Daffodil International University

Health Tips => Food => Topic started by: taslima on December 26, 2015, 04:51:37 PM

Title: কিসমিসে আছে বিস্তর উপকার
Post by: taslima on December 26, 2015, 04:51:37 PM
মুখোরোচক খাবার প্রস্তুতে কিসমিসের ব্যবহার চলে। বিশেষ করে মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। শুধু খেতেও বেশ দারুণ। অধিকাংশ বাচ্চাদের কাছে এটি প্রিয় খাবার। কিসমিসের খাদ্যগুণ অনেক উপরের সারিতে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে পাবেন খাদ্যশক্তি ২৯৯ কিলো ক্যালরি, প্রাকৃতিক চিনি ৭৯.১৮ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ৩.৭ গ্রাম, প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম, ভিটামিন সি ২.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ৩.৫ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৮৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৪৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, জিংক ০.২২ মিলিগ্রাম, ফ্লুরাইড ২৩৩.৯ মাইক্রোগ্রাম। কিসমিসের এসব উপাদান শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে অনেক উপকারী। জেনে নেয়া যাক কিসমিসের বিস্তর উপকার সম্পর্কে-

– কিসমিসে থাকা চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ তাৎক্ষণিকভাবে দেহে শক্তি সরবরাহ করে। তাই দুর্বলতা দূর করতে কিসমিস খুবই উপকারী।

– বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে ফেলে। এগুলোর পরিবর্তে বাচ্চাদের কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। আবার একই স্বাদ পাওয়ার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ উপকারও পাবে। কিসমিসের ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।

– কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিসমিসে আরও রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। এই উপাদান হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে।

– কিসমিসের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান, যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা দর করে।

– কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যানসারের কোষ উৎপন্ন হওয়াকে বাধা দেয়। কিসমিসে আরও রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পলিফেনলিক অ্যাসিড। এটি ক্যানসার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

– কিসমিস থাকা প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

– রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

– এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) সমস্যা থাকলে কিসমিস উপকারী ভূমিকা পালন করে।

– প্রতিদিন কিসমিস খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

– কিসমিসের বোরন নামক খনিজ পদার্থটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

– কিশমিশের প্রধান উপাদান, পটাশিয়াম, রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। কিশমিশ শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

http://www.radiopadma.com/?p=7516
Title: Re: কিসমিসে আছে বিস্তর উপকার
Post by: monirulenam on March 02, 2016, 01:41:44 PM
nice