গত ২ অক্টোবর পালিত হল ‘বিশ্ব প্রবীণ দিবস’। এবারের প্রবীণ দিবস পালনের মূল প্রতিপাদ্য ‘নগর পরিবেশে প্রবীণদের অন্তর্ভূক্তি সুনিশ্চিত করুন’ । ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবরে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়।দিবসটি উপলক্ষে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে । কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে সকাল ১১টায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০১৫’ উদযাপিত হয়েছে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির, সমাজকল্যাণ সচিব তারিক-উল-ইসলাম এবং জাতীয় অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম. আর খান এবং স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অবঃ)জীবন কানাই দাস বক্তব্য প্রদান করেন।
বিশ্বে বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী লোকের সংখ্যা ৭৩৭ মিলিয়ন। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ লোকই উন্নয়নশীল দেশের। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দুই বিলিয়নে উন্নীত হবে। যা ওই সময়ে সারাবিশ্বের শিশুর (শূন্য থেকে ১৪ বছর) সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে। জাতিসংঘের ২০০৯ সালের সমীক্ষায় বিশ্বের প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ২০১১ সালে সর্বশেষ আদমশুমারির হিসেবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ লোকই প্রবীণ। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ৮ শতাংশে, ২০৩৫ সালে ১১ দশমিক ৯ এবং ২০৫০ সালে এই সংখ্যা ১৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
(http://www.kalerkantho.com/assets/images/news_images/2014/10/01/image_135569.probin-dibosh_broddasrom-660x330.jpg)