Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: 750000045 on February 11, 2016, 03:57:07 PM

Title: খনিজের সন্ধানে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
Post by: 750000045 on February 11, 2016, 03:57:07 PM
ঠিক এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের নাম বিল গেটস। তাঁর সম্পদের পরিমাণও ১০ হাজার কোটি ডলারের অনেক নিচে। কিন্তু আজ আপনাকে এমন এক কৌশল বলতে পারি, যা মেনে চললে আপনার সম্পদের হিসাবটা হবে ট্রিলিয়ন ডলারে।

‘বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে হলে আপনাকে গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণ করতে হবে।’ জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী নিল টাইসনের কথা এটি। তাঁর সে কথা যদি সত্যি হয় তবে পশ্চিম ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ ভাসবে অর্থের অথই সমুদ্রে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী এটিয়েন শ্নাইডার সম্প্রতি জানিয়েছেন, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড খননকারী প্রতিষ্ঠান ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্ল্যানেটরি রিসোর্সের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। সেটা অবশ্যই অ্যাস্টেরয়েড থেকে খনিজ আহরণের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, মহাশূন্যে ভাসমান পাথরের এই খণ্ডগুলো থেকে সম্পদ আহরণের দ্বার উন্মোচন করা, যা আগে কখনো করা হয়নি।’
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখার পর থেকেই শ্নাইডার খনিজ নিয়ে আলোচনা করে আসছেন। অবশ্য অ্যাস্টেরয়েড খননের কাজ কিন্তু এটাই প্রথম না। মহাশূন্যে খনিজ আহরণের সম্ভাবনা জানতে চলতি বছর ‘অসিরিসি রেক্স’ শিরোনামে এক অভিযান পরিচালনা করবে নাসা। ১০০ কোটি ডলার বাজেটের এ যাত্রায় বড়জোর ৬০ গ্রাম খনিজ পদার্থ সঙ্গে আনতে পারবে এই মহাকাশ যান।
কোটি কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও খরচটাও কিন্তু কম না। প্রতি অভিযানে গড়পড়তা খরচ পড়বে প্রায় ২৬০ কোটি ডলার। অবশ্য খরচ হওয়া এ টাকা উঠে আসার সম্ভাবনাই বেশি। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের কোনো অ্যাস্টেরয়েড থেকে এই পরিমাণে খনিজ আহরণ সম্ভব, যা গোটা যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ আয়ের চেয়েও বেশি। হয়তো সে কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিছুদিন আগে আইন প্রণয়ন করেছেন, কোনো মার্কিন নাগরিক যদি মহাশূন্য থেকে কিছু নিয়ে আসে তবে তার মালিক যুক্তরাষ্ট্র সরকার!