Daffodil International University
IT Help Desk => News and Product Information => Topic started by: rumman on July 31, 2015, 04:29:37 PM
-
(http://cdn.bn.banglanews24.com/media/files/July2015/July31/thisartistsr_if_695773302.jpg)
জোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা মহাশূন্যে আরো তিনটি সুপার-পৃথিবীর সন্ধান পেয়েছেন। এর সবগুলোর সঙ্গেই পৃথিবীর অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা বলেন, এই তিন সুপার পৃথিবীর মধ্যে একটি আগ্নেয়গিরিতে ভরা। এদের গঠন প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
তারা জানান, ছোট একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নিজেদের অক্ষে ঘুরছে, এই তিন সুপার-আর্থ। এ ছাড়া আরো একটি বিশালাকৃতির গ্রহ রয়েছে এই নাক্ষত্রিক মণ্ডলে।
তারা জানান, এই নাক্ষত্রিক জগত মহাশূন্যে রোমান হরফ ‘এম’ আকৃতিতে উত্তর হেমিস্পেয়ার কনস্টেলশন ক্যাসিওপেরার অন্তরালে রয়েছে। এই চারটি গ্রহ পথিবী থেকে ২১ আলোক বর্ষ দূরে রয়েছে।
Source: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'
এই চারটি গ্রহ যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে, এইচডি২১৯১৩৪বি (HD219134)।
অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস সাময়িকী এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
নাসার জোতির্বিদরা জানাচ্ছেন, এই সুপার-পৃথিবীগুলোর ভর পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি। তবে নেপচুন, স্যাটার্ন ও জুপিটারের চেয়ে হাল্কা। গ্রহগুলো গ্যাস, পাথর অথবা এই দুটো দিয়েই তৈরি হতে পারে।
জানা গেছে, এইচডি২১৯১৩৪বি (HD219134b) নক্ষত্রের কক্ষপথ বেশি বড় নয়। পৃথিবী ও নাসার স্পিটজার টেলিস্কোপ থেকে দেখা গেছে, সুপার-পৃথিবীগুলোর ভর পৃথিবী থেকে সাড়ে চার গুণ বেশি এবং দেড়গুণের চেয়েও বেশি বড়।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এগুলোর পৃষ্ঠের ঘনত্ব এবং গঠন আমাদের এই গ্রহ পৃথিবীর মতোই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও এই অনুসন্ধানমূলক গবেষণায় অংশ নিয়েছেন।
অনুসন্ধানমূলক গবেষণার সহ-লেখক স্টিফেন উড্রে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই গ্রহগুলোর পৃষ্ঠ ঘন দ্রবণে ভরা। সম্ভবত এগুলো আগ্নেয়গিরির লাভা। তবে এগুলো জীবনের জন্য উপযুক্ত নয়।
তিনি বলেন, এগুলো কথিত বাসযোগ্য নয়। এ ছাড়া এখানে প্রাণের জন্য কোনো তরল পানিও নেই।
তবে স্টিফেন উড্রে বলেন, এইচডি২১৯১৩৪বি (HD219134b) নক্ষত্রের বিবর্তন বিজ্ঞানীদের কাছে আগ্রহের বিষয়। কারণ, এর পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীদের জানা। আর সুপার-পৃথিবীর আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তারা এর বিবর্তন প্রক্রিয়া ও গঠনগত দিক নিয়ে আরো গবেষণার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের জন্য আরো মজার বিষয় হচ্ছে, এর বিবর্তনগত প্রক্রিয়ার সময় যে যে পরিবেশের তৈরি হবে, তা বিজ্ঞানীদের ধারণাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই চার গ্রহের পরিবারটি পৃথিবী থেকে ২১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করলেও সূর্য থেকে এইচডি২১৯১৩৪বি (HD219134b) নক্ষত্রের দূরত্ব মাত্র তিন আলোকবর্ষ দূরে। পরবর্তীটি ছয় আলোক বর্ষ দূরে।
এইচডি২১৯১৩৪বি (HD219134b) নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করা দ্বিতীয় গ্রহটির ওজন আমাদের পৃথিবী থেকে ২.৭ গুণ বেশি এবং নিজ অক্ষে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে ৬.৮ দিন। এর পরেরটির ওজন পৃথিবী থেকে ৮.৭ গুণ বেশি এবং নিজ অক্ষে ঘুরে আসতে সময় লাগে ৪৭ দিন। এ ছাড়া জায়ান্ট গ্রহটি তার নিজ অক্ষে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে তিন বছর।
Source: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম