Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Samia Nawshin on September 09, 2015, 04:16:46 PM
-
সহজে বহন করা যায়- এমন খাবারের মধ্যে প্রথমেই আসে বাদামের কথা। এখনকার এই ব্যস্ত দিনে কাজের ফাঁকে সময় করে খাওয়ার কথা মাথাই থাকেনা। প্রায় সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়। কিন্তু কাজের ফাঁকে যদি প্রতিদিন অল্প করে বাদাম খাওয়া যায় তবে মন্দ হয় না। বাদাম শুধু খেতেই যে অসাধারণ তা নয়, নানা পুষ্টিগুনেও ভরপুর। যার ফলে এই বাদাম বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাদামের ধরণ বাদাম বলতে সব ধরণের বাদামকেই এক্ষেত্রে ধরা হয়, যেমন- চিনাবাদাম, আখরোট , কাজু , আমন্ড , পেস্তা , চেস্ট নাট, ব্রাজিলনাট প্রভৃতি। বাদামের মধ্যে যা থাকে আকারে ছোট হলেও সকল প্রকার খাদ্য গুণাগুণ এতে বর্তমান। যেমন- ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, লিউটিন, জিজ্যানথিনের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
বাদামের উপকারিতা
বাদামের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস সকল প্রকার খাদ্যগুন রয়েছে। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীর সুস্থ , সবল, কর্মক্ষম ও নিরোগ থাকে।
বাদাম যেই সমস্ত রোগ থেকে বাঁচায়
থাইরয়েড- ব্রাজিল নাটের মধ্যে আয়োডিন থাকে যা এনার্জি মেটাবলিজমে সাহায্য করে। ফলে এই নাট হাইপো ও হাইপার উভয় থাইরয়েডের জন্য উপকারী।
ত্বক- দূষণের প্রভাব থেকে ত্বককে মুক্ত করতে এবং বিভিন্ন ফাংগাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
ক্যান্সার- আমন্ডের মধ্যে ওলেয়িক অ্যাসিড , সেলে নিয়াম , ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন ফাইটো কেমিক্যালস ক্যানসার প্রতিরোধে খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাই কোলেস্টেরল- আখরোট ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড , ফাইবার , ভিটামিন ই ইত্যাদি থাকায়, নিয়মিত কিছু পরিমানে আখরোট খেতে পারলে রক্তের মধ্যে বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
ওবেসিটি- কনভেনশনাল লো ক্যালোরি হাই ফাইবার জাতীয় ডায়েটের সঙ্গে কিছু আমন্ড খেলে তাড়াতাড়ি ওজন কমে।
হাঁপানি- যারা দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানিতে ভুগছেন, তারা যদি নিয়মিত গরম দুধের সঙ্গে আখরোট খান তাহলে হাঁপানিতে অনেক রিলিফ পাওয়া যায়।