Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Faculty Forum => Topic started by: shirin.ns on November 22, 2015, 01:38:54 PM
-
হাল্কা শীতের পরশ বইছে। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করুন।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকেও কিছু পরিবর্তন আসে। গরমে ত্বকে যে রকম সমস্যা, শীতের সমস্যা অনেকটা ভিন্ন। আবার ত্বকের ধরন যখন শুষ্ক তখন সব ঋতুতেই প্রধান সমস্যা থাকে শুষ্কতা।
সারা বছরই যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে শীতের সময় তাদের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে এ ধরনের ত্বকে একটু যত্ন নিলেই ফ্রেশ থাকার পাশাপাশি সুন্দরও থাকে।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড’য়ের কর্ণধার অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
শুষ্ক ত্বকে তেল গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে। ফলে ত্বক অল্পতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এ ধরনের ত্বকে বলিরেখা তাড়াতাড়ি পড়ে, শীতের সময় শুষ্কতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এক ধরনের অস্বস্তি হয়।
সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যত্ন করে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে দুতিন দিন নিয়ম করে স্ক্রার্বিং করতে হবে। আমন্ড অয়েল এ ধরনের ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বকে ক্রিম সমৃদ্ধ ক্লেজার ব্যবহার করা উচিত। আর টোনিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ফ্লাওয়ার’ সমৃদ্ধ টোনার শুষ্ক ত্বকের উপযোগী। কখনও অ্যালকোহল সমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ত্বকে অ্যালকোহল আরও বেশি শুষ্ক করে দেয়।
ঘরোয়া উপায়ে যদি পরিষ্কার করতে চান তবে বেসন ভালো ক্লেনজার। সাবানের পরিবর্তে বেসন দিয়ে দিনে দুতিনবার পরিষ্কার করুন।
এ সময় শুষ্কতার থেকে রক্ষা পেতে বেসনের সঙ্গে কাঁচাদুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে এবং দেহের অনাবৃত অংশে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার উজ্জ্বল ও মোলায়েম হবে।
স্ক্রার্বিংয়ের সময় এই মিশ্রণের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিলিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর উষ্ণ পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে মিশিয়ে নিন।
তৈলাক্ত হলেও শীতের সময় ত্বক একটু শুষ্ক অনূভুত হয়। এক্ষেত্রেও ত্বকের জন্য এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে। তবে চিনির পরিবর্তে তৈলাক্ত ত্বকে মধু ভালো কাজ করবে। বেসনের ক্ষেত্রে মুসুর ডালের বেসন তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী।
মধু ত্বকে বাড়তি পুষ্টি যোগান দেয়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ত্বক পরিষ্কার করার একদুই মিনিটের মধ্যে টোনিং করতে হবে।
তুলায় টোনার নিয়ে ত্বকে একবার বুলিয়ে নিন। টোনার ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের রোমকূপগুলো সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বক সতেজ রাখে। এরপর ময়শ্চারাইজিং করুন। পাকাপেঁপে ও মধু মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
পাকাপেঁপে ‘ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার’ হিসেবে ভীষণ ভালো কাজ করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনই রাত্রে শোবার আগে ত্বক পরিস্কার করে ভালো ব্র্যান্ডের একটা নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। এটা রুক্ষতা দূর করে ত্বক আদ্র করে তুলবে।