Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Food Habit => Topic started by: mahmudul_ns on October 12, 2015, 01:03:06 PM
-
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়। এরজন্য দরকার ভালো অভ্যেস।
খেতে ভালোবাসেন, তবে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে পছন্দের অনেক খাবারই এড়িয়ে চলতে হয়। আর তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা কঠিন হয়ে যায়। তবে কিছুটা নিয়ম করে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর খাবারের একটি তালিকা তৈরি করে নিলে আর এতটা কঠিন মনে হবে না।
দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা গেলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
অভ্যাস নিয়ে প্রকাশিত হতে যা্ওয়া ‘বেটার দেন বিফোর’ বইয়ের লেখক গ্রেচেন রুবিন বলেন, “আমি ভালো অভ্যাসের গোপন রহস্য উপলব্ধি করতে পেরেছি। পুষ্টি বা অন্যকিছুর জন্য আগে নিজেকে জানতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কিছু মানুষ সব ধরনের লোভ ত্যাগ করে ভালো থাকে আবার অনেকেই পরিমিতভাবে ইচ্ছাপূরণের মাধ্যমে ভালো থাকে। কোন পদ্ধতি ভালো কাজ করবে তা নিজেকেই ভেবে বের করতে হবে।”
প্রকাশিত প্রতিবেদনে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অভ্যাসের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবারের মজুদ রাখা :
শহুরে জীবনে বাড়ির আশপাশে যা পাওয়া যায় তাই সাধারণত আমারা খেতে অভ্যস্ত। তাই বাজার থেকে টাটকা খাবার বাসায় মজুদ করে রাখা ভালো।
যেসব খাবার সহজে যোগাড় করা যায় সেগুলো সংগ্রহ করা উচিত। সেটা হতে পারে সবজি এবং ফলমূল।
এছাড়া সাদা রুটিরজাতীয় খাবারের চাইতে শস্য বা আঁশজাতীয় খাবার খা্ওয়ার অভ্যেস করতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে আছে ওটমিল, বাদামি চাল, গমের রুটি।
প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার (ডাল) এবং ডিম কেনা যেতে পারে।
সোডা, বিস্কুট ও চিনি যুক্ত সিরিয়াল ঘরে না রাখাই ভালো।
বসে খাওয়া :
সাধারণত বসে খাবার খেলে, ধীরে খাওয়া হয়। এতে খাওয়ায় তৃপ্তি আসে। আর কম খেয়েও খা্ওয়া শেষ করা যায়।
তবে দাঁড়িয়ে খেলে প্রায় সময়ই মনে হয় খাবার খাচ্ছি না। যদি আইসক্রিমও খান তবে কোথাও বসে সেটা উপভোগ করুন। আর অনেকের সঙ্গে খাওয়া হলে এক ধরনের সামাজিকতাও রক্ষা হয়।
তরল ক্যালোরির পরিবর্তে পানি :
কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যা নিয়মিত পান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার ডায়েট কোমল পানীয় শরীরের কোনো কাজে আসে না। ওজনও কমায় না। তাই শুধু মিষ্টি স্বাদের জন্য এই ধরনের পানীয় পান করার কী দরকার!
এর চেয়ে সাধারণ পানি খাওয়ার অভ্যেস করুন। এতে শরীর আদ্র থাকবে। আর খাবার বা স্ন্যাক্স খাওয়ার আগে অন্তত এক গ্লাস পানি পান করা ভালো। এতে কম খেয়েও পেট ভরানো যাবে।
চিপসের পরিবর্তে ফল :
হাতের কাছে থাকলে ফল খাওয়া খুবই ভালো। তাই হালকা খাবার হিসেবে চিপসের পরিবর্তে ফল খা্ওয়ার অভ্যেস করা উচিত। তবে হাতের কাছে পাওয়া যায় বলে চিপস খাওয়া হয় বেশি। এজন্য ফল কোথায় ভালো পাওয়া যায় সেটা জেনে রাখা দরকার। পাশাপাশি বাসায় ফেরার পথে ফল কিনে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
বাড়ি থেকে বের হলে, অফিস যাওয়ার সময় একটি আপেল বা কমলা ব্যাগে নিয়ে বের হন। মধ্য বেলা বা বিকালের নাস্তায় ফল খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়ে যাবে।
রঙিন শাকসবজি ও সালাদ :
সালাদ খাওয়ার অভ্যেস করুন। শরীর ক্যালরি ছাড়াই পুষ্টি পাবে। বিভিন্ন রঙের শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে। তাই রঙিন সবজি খাওয়া খুবই ভালো।
বাড়তি খাবার এড়িয়ে চলা
খাবারের সামনে বসে থাকা মানেই, খাবার বলবে ‘আমাকে খাও!’ খাবারের সামনে বসে থেকে এরকম ‘প্রলুব্ধ’ হওয়ার কি দরকার।
তাই বেঁচে যাওয়া খাবারের সামনে বসে না থেকে উঠে পড়ুন।