Daffodil International University
Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: akazad600 on February 04, 2016, 03:06:34 PM
-
মাস তিনেক আগে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের কোথাও হুট করেই বদলে গেল পরিবেশ। অক্টোপাস-তারামাছ-কাঁকড়া তো ছিলই, কোত্থেকে উদয় হলো ৩৮ হাজার পাউন্ড ওজনের পেটমোটা ক্যাপসুল আকৃতির এক কনটেইনার! আকারে ঢাউস হলেও সে বস্তু নড়েচড়ে না, টুঁ শব্দটাও করে না। জলজ প্রাণীগুলো মাথা চুলকে মরলেও মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষের ঠিকই জানা ছিল ওই বস্তুর নাড়িনক্ষত্র।
মাইক্রোসফট করপোরেশনের একদল গবেষক পুরো এক ডেটা সেন্টার এই ক্যাপসুলের মধ্যে ভরে ১০৫ দিন অথই জলরাশির নিচে ফেলে রেখেছিলেন। ‘প্রোজেক্ট ন্যাটিক’ ছদ্মনামের সফল এই পরীক্ষণের ফলে এখন সমুদ্রের তলদেশেও যে ডেটা সেন্টার নির্মাণ সম্ভব, তা জানা গেল। প্রশ্ন হলো, ধু ধু মরুপ্রান্তর আছে, আদিগন্ত সবুজ মাঠ আছে, সমুদ্রের নিচেই কেন?
কারণ, ডেটা সেন্টার আকারে খুব বড় হয়। কোনো কোনোটা তো পুরো এক ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। তাতে সারি সারি সাজানো সার্ভার থেকেই আসে ইন্টারনেটে পাওয়া সব তথ্য। এই সার্ভারগুলো প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। ঠান্ডা করার জন্য কুলিং সিস্টেমের পেছনে ঢালতে হয় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। সমুদ্রের হিমশীতল পানির নিচে ডেটা সেন্টার করলে প্রাকৃতিক উপায়েই তা ঠান্ডা থাকবে। আলাদা করে ঠান্ডা করতে হবে না।
আরেকটি সুবিধা হলো, সমুদ্রের তীর ঘেঁষেই গড়ে ওঠে সভ্যতা। জনবসতিও এই এলাকাগুলোতেই বেশি। সমুদ্রের তলদেশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে কাছের এলাকাগুলোয় দ্রুততর ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া ক্যাপসুলের সঙ্গে টারবাইন লাগানো সম্ভব হলে সমুদ্রস্রোত কাজে লাগিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। সব দিক থেকেই ধারণাটি লাভজনক।
সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ—প্রবল পানির চাপ সহ্য করে দীর্ঘদিন ক্যাপসুলগুলো কর্মক্ষম থাকবে কি না!
* নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে
-
good post