লা লিগায় মেসির ৩০০ গোল
(http://paimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/400x0x1/uploads/media/2016/02/18/70073abd42024c8b7db10d8edf48e111-7.jpg)
লা লিগায় ৩০০ গোল করে রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি।
অনন্য এক গৌরবের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। এমন একটা গৌরব, যার স্বাদ পাননি আর কোনো ফুটবলার—লা লিগায় ৩০০ গোল। এই মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য আর মাত্র একটি গোলের দরকার ছিল বার্সার আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারের। গতরাতে স্পোর্টিং গিজনের বিপক্ষে মাঠে নেমে এই মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। গিজনের মাঠে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই গোল করলেন। লা লিগায় ৩০০ গোল হয়ে গেল মেসির।
ম্যাচ শেষে লা লিগায় মেসির নামের পাশে ৩০১ গোল। তাঁর জোড়া গোলের রাতে গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজও। বার্সেলোনা জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে।
মেসির দুই গোলের মাঝখানে সময়ের ব্যবধান ৬ মিনিট। তবে এর মধ্যে একটি গোল করে গিজনকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন কার্লোস কাস্ত্রো।
এই জয়ে লিগে শীর্ষে নিজেদের অবস্থানটাকে আরও সুসংহত করল বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে দ্বিতীয়স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্টের ব্যবধান ৬। সমান ম্যাচ খেলে তিনে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৫৩।
২৫ মিনিটে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন মেসি। একটু আড়াআড়ি দৌড়ে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে জোরালো শটে করেন গোলটি। বার্সেলোনার উচ্ছ্বাস অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই মিনিট পরেই স্পোর্টিং গিজনকে সমতায় ফেরান কার্লোস কাস্ত্রো। একটি প্রতিআক্রমণে মেনেনদেসের এক নিচু ক্রসে মাটিতে শুয়ে পা লাগিয়ে গোল করেন তিনি।
৪ মিনিট পরেই আবার মেসির গোল। তাঁর কাছ থেকে বল পেয়ে সুয়ারেজ এগিয়ে গিয়ে বল আবার বাড়িয়ে দেন মেসিকে। দারুণ এক শটে গোল করেন মেসি।
৬২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি সুয়ারেজ। এই মৌসুমে এটি বার্সেলোনার অষ্টম পেনাল্টি-হতাশা। নিজের পেনাল্টি ব্যর্থতার আক্ষেপ উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ঘুচিয়ে দেন ৬৭ মিনিটে। গিজনের বক্সের ডানপ্রান্তে বেশ কয়েকজন রক্ষণ-সেনার মধ্যে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন সুয়ারেজ। ২৪টি গোল করে এই মৌসুমে এখনো পর্যন্ত লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনেই তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ গোল রোনালদোর। কালকের দুটি নিয়ে মেসির গোল সংখ্যা—১৫।
ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকের কণ্ঠে ছিল তৃপ্তির সুর, ‘আমরা এই মুহূর্তে সে অবস্থানে আছি, সেই অবস্থানটাই আমরা প্রত্যাশা করি। নিজেদের খেলা দিয়েই আমরা এই জায়গায় এসেছি।’
ম্যাচে ৮০ শতাংশ সময়ই বল বার্সেলোনার দখলে ছিল। গোলের সুযোগও যথেষ্ট তৈরি হয়েছিল। গোলের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত বলে মনে করেন এনরিকে। না হওয়ার জন্য গিজনের অতি রক্ষণাত্মক কৌশলকেই দায়ী করেছেন বার্সা কোচ, ‘আমরা প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। ম্যাচটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, যখন কোনো দল অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে যায়, তখন তাদের বিপক্ষে গোল করা একটু কঠিনই।’
মাইলফলক ছোঁয়া মেসির প্রশংসাও ঝরল এনরিকের কণ্ঠে, ‘প্রতিপক্ষ যে-ই হোক দলে মেসির উপস্থিতি কোচ হিসেবে আপনাকে বাড়তি সুবিধাই দেবে।’