Daffodil International University

Faculties and Departments => Teaching & Research Forum => Topic started by: silmi on November 23, 2015, 12:56:56 PM

Title: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: silmi on November 23, 2015, 12:56:56 PM
ঘুরতে তো সবাই-ই কম বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরে ঘুরতে যাওয়া! এও কি সম্ভব? সত্যিই সম্ভব। আর সেটা যে ঠিক কতখানি বিপদজনক, তার উদাহরণ জানতে দেখে নিন এই পর্যটনস্থলগুলোকে। এই স্থানগুলোতে মৃত্যু হবার সমূহ সম্ভাবনা সাথে করে নিয়ে বেড়াতে যান পর্যটকেরা এবং... মারাও যান! হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। চলুন, জেনে নিই সেই ভয়াল স্থানগুলোর কথা।
১. বলিভিয়া

বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে কার না থাকে? নিজের ইচ্ছেমতন মাটিতে হাওয়ার বেগে উড়ে চলার এই অভিজ্ঞতা প্রায় সবাই-ই নিতে চায়। বিশেষ করে বলিভিয়ায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা। আঁকাবাকা রাস্তা ধরে টানা বাইকে ঘোরাঘুরি কেবল। শুনতে আরো রোমাঞ্চকর লাগবে আপনার যখন আপনি জানবেন যে এই রাস্তাটা পুরোটাই চলে গিয়েছে পাহাড়ের ওপর দিয়ে অনেকটা সরু হয়ে। পাহাড়ের ওপরে রাস্তা? তাও আবার সরু? শুনে অনেকেই হয়তো পেছাবেন খানিকটা। কিন্তু তারপরেও থেকে যান কিছু মানুষ যারা শেষ অব্দি বাইকে ভ্রমণটা সেরেই ফেলেন। তাও আবার বলিভিয়ার সবচাইতে বিপদজনক রাস্তা ইউনগাসের ওপর দিয়েই। ৪০ থেকে ৫০ অব্দি গতিবেগ নিয়ে যান তারা। আর ফলাফল? প্রতি বছর প্রায় ২০০ জন পর্যটককে নিজের কাছে টেনে নেয় ইউনগাসের নীচটা।
২. হুয়াশান পাহাড়

চীনে মোট ৫ টি পাহাড় রয়েছে যেগুলো একসাথে ফুলের মতন আকৃতি নিয়েছে সময়ের বিবর্তনে। আর এদের ভেতরে ধর্মীয় দিক থেকে সবচাইতে এগিয়ে রয়েছে হুয়াশান নামের এই পাহাড়টি। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে এই পাহাড়ে ট্র্যাকিং-এর জন্যে। একে পবিত্র, তারপর ট্র্যাকিং এর জন্যে আদর্শ! আর কী চাই? এখানে মারা গেলে পবিত্র স্থানে মারা যাবার খেতাব ও বিনামূল্যের শেষকৃত্য পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে সেই সাথে আছে সাত হাজার ফুট ওপর থেকে পড়ে মারা যাবার ভয়ও। তবে এত ভয়ও দমিয়ে রাখতে পারেনা অনেককে। পৃথিবীর নানা কোণ থেকে আসা প্রায় ১০০ মানুষ প্রতি বছর মারা যায় এখান থেকে পড়ে।
৩. চারনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট

২৫ বছর আগের কথা। হঠাৎ করেই ইউক্রেনে প্রিপিয়াটে অবস্থিত চারনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট নামের এই প্ল্যান্টটি বিস্ফোরিত হয় এবং এর ভেতরকার রেডিয়েশন পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতদিনে সবটা একদম ঠিকঠাক হয়ে গেলেও প্রিপিয়াটে ব্যাপারটা কিন্তু আগের মতনই আছে। একই রকম রেডিয়েশনে ভরা স্থানটি থেকে হুটহাট বিষাক্ত রাসায়নিক বের হয়ে মেরে ফেলে আশপাশের অনেককে। এতটা জানবার পরে কি জীবনটা হাতে নিয়ে আর এমন জায়গায় ঘুরতে যাবেন আপনি? তবে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে সেটাই হয় এবং প্রতিবছরই বেশকিছু মানুষ মারাও যায় এখানটা ঘুরতে এসে। আর এ জন্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হয় ভেতরে ঢোকার প্রবেশমূল্যও!
৪. সেরো নেগ্রো

নিকারাগুয়ায় অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিটি গত ১০০ বছরে মোট ২৩ বার উদ্গীরন করেছে। সামনে হয়তো আরো বেশি করতে পারে। প্রায়ই এটাকে কাঁপতে দেখা যায়। এর পাশের মানুষগুলোর উচিত তখন সেখান থেকে সরে যাওয়া। কিন্তু তারা সেটা তো করেই না, উল্টো পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি কেবল এই আগ্নেয়গিরিটির জন্যে। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে নানারকম প্যাকেজ নিয়ে যেখানে তাদেরকে আগ্নেয়গিরি কাঁপবার সময়েই হেলিকপ্টার করে সেটার ওপর বসিয়ে দেওয়া হবে এবং পিছলে নীচে নেমে যাবে তারা। এখনো অব্দি কোন মৃত্যু না হয়নি যদিও এখানে। তবে হতে আর কতক্ষণ!
৫. অষ্ট্রেলিয়া

প্রচন্ড ক্ষুধার্ত কোন কুমিরের কাছে যাওয়ার কথা ভেএছেন কখনো? শুধু ভাবনাই নয়, সেটাকে পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত করে ফেলে বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা। ১৫ মিনিটের জন্যে টাকা খরচ করে এক্ষেত্রে কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুর খাঁচাতে ঢুকে পড়ে তারা যেখানে তাদের মুখোমুখি হয় ভয়ংকর সব কুমির!
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: Saujanna Jafreen on November 23, 2015, 08:07:15 PM
 :)
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: Antara11 on November 25, 2015, 04:07:22 PM
never want to go.
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: Ishtiaque Ahmad on November 29, 2015, 12:49:51 PM
Thanks for sharing.. Very informative
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: nadimhaider on December 24, 2015, 01:22:58 PM
I am afraid. happy these are not in Bd.
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: irina on January 06, 2016, 10:15:23 AM
Good to know. But :(
Title: Re: মৃত্যু ফাঁদ পেতে আছে ভয়াল যে পর্যটনস্থলগুলোতে!
Post by: monirulenam on March 02, 2016, 11:43:00 AM
Thank You