Daffodil International University

Faculties and Departments => Allied Health Science => Life Science => Topic started by: Lima Rahman on August 20, 2015, 06:35:02 PM

Title: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: Lima Rahman on August 20, 2015, 06:35:02 PM
বিডিলাইভ ডেস্ক: নিয়মানুবর্তিতাঃ ডিসিপ্লিন হলো একটা শিশুর লাইফে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বাবা মা হিসেবে ডিসিপ্লিন নিয়ে কখনোই ছাড় দেয়া ঠিক না। একবার সে অবাধ্য হয়ে গেলে বারবার একই কাজ করার চেষ্টা করবে। কথা না শুনলে ছোটখাট শাস্তি দিন।


অর্থের যথাযথ ব্যবহারঃ লাইফের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ দরকার হয়। একটা ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবারই অর্থের প্রয়োজন। তাই বাবা মা হিসেবে উচিত আপনার শিশুকে ছোট থেকেই অর্থের সঠিক ব্যাবহার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। আপনার সমর্থ থাকলেই আপনার শিশুর হাতে অতিরিক্ত অর্থ দিবেন না কারন পরবর্তীতে সে আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। যথাসম্ভব শিশুকে অর্থ উপার্জনের উপায় এবং যথাযথ ব্যাবহার শিক্ষা দিতে হবে।

চাপ প্রয়োগ না করাঃ আপনার শিশুর রেজাল্ট ভালো খারাপ যাই হোক না কেন সবসময় খুব সহজভাবে মেনে নিবার চেষ্টা করবেন। আপনার শিশু ক্লাসে প্রথম হলে অবশ্যই তাকে কিছু সারপ্রাইজ দিন। এতে আপনার শিশুর পরবর্তী পদক্ষেপে প্রচেষ্টা আরো বেড়ে যাবে। তবে ক্লাসে রেজাল্ট খারাপ হলে উৎসাহ দিন পরবর্তীতে ভালো করার। কখনোই হার্ট করে কথা বলবেন না। এটা শিশুকে মানসিক চাপে ফেলে দেয়। আমাদের দেশের ৬০% বাবা মা এই ভুলটা করে যেটা আপনার ছোট্ট শিশুর সাথে কখনোই করা উচিত না।

অন্যের দুঃখ কষ্ট উপলব্ধি করাঃ আপনার শিশু যেন মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে ব্যাথিত হয় সে ব্যাপারে শিক্ষা দিন। একটা অসহায় মানুষকে হেল্প করার মাঝে যে সুখ সেটাকে তার ভিতরে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার সন্তান ছোট বেলায় সব থেকে আপনাকে বেশি ফলো করে সেহেতু তার সামনে সবসময় ভালো ভালো কাজ করবেন এবং তাকেও করতে উৎসাহী করবেন।

সত্য বলার অভ্যেস গড়ে তোলাঃ শিশুরা প্রায়শই মিথ্যার আশ্রয় নেয় বাবা মা’র শাস্তির ভয়ে। ছোট থেকেই সত্য বলার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। একবার ছোট বেলায় এই অভ্যেস টা তৈরি করে দিতে পারলে আজীবনের জন্য স্থায়ী হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সে সত্য বললেও এমনভাবে উত্তর দিবেন যেন সে বুঝে মিথ্যা বলাটা কতোটা খারাপ এবং একবার মিথ্যেবাদী প্রমান হলে ভবিষ্যতে আর কেউ তাকে বিলিভ করবে না। এসব ছোট খাট ব্যাপার আপনার শিশুর মাথায় সেট করে দিন।

ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলাঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেটা যতই খারাপ হোক। নিজের ভুল না দেখে যেন অন্যের উপর ব্লেম না দেয় সে ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন ভুলটা যেন আপনার শিশু নিজেই অনুধাবন করে।

আত্মসমালোচনাঃ অন্যের মধ্যে খারাপ দিক খোঁজার আগে অবশ্যই আপনার শিশু যেন নিজের খারাপ দিকগুলো ফিল করতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষা দিতে হবে। তার খারাপ দিকগুলো সবসময় তার কাছে তুলে ধরতে হবে এবং সাথে ভালো একটা সমাধান দিতে হবে।

নিজে থেকেই সমস্যা সমাধান করতে দেয়াঃ আপনার শিশুর সমস্যাগুলো তাকেই সমাধান করতে দিন। আপনি তার সমস্যার সমাধানে কখনোই আগ্রহ দেখাবেন না। যেমন সে স্কুলে হোম ওয়ার্ক করবে। সেটা নিজেকেই তৈরি করতে দিন অথবা হোম ওয়ার্ক জমা না দেয়ায় তাকে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। সেটাও আপনার শিশুকেই প্রস্তুত করতে দিন। এতে আপনার শিশু সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হতে শিখবে।

ভুল স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলাঃ নিজের ভুলটা স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেটা যতই খারাপ হোক। নিজের ভুল না দেখে যেন অন্যের উপর ব্লেম না দেয় সে ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করবেন ভুলটা যেন আপনার শিশু নিজেই অনুধাবন করে।

সময়জ্ঞান ও কঠোর পরিশ্রমঃ সময়জ্ঞান এবং কঠোর পরিশ্রম এই দুটো হচ্ছে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চারা কাগুজে বইয়ে এগুলো সম্পর্কে পড়ে ঠিকই তবে হাতে কলে শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে বাচ্চার অভিবাবক হিসেবে। বিভিন্নভাবে তাকে কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহী করা এবং সাকসেস হলে যথাযথ পুরষ্কার দেয়া।

 
সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে উৎসাহী করাঃ ছোট বয়সে আপনার শিশুর মন সব থেকে বেশি কোমল থাকে। এই সময়টাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাষ স্থাপনের উপযুক্ত সময়। এতে আপনার শিশু আপনা থেকেই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে সৃষ্টিকর্তার ভয়ে। তাই সময় পেলে আপনার শিশুকে ধর্ম সম্পর্কে ধারনা দিন।
Title: Re: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: asitrony on August 22, 2015, 09:30:08 PM
helpful and praiseworthy writing!


Thanks for the post..
An outstanding effort for building talented next generation.

 
Title: Re: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: Md. Al-Amin on August 23, 2015, 09:36:16 AM
Very helpful information for awareness ......
Title: Re: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: roman on August 23, 2015, 10:40:07 AM
Every prospective father and mother may need this information to build up his/her children with morality.
Title: Re: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: imran986 on August 24, 2015, 11:36:04 AM
Nice post
Title: Re: বাচ্চার মানসিক বিকাশে আপনার যা যা করনীয়
Post by: roman on August 28, 2015, 06:52:00 PM
সন্তানকে প্রথম যে দশটি জিনিস শেখানো উচিৎ ।

# আপনার শিশুর স্কুলের প্রথম বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যদি আপনার শিশুকে তাঁর নিজের জু্তার ফিতে বাঁধা শিখিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাঁর যে মানুষিক দৃঢ়তা তৈরি হবে তা হয়তো আপনি বা আমরা কেউই কল্পনাও করতে পারব না। একবার ভাবতে পারেন স্কুলে কখনো তার জুতার ফিতে খুলে গেলে সে যদি আর দশটা শিশুর সামনে নিজে নিজেই তার ফিতে বাঁধতে পারে তাহলে তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস কোথায় গিয়ে ঠেকবে।

# স্কুলের পড়ার ব্যাগ আপনি নিজে না গুছিয়ে আপনার শিশুকে করতে দিন। আপনি শুধু খেয়াল রাখুন সে ঠিক ঠাক বই খাতা নিচ্ছে কি না এতে ছোটবেলা থেকেই মানসিকভাবে গোছানো হয়ে গড়ে উঠবে।

# ক্লাসে ফার্স্ট বা সেকেন্ড হলো কি না সেটা আসলে শিশুর জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার না,তাই সে ক্লাসে কি পারলো আর কি পারল না সেটা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন না হয়ে সে তার স্কুল্টা উপভোগ করছে কিনা সে দিকে নজর দেওয়া তার শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের জন্যই ভালো।

# বাচ্চারা তার খেলনা নষ্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাকে বকাঝকা না করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তার ভিতরে খেলনাগুলোর যত্ন নেওয়ার বোধ সৃষ্টি করা যায়। খেলার পরে তার খেলনাগুলো আপনি বা কাজের লোককে দিয়ে না গুছিয়ে তাকে দিয়েই খেলার ছলে গুছিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।প্রথমদিক হয়তো কাজ হবে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আপনার শিশুটি দেখবেন দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে।

# স্বামী স্ত্রী এর মধ্যে দাম্পত্যে কলহ হবে এটাই স্বাভাবিক তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার শিশুটি যেন এর বলি না হয়। তার বাবা-মা এর মধ্যকার সম্পর্ক সে যেন সব সময় উপলব্ধি করে মধুর,যা তার ভবিষ্যৎ ব্যক্তিগত জীবনে সুখের ছায়া ফেলবে।

# ভিক্ষুক বা কোথাও কোন কিছু দান করার সময় যতটা পারেন আপনার শিশুকে সাথে রাখতে,এতে তার মন উদার হবে। পৃথিবীকে সে আরও বেশী ভালবাসতে শিখবে।

# আপনার শিশুর মতামতকে তার সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন যেন সে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এতে তার আত্মশ্রদ্ধা বাড়বে।

# সপ্তাহে অন্তত একটি দিন এবং ছুটির দিনগুলোতে আপনার শিশুকে একটু প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যান। তাকে ছেড়ে দিন খোলা হাওয়ায়,স্পর্শ করান মাটিকে।ধরতে দিন ফুলের উপর বসা রঙ্গিন প্রজাপ্রতিটি। দৌড় দিতে দিন,দিতে দিন ঝাঁপ।দেখবেন প্রকৃতির সান্নিধ্য আপনার শিশুর মাঝে এক অপূর্ব ভালো লাগার স্নিগ্ধতার ছাপ ফেলে যাবে যা আপনি হাজার বা লক্ষ টাকা খরচ করেও কোন সুপার সপে পাবেন না।

# মোটামুটি পড়তে এবং লিখতে পারলে তাকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরি লেখার বা আঁকার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।এতে সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শিখবে,অনুভব করতে শিখবে। নিজের কাছে আত্মসমালোচনার দ্বার হবে উন্মুক্ত।

# পাঠ্যপুস্তকের বাইরে মজার মজার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।এতে সে পুরো পৃথিবী নতুন করে চিনতে শিখবে।
*সন্তান* *শৈশব*

source-- http://www.beshto.com/contentid/517759