Daffodil International University
Health Tips => Food => Topic started by: Lazminur Alam on September 02, 2015, 11:37:50 AM
-
খুব পরিচিত সবজি লালশাক। বাড়ির আঙিনা হয়ে বিস্তৃত মাঠে চাষ হয় সবজিটির। একটা সময় শীতকালীন সবজি হিসেবে এটি পরিচিতি পেলেও এখন বছরজুড়েই পাওয়া যায় লালশাক। ভাজি কিংবা রান্না করেই খাওয়া হয় সবজিটি। মজার ব্যাপার হলো, রান্নার পরেও সবজিটি লাল রং ছড়াতে থাকে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো বলেন, লালশাক দেখতে যেমন ভালো, স্বাদেও অনন্য। এবার জেনে নিন লালশাকের আদ্যপান্ত। রক্তশূন্যতা রোধে লালশাক খেতে পারেন। এই শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরে নতুন রক্তকোষ তৈরিতে সহায়তা করে, অ্যানিমিয়া রোগ দূরে রাখে। লালশাক রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
নিয়মিত খেলে রাতকানা রোগ এড়ানো যায়। সেই সঙ্গে বয়সজনিত ছানি পড়ার প্রবণতাও কমে। গর্ভবতী নারী ও মায়েদের পুষ্টি পূরণে লালশাক খুব প্রয়োজনীয়। লালশাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যেটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব দরকার। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ও চোখের রোগ এড়াতে খেতে পারেন। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লালশাক ভালো। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, এ ছাড়া চুলে মিনারেল ও পুষ্টি জোগাতে সক্ষম। লালশাকে বিটা ক্যারোটিন নামে একটি উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়, এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
জ্বর সারাতেও লালশাক কার্যকর। জ্বরের সময় লালশাক খেলে জ্বরের প্রকোপ কমে, সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
লাশশাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলি থাকায় এটি ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক আদর্শ সবজি হলো লালশাক। লালশাকের আঁশজাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে, সেই সঙ্গে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাদের জন্যও ভালো সবজিটি। এতে ভিটামিনগুলো ত্বক ভালো রাখে এবং যাদের মাড়ি ফোলা রোগ আছে, তাদের জন্যও খুব উপকারী।
ক্যালরি কম থাকায় বেশি খেয়ে ফেললেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই। তাই প্রতিদিন ভাতের পাতে রাখুন লালশাক।
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/619561/ভাতের-পাতে-লালশাক