Daffodil International University
Faculties and Departments => Teaching & Research Forum => Topic started by: silmi on November 23, 2015, 12:54:30 PM
-
প্রতি বছরেই হয়তো ঘুরতে যাওয়া হয় পৃথিবীর এখান থেকে সেখানে। নতুন নতুন অনেক জিনিসই দেখা হয়। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো দেরী না করে খুব তাড়াতাড়িই দেখে আসা উচিত আপনার। ভাবছেন, কেন এত তাড়াহুড়ো? পালিয়ে যাচ্ছে নাকি জায়গাগুলো? হ্যাঁ! শুনতে অদ্ভূত শোনালেও কয়েক বছর পর হয়তো পালিয়েই যাবে ওগুলো আপনার হাতের নাগাল থেকে। আর তাই চটজলদি ঘুরে আসুন জায়গাগুলো থেকে।
১. গ্ল্যাসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক
১০ হাজার বছর আগে মন্টানা গ্ল্যাসিয়ার ন্যাশনাল পার্কের বরফের পরিমাণ ছিল ১.৬ কিলোমিটার গভীর। ১৯১০ সালে উদ্যানটি চালু করার সময়েও সেখানে ছিল ১৫০ টি গ্ল্যাসিয়ার বা বরফের হিমবাহ। বর্তমানে সেগুলোর মাত্র ২৫ টি টিকে আছে এবং মনে করা হচ্ছে ২০৩০ সালের ভেতরে এই হিমবাহগুলোও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গরম। বর্তমানে পৃথিবীর অন্য স্থানগুলোর চাইতে ১.৮ বার বেশি উষ্ণ হচ্ছে এই উদ্যানটি। বরফের কারণে এখানে গড়ে ওঠা প্রাণী শৃঙ্খলাও ভেঙে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর তাই দেরী হযে যাওয়ার আগেই দেখে আসুন অত্যন্ত আকর্ষনীয় এই জায়গাটি।
২. দ্যা ভ্যালি অফ কিং
রাজার উপত্যকা নামের এই উপত্যকাটি অবস্থিত মিশরে। মিশরের আরো অনেক স্থান, যেমন- পিরামিড বা তুতেনখামেনের কবর এর ভেতরেই চোর ও ডাকাতের কাছ থেকে হুমকির সম্মুখীন হলেও দ্যা ভ্যালি অব কিং এগুলোর চাইতে একেবারে ভিন্ন একরকমের বিপদের মুখে আছে, আর সেটি হচ্ছে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক! পুরো স্থাপত্যের ভেতরে বাতাস চলাচলের সুবিধা এতোটাই কম যে এর ভেতরেই দেয়ালে ও সমাধিতে ফাঙ্গাস পড়া শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আর ১৫০ বছর পরেই হাওয়া হযে যাবে এই স্থাপত্যটি। দেখে আসতে পারেন এই স্থাপত্যটিও।
৩. সিসিলিস
মাদাগাস্কার থেকে খানিকটা দূরে ১১৫ টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা স্বর্গীয় একটি জায়গা হচ্ছে সিসিলিস। অনেকেই পৃথিবীর ওপরে অবস্থিত এই এক টুকরো স্বর্গের কথা এর আগে শোনেননি। ১৬০০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা আবিষ্কারের পর থেকেই একেবারে মানুষহীন অবস্থায় পড়ে আছে দ্বীপগুলো। পরবর্তীতে জলদস্যুদের স্বর্গেও পরিণত হয়েছিল এটি। তবে বর্তমানে তিমি আর হাঙরের আবাসভূমি হিসেবে বিখ্যাত এটি। তবে অসাধারণ এই জায়গাটি আর ৫০ বছরের ভেতরেই হারিয়ে যেতে পারে পানির নীচে। তাই দেরি না করে ঘুরে আসুন চটজলদি!
৪. গালাপাগোস
প্রকৃতির প্রতি স্বাভাবিক একটা টান আমাদের সবারই রয়েছে। আর সত্যিই যদি আপনি পছন্দ করেন জীববৈচিত্র্য আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে তাহলে ঘুরে আসুন জীব-জন্তুর অসাধারন এক মিলনমেলা গালাপাগোসে। প্রায় ৯,০০০ প্রজাতির প্রাণী আছে এখানে। যেগুলোর অনেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পাওয়া যায়না পৃথিবীর কোথাওই! তবে দিনকে দিন পর্যটক, কর্মী আর বাইরের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিলুপ্তির মুখে পড়ে গিয়েছে অন্যরকম এই অভয়ারণ্য। পৃথিবীর আরো অনেক স্থানের মতন একেবারেই হারিয়ে যাওয়ার আগেই দেখে আসুন প্রাণীগুলোকে।
৫. তাজমহল
অসাধারণ সুন্দর স্থাপত্যের নিদর্শন ভারতের সম্রাট শাহজানের দ্বারা স্ত্রী মুমতাজের প্রতি নিবেদিত বিখ্যাত তাজমহলকে কে না চেনে? দিন কিংবা রাত, সবসময়েই নিজের মহিমায় পুরো পৃথিবীকে সৌন্দর্যের উদাহরন দেখিয়ে দেয় তাজ। কিন্তু সামনের পাঁচ বছরের ভেতরে তাজমহলকে জনসাধারনের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও পানি আর জলবায়ু দূষনের ফলে তাজমহলের সাদা রঙ খানিকটা হলদেটে হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর তাই এখনো যারা দেখেননি তাজকে, সময় করে একবার দেখেই আসুন।
-
We should try to visit at least one of these.
-
Interesting :)
-
Thanks for sharing.. Very informative post
-
Good advice indeed.
Sorry to say that we treat nature as we,the people treat each other in the human world.
-
Thanks for sharing.
-
thanks for your post . I shall try to visit the places.
-
Interesting post. Thanks for sharing...
-
Thank u for the sharing