Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Nutrition and Food Engineering => Topic started by: tasnuva on February 09, 2016, 01:46:56 PM
-
বেদানা কার না প্রিয়। ক্লান্তি মেটাতে এক গ্লাস বেদানার জুস সবারই পছন্দ। সেই সাথে বেদানার রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণাবলি। চলুন জেনে নিই বেদানার উপকারিতা।
ডাইরিয়ার সমস্যায় বেদানা খুবই উপকারী। দিনে দুই তিন বার বেদানার জুস খেতে পারলে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতের সময় জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি থেকে বাঁচার জন্য বেদানার জুস খেতে পারেন।
অজীর্ণ রোগের উপশমে বেদানার রস উপকারী।
বমিভাব দূর করতে হলে মধু ও বেদানার রস সম পরিমাণে মিশিয়ে পান করুন।
বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যার ফলে আপনার শরীরের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হার্টে অক্সিজেন সরবরাহে ও রক্ত চলাচল ভালো রাখতে বেদানার রস উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, তিন মাস প্রতিদিন এক কাপ করে বেদানার রস খেলে হার্টের মাসলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।
ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-সি, সাইট্রিক অ্যাসিড ট্যানিন-সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেদানার রস উপকারী।
গর্ভবতী নারীরা চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে বেদানা খেতে পারেন। এতে শরীরে রক্ত-সঞ্চালন বাড়ে এবং শিশুর ব্রেইনে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
গলাব্যথা কমাতেও বেদানার জুস খেতে পারেন।
এক কাপ বেদানার জুসে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও অল্প মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর চাঙা থাকে।
একটা বেদানায় রয়েছে ১০৫ গ্রাম ক্যালরি, ১২৪ গ্রাম পানি, ১.৪৬ গ্রাম প্রোটিন, ৩৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৯.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
মনে রাখুন
আপনি নিয়মিত কোনো ওষুধ খেলে বেদানা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
বেদানা কেনার সময় ভারি ও দাগবিহীন বেদানা কিনবেন।
বেদানার জুস জামাকাপড়ে ফেলবেন না। দাগ হয়ে যাবে।
বেদানার জুস তৈরি করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলুন, বেশিক্ষণ রাখবেন না।
-
Useful link to provide with.