Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: habib on February 07, 2016, 11:39:34 AM

Title: পূর্বসূরিদের ভার নামালেন মেহেদীরা !!
Post by: habib on February 07, 2016, 11:39:34 AM
পূর্বসূরিদের ভার নামালেন মেহেদীরা !!

(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/643x0x1/uploads/media/2016/02/05/8ede0785a38f24c783ed7736149fa0e9-After-win-selfi.jpg)
আত্মবিশ্বাসী মিরাজরা ম্যাচ শেষে সেলফি তুলেই করে নিলেন সেমিফাইনালে ওঠার উদ্‌যাপন

সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবাল এই মুহূর্তে রয়েছেন দুবাইয়ে, খেলছেন পাকিস্তান সুপার লিগে। খবরটা তাঁরা নিশ্চয়ই পেয়ে থাকবেন। যুব বিশ্বকাপে তো বটেই, ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এই প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এমন সুখবরে তারকা-ত্রয়ী নিজেদের একটু হালকা বোধ করতেই পারেন। তাঁদের বুকের ওপর থেকে কি নেমে গেল না একটা পাথর ভার!
শুধু সাকিব-তামিম-মুশফিক কেন; দেশের কত ক্রিকেটার দীর্ঘশ্বাসটা বয়ে বেড়াচ্ছিলেন বছরের পর বছর। এমনিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দারুণ খেলে, কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে গিয়ে কেন যেন বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলে! এর আগে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বাংলাদেশ ফিরেছে তিনবার। পূর্বসূরিরা যা পারেননি, মেহেদী-নাজমুল-জাকিররা তা-ই করে দেখিয়েছেন। কাল মিরপুরে কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে পূর্বসূরিদের ভারটা নামিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

যুবাদের এমন অর্জনে সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়কেরাও ভীষণ তৃপ্ত। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০২ যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাফিস ইকবাল তো মেহেদীদের সাফল্যে অভিভূত, ‘অভিনন্দন! নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। মিরাজ ও তাঁর দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আশা করি, এই দল অনেক দূরে যাবে।’

কাল মেহেদী-জাকির হাসানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে কাঙ্ক্ষিত জয়। এই দুজনের ব্যাটিং মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে নাফিসের মনে, ‘আজ (কাল) খানিকটা চাপে ছিল ওরা। তবে জাকির-মিরাজ যেভাবে ব্যাটিং করল, দুর্দান্ত! এই বয়সে ওরা যে পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে, এক কথায় অসাধারণ!’

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মেহেদী যেমন নিজেকে চিনিয়েছেন আলাদাভাবে, এর আগে সেভাবে চিনিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসানও। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৫৭ ম্যাচে করেছিলেন ১১৬৮ রান, নিয়েছিলেন ৬৬ উইকেট। খেলেছিলেন ২০০৮ যুব বিশ্বকাপ। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১০ যুব বিশ্বকাপে। শিরোপা দূরে থাক, মাহমুদুলরা সেমিফাইনালেও উঠতে পারেননি। মিরাজদের সাফল্যে সেই আক্ষেপ কি দূর হলো? স্পষ্ট কিছু না বললেও মেহেদীদের সাফল্য ছুঁয়ে যাচ্ছে মাহমুদুলকেও, ‘আক্ষেপ বলতে...আসলে এই দলকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশা ওরা নিজেরাই তৈরি করেছে। দলটা অনেক দিন ধরে শুধু একসঙ্গে খেলছে না, দারুণ করছেও।’

যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১৯ রান করা এনামুল হক খেলেছেন ২০১০ বিশ্বকাপে। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া ২০১২ যুব বিশ্বকাপে। উত্তরসূরিরা পেছনের সব সাফল্য ছাড়িয়ে যাওয়ায় আপ্লুত এনামুলও। এই ‘ছাড়িয়ে’ যাওয়াকে দেশের ক্রিকেটের উন্নতির সূচক মনে করছেন তিনি, ‘সবাই তো চায়, আগের অর্জনকে ছাড়িয়ে যেতে। ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে। নইলে উন্নতি হবে কী করে? আমাদের ক্রিকেট যে এগোচ্ছে, এটা তারই প্রমাণ। আশা করি, ভবিষ্যতে যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে।’

এনামুলের কাছে সেমিফাইনাল এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ চারে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে পারে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো এক দল। এনামুল মনে করেন, এই কঠিন ধাপটা পেরোলেই ইতিহাস গড়া কঠিন হবে না মেহেদীদের, ‘মনে হয় সেমিফাইনাল পেরোতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কঠিন কিছু হবে না, সে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক। সেমিফাইনালটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

মাহমুদুলও একমত এনামুলের সঙ্গে। মেহেদীরা এত দূরে এসেছেন ধাপে ধাপে এগিয়ে। বাকি পথটাও তাঁরা পেরিয়ে যান একইভাবে!