Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Heart => Topic started by: Lazminur Alam on October 18, 2015, 12:25:06 PM

Title: কীভাবে জানব হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?
Post by: Lazminur Alam on October 18, 2015, 12:25:06 PM
ঢাকার একজন সাংবাদিক ২ অক্টোবর রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স ছিল মাত্র ৪৯ বছর। এ রকম আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে আগেও অনেকের অকালমৃত্যু হয়েছে। আমরা সবাই শোক জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিবারই সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কার কথা কি আগে থেকে টের পাওয়া সম্ভব নয়? হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটা সম্ভব। কিছু লক্ষণ থেকে অন্তত দু-চার মাস আগেই নিজে কিছু ধারণা করতে পারেন এবং তখন থেকেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে চললে হঠাৎ মৃত্যু এড়ানো সম্ভব। আসুন, জেনে নিই লক্ষণগুলো কী।
১. নিজের অভিজ্ঞতাই বলি। তখন বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। সকালে হাঁটার সময় লক্ষ করি, মধ্যম গতিতে একটানা মিনিট পনেরো হাঁটলে বাঁ হাতের আঙুলের ডগায় একধরনের তীব্র ব্যথা হয়, কিন্তু থামলেই ধীরে ধীরে চলে যায়। এ থেকে আমি ধারণা করি, হৃৎপিণ্ড হয়তো বাড়তি পরিশ্রমের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছে না। স্বাভাবিক রক্ত সরবরাহ থাকলে শরীর অক্সিজেন পায় এবং তার সাহায্যে কোষে সঞ্চিত শর্করা পুড়িয়ে শক্তি অর্জন করে। আমি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যাই। সেখানে ওই সময়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম মহিবুল্লাহ, (বর্তমানে ঢাকার বারডেম হাসপাতালের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ও হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান) ইটিটি (এক্সারসাইজ টলারেন্স টেস্ট বা স্ট্রেস টেস্ট) করে দেখেন, আমার হার্টের অবস্থা খারাপ। মাস খানেক পর এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, হৃৎপিণ্ডের তিনটি ধমনিতে পাঁচটি ব্লক। অথচ আমি আগে কিছুই বুঝতে পারিনি। দ্রুত বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিমুক্ত হই।
২. ডা. মহিবুল্লাহ বলেন, যদি কখনো বুকে চিনচিন ব্যথা হয়, আবার কিছুক্ষণ পর আপনা-আপনি চলে যায়, অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের জন্য এ রকম হচ্ছে ভেবে বসে থাকা যায় না। এটা অ্যানজাইনার লক্ষণ হতে পারে, যার অর্থ সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে রক্তসঞ্চালনের কাজ করার জন্য হৃৎপিণ্ড নিজেই মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় রক্ত পাচ্ছে না। অ্যানজাইনা থেকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে।
৩. যদি সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠেন (শর্টনেস অব ব্রেথ), মুখের নিচের চোয়াল ও গলা ধরে আসে, দম বন্ধ হয়ে আসে, বুক থেকে ছড়িয়ে পড়া হালকা ব্যথা কাঁধ ও বাঁ হাত বেয়ে নামতে থাকে, বুঝতে হবে এটি শেষ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের দিকে যেতে পারে। এ রকম প্রায়ই হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. বুক ভার, একটা চাপ, মাথা ঝিমঝিম বা সহজেই ক্লান্তি—এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে হার্টের সমস্যা আছে।
৫. সিগারেট, জর্দা, তামাক প্রভৃতি হার্ট অ্যাটাকের একটি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই বদঅভ্যাস ছাড়তে হবে। আর প্রতিদিন একটানা ১০-১৫ মিনিট করে দিনে দু-তিনবার মাঝারি গতিতে হাঁটলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কার কিছু না কিছু পূর্ব লক্ষণ বেশ কিছু সময় আগে থেকেই টের পাওয়া সম্ভব। তখন থেকে সতর্ক হলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।




http://www.prothom-alo.com/life-style/article/650494/কীভাবে-জানব-হার্ট-অ্যাটাক-হতে-পারে