অবস্থানঃ
বিরিসিরি দুর্গাপুর উপজেলার একটি গ্রাম, আর দূর্গাপুর নেত্রকনা জেলার একটি উপজেলা।
দূর্গাপুর উপজেলাটি বাংলাদেশের উত্তরাংশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার বাঘমারা থানার সীমানা সংলগ্ন ২৫.১২৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬৮৭৫ পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। এর উত্তরে ভারতের মেঘালয়, পশ্চিমে, পশ্চিম ময়মনসিংহের ধোবাউড়া, পূর্বে নেত্রকোণা, কলমাকান্দা উপজেলা এবং দক্ষিণে নেত্রকোণা সদর এবং পূর্বধলা উপজেলা।
এলাকার মোট আয়তনের প্রায় ১০ শতাংশ পাহাড়ি ভুমি। ইদানিং এসব পাহাড়ের অনেক গুলোতেই কমলা চাষ হচ্ছে। পাহাড়ী জমির মধ্যে বিয়পুর, আড়াপাড়া ও পাঁচকাহনিয়া মৌজায় চিনামাটির কোয়ারী আছে।
বর্ণনাঃ
আদিবাসি জীবন বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সৈন্দর্য্য আধার সুসং দূর্গাপুর হতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে সোমেশ্বরী নদী যেখান থেকে কয়লা এবং বালু উত্তোল করা হয় , নদীর ওপারে চিনামাটির এবং আরও নানা রঙের পাহাড় –সাদা,গোলাপী এবং কমলা, পাহাড়ের মাঝে মাঝে গাঢ় সবুজ, নীল রং এর পানির ছোট ছোট লেক আর সেই সাথে সুসং মহারাজার বাড়ি, দূর্গাপুর কালচারাল একাডেমি আর উপজাতীয় যাদুঘর, বিজয়পুর বিডিআর ক্যাম্প, রানীক্ষং চার্চ, পুটিমারী মিশন ইত্যাদি।
সোমেশ্বর নদী: দূর্গাপুরের আসল সৌন্দর্য সোমেশ্বর নদী। সোমেশ্বরী নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের অভ্যন্তরে সীমসাংগ্রী বা সমসাংগা নামক স্থান থেকে উৎপন্ন হয়ে বাঘমারা বাজারের পাশ দিয়ে দূর্গাপুরে প্রবেশ করেছে। সীমসাংগ্রী থেকে উৎপন্ন বলেই সোমেশ্বরী বলা হয়। আবার জনশ্রুতি আছে যে, সুসং রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সোমেশ্বর পাঠকের নামানুসারে এর নাম সোমেশ্বরী হয়েছে।
(http://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/sidr07_1292838272_6-Original_Blue_Lake.jpg)
বিজয়পুর পাহাড় : সোমেশ্বর নদীর পার হয়ে যেতে হয় বিজয়পুর গ্রামে এবং এখানেই আছে গোলাপি, সাদা, কমলা রঙের চিনা মাটির পাহাড়। পাহাড় থেকে চীনা মাটি সংগ্রহের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ছোট সবুজ, স্বচ্ছ পানির গভীর জলাধার।
(http://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/sidr07_1292838709_10-Fm_Bijoypyr.jpg)
রাশমণি স্মৃতিসৌধ : রানীখং থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে বহেরাতলীতে আছে হাজং মাতা রাশমণি স্মৃতিসৌধ। ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি সংঘটিত কৃষক ও টঙ্ক আন্দোলনের প্রথম শহীদ ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী হাজং মাতা রাশমণির স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাশমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এখানে নির্মাণ করেছে রাশমণি স্মৃতিসৌধ।
এছাড়া আছে বিরিসিরি আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি, সাধু যোসেফের ধর্মপলি, টঙ্ক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়ি ।
Source : Internet