Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Children => Topic started by: taslima on February 13, 2016, 01:21:03 PM
-
গর্ভধারণের তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস আক্রমণ করলে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু এটিতে আক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়াও গর্ভস্থ শিশুটি বধির, চোখে ছানি, হৃৎপিন্ডে ত্রুটি, মানসিক প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জন্ম নিতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে টিকা নেয়া অত্যন্ত জরুরি
রুবেলা রোগটি কি?
রুবেলা একটি সংক্রামক রোগ। এটি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাস থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে। গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুটি জন্মগত জটিলতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম নামে পরিচিত। এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। রুবেলা আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে বাতাসের সাহায্যে ছড়ায় এবং সুস্থ শরীরে এ ভাইরাসটি প্রবেশ করে।
রুবেলা রোগের লক্ষণগুলো কি কি?
রুবেলা রোগটিকে অনেকে জার্মান হামও বলে থাকেন। এ রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো হামের মতোই। এ রোগের প্রধান লক্ষণ হলো শরীরে লাল রঙের দানা দেখা দেয়া। প্রথমে দানা মুখম-লে হয় পরে পাঁচ-সাতদিনে সব শরীরে দেখা যায়। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, চোখ লাল হওয়া, জয়েন্ট ও মাংসপেশি ব্যথা, বমি হওয়া, গ্রন্থি ফোলা বিশেষ করে ঘাড়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগতে পারেন।
রুবেলা হলে কি কি জটিলতা হতে পারে?
এ রোগের জটিলতা শিশুদের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়া, প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া, খাদ্যনালিতে রক্ত, অস্থিসন্ধি ব্যথা, মস্তিষ্কের পর্দায় প্রদাহ। গর্ভবতী মহিলারা আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মত্রুটি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে শিশুটি বধির, চোখে ছানি, হৃৎপিন্ডে ত্রুটি, মানসিক প্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও জন্ম নিতে পারে।
রুবেলা প্রতিরোধে করণীয় কি?
এ রোগ প্রতিরোধের জন্য শিশুর বয়স ৯ মাস হলে এক ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস পূর্ণ হলে হামের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হয়। কিশোরীদের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হলে এক ডোজ এমআর টিকা, এক ডোজ টিটি টিকার সঙ্গে দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ ডোজ টিটি টিকার সময় অনুযায়ী শেষ করতে হবে। রুবেলা রোগ বা জার্মান হাম সবার জন্য জানা দরকার। এ ক্ষেত্রে মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে ও এ রোগের প্রয়োজনীয় টিকাটি সময়মতো দিতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ও ক্যানসার, যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশু-কিশোরীকে এ এমআর টিকা দেয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায়ও এ টিকা দেয়া যাবে না।
গ্রন্থনা : ডা. মহসীন কবির