-\
-
There must be age limit for telling a lie.
-
informative post. thanks for sharing.
-
informative
-
:o :o :o