Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: imran986 on August 08, 2015, 11:25:46 AM
-
চুল পড়ে যাচ্ছে? চিন্তা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত মাথায় একটা চকচকে টাকই না বসে যায়? সাধারণত প্রতিদিনই মানুষের কিছু চুল পড়ে যায় আবার নতুন চুল গজায়। কিন্তু সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
তাহলে আপনাকে প্রথমে নির্ণয় করে নিতে হবে কেন আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টাক পড়ার সমস্যাটা পুরুষের মাঝেই বেশি। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস।
চুল কেন পড়ছে?
• অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে।
• দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে এবং দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।
• চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া শুরু হতে পারে।
• বংশগত সমস্যার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। হয়তো আপনার দাদা-বাবা-চাচার কিংবা নানা-মামার কারো টাক নেই। কিন্তু আপনার বাবা বা মায়ের মামা-চাচার টাক থাকায় বংশগত কারণে আপনারও টাক পড়তে পারে।
• রোগের প্রকোপে মাথার চুল পড়তে পারে। যেমন, অনেকে টাইফয়েড জ্বরে চুল হারিয়েছেন বলে জানা যায়।
• মাথায় খুশকি ও স্ক্যাল্পের রোগে মাথার চুল পড়তে পারে।
• অনেক সময় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।
কী করণীয়:
যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়াও যে যে বিষয়গুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়া জরুরি, সেগুলো হলো:
১। সুষম খাদ্যে গ্রহণ:
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই প্রচুর শাক-সবজি ও মৌসুমী ফল আর আমিষের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ তো থাকছেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে।
মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
আয়রন আর জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে, নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খান। ভিটামিন সি
২। পরিমিত ঘুম:
ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। তাই ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের। এছাড়া চুল পড়া রোধে মেডিটেশনও করা যেতে পারে।
৩। চুলের যত্নে প্রসাধনী:
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।
৪। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান:
সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন আর সাথে লেবুর রস দিতে পারলে আরও ভালো। আমলকী,বহেরা,হরিতকী ও মেথি একসাথে গুঁড়ো করে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।
মাথায় একরাশ স্বাস্থ্যকর চুল আপনার সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না শুধু, এটি আপনার ব্যক্তিত্বকেও আলাদা মাত্রা দেয়। তাই চুলের যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন।
-
Notable to prevent hair fall...........