Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: Md. Fouad Hossain Sarker on November 23, 2015, 04:34:08 PM
-
প্রাণ খুলে হাসলে আয়ু বাড়ে এটি সবাই জানে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো কাঁদলেও আয়ু বাড়ে। শুধু তাই নয়, কাঁদার সুফলও অনেক। যেমন কাঁদলে মানসিক চাপ কমে, স্বাস্থ্য ভাল থাকে, ভাল বোধ হয়, রক্ত চলাচল বাড়ে এবং শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধী উপাদান তৈরি হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এসব চমৎকার তথ্য উঠে এসেছে। তবে অতিরিক্ত কান্না শরীরের জন্য ভাল নয় বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই কান্নায় সুফল পায়। তবে কৃত্রিম কান্নায় কোন সুফল নেই। বরং এই ধরনের কান্না শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গবেষকদের দাবি, কান্নার সঙ্গে অবশ্যই আবেগের বিষয়টি থাকতে হবে। এই ধরনের কান্নার জন্য একটি নির্দিষ্ট কারণ থাকতে হবে। গবেষকরা আরও বলছেন, কান্না চোখের জন্যও উপকারী। যেমন কাঁদলে চোখ দিয়ে এক ধরনের তরল পদার্থ বের হয়। এতে চোখ জ্বালাপোড়া কমে। চোখ ভাল থাকে। শরীরের ব্যথাও কমে যায়। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক উইলিয়াম ফ্রে বলেন, কান্নার ফলে মানুষের মানসিক চাপ কমে যায়। এতে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমে আসে এবং মস্তিষ্ক ভাল থাকে। পাশাপাশি মানুষের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। কান্নার রয়েছে আরও সুফল। যেমন সারা দিনের ধুলো-বালি চোখের খুব ক্ষতি করে। চোখের পানি এসব ধুয়ে বের করে দেয়। চোখের পাতাকে মসৃণ রাখে। চোখের মিউকাস মেমব্রেনের ডিহাইড্রেশন রোধ করে। এতে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়।
চোখের পানিতে বেশি মাত্রায় লাইসোজোম উপস্থিত। লাইসোজোম জীবাণুনাশক। এই লাইসোজোম মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই চোখের ৯০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। কান্না মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দেয়। কাঁদলে অবসাদের সঙ্গে দেহে উৎপন্ন টক্সিনও বের হয়ে যায়।
কান্নার সুফল নিয়ে একই ধরনের গবেষণা হয়েছে জাপানের বাঙ্কা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নাগানো কলেজে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কান্নার ফলে উভয় চোখ দিয়ে গড়ে শূন্য দশমিক দুই এম এল পানি বের হয়। তারা বলছেন, এখানে শতকরা ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ নারী-পুরুষের পানি চোখ দিয়ে বের হয়ে চিবুক পর্যন্ত গড়িয়েছে। যাদের পানি চিবুক পর্যন্ত গড়িয়েছে তারা অতিরিক্ত কষ্টে কান্নাকাটি করেছে। যাদের পানি চিবুক পর্যন্ত গড়ায়নি তারা অপেক্ষাকৃত কম কষ্টে কেঁদেছে। আর যাদের পানি চিবুক পর্যন্ত গড়ায়নি তারা বেশি উপকৃত হয়েছে। ইন্ডিপেনডেন্ট অবলম্বনে নাজিম মাহমুদ। - See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/152744/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%81_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87#sthash.uSdWuOpN.dpuf