Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Women => Topic started by: Sahadat on November 26, 2015, 07:41:09 PM
-
কিছু কিছু রোগ নিঃসন্দেহে নারীদেরকেই আক্রান্ত করে বেশি। যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং অস্টিওপোরোসিস। কিন্তু এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো নারীদেরকেই বেশ আক্রান্ত করে এবং এ ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের জানা নেই বললেই চলে। কার্পাল টানেল থেকে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত নারীদের মাঝে বেশি হতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিৎ।
এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদকের কথা বলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়ের সাথে। তিনি জানান, আমাদের দেশে মেয়েদের মাঝে সবচাইতে বেশি দেখা যায় UTI অর্থাৎ ইউরিন ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের প্রকোপ। ওভারি সংক্রান্ত রোগ তো শুধু মেয়েদেরই হয়। ব্রেস্ট ক্যান্সারটাও মেয়েদের বেশি হয়। অন্যান্য রোগের মাঝে দেখা যায় অ্যাজমা, সায়াটিকা, মাইগ্রেইন, গলব্লাডার স্টোন, ইনফ্লামেটরি ডিজিজ এগুলো মেয়েদের বেশি হয়। এছাড়া হৃদরোগের ক্ষেত্রে ভাল্ভ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো মেয়েদের বেশি হয়।
Huffington Post থেকে দেখা যায়, নিউ ইয়র্কের ডাক্তার নিয়েসা গোল্ডবার্গের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারে এমনই কিছু রোগের কথা যা নারীদের মাঝে বেশি হয়। জেনে নিন এগুলোর ব্যাপারে।
১) থাইরয়েডের রোগ
ডক্টর গোল্ডবার্গ জানান, পুরুষের তুলনায় নারীদের থাইরয়েডের রোগ হবার ঝুঁকি সাতগুণ বেশি। হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম ধরণের সমস্যাগুলো এবং এদের সাথে দেখা যাওয়া বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে অন্য রোগের মতো মনে হতে পারে। তবে এসব রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা এখন অনেকটা পরিচিত হয়ে পড়েছে আমাদের দেশেও।
২) হাইপারটেনশন
নারীর মৃত্যুর বড় একটি কারণ হলো হৃদরোগ এবং প্রতি ৫ জনে মাত্র একজন নারী বুঝতে পারেন যে তিনি আক্রান্ত। নারীদের বয়স ৫৫ পার হবার পর এই ঝুঁকিটা বাড়ে। সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কম রাখা যেতে পারে।
৩) স্ট্রোক
৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের চাইতে পুরুষের বেশি স্ট্রোক হতে দেখা যায়। কিন্তু ৭৫ বছর বয়সের পর, বিশেষ করে ৮৫ এর পর নারীদের স্ট্রোক থেকে মৃত্যু বেশি হতে দেখা যায়।
৪) আলঝেইমার্স ডিজিজ
পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ হবার ঝুঁকি অনেক বেশি। যাদের আয়ু বেহসি তাদের আলঝেইমার্স বেহসি হতে দেখা যায় বটে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা আলঝেইমার্স ঝুঁকি কম রাখতে সাহায্য করে।
৫) মাইগ্রেইন
পুরুষের তুলনায় তিনগুণ নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয়.কমকে ডাক্তার লুৎফুন্নাহার জানান, মূলত নারীদের পিরিয়ডের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের মাইগ্রেইন বেশি হতে দেখা যায়। মেনোপজের পর এটি কমে যেতে দেখা যায়।
৬) অটোইমিউন/ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, লুপাস- এ ধরণের প্রায় ১০০টি রোগকে একসাথে বলা হয় অটোইমিউন ডিজিজ। এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের ৭৫ শতাংশ হলেন নারী। এগুলো নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে।
৭) গলব্লাডার স্টোন
বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং বয়স ৪০ পার করা স্থুল শরীরের নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। একে এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখা উচিৎ। খাবারে রাখা উচিৎ অনেকটা ফাইবার এবং কমানো উচিৎ অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া।
এছাড়া আরও কিছু রোগ যা নারীদের বেশি হয়-
১। অ্যাজমা
২। কার্পাল টানেল সিনড্রোম
৩। ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম
৪। ডিপ্রেশন
৫। ফাইব্রোমায়াগ্লিয়া
৬। আইবিএস
৭। ইনসমনিয়া
৮। অস্টিপোরোসিস
৯। রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
১০। ইউটিআই
-
Very much informative.