Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Skin => Topic started by: Karim Sarker(Sohel) on April 05, 2016, 04:08:06 PM
-
কৈশোরে পড়াশোনার চাপ থাকে প্রচুর। বয়স কম থাকে বলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও তেমন মনোযোগ দেওয়া হয় না অনেকের। অনেকে মনে করেন, এত কম বয়সে আবার রূপচর্চা! তবে একটু যত্ন নিলে কিশোরীর ত্বক থাকবে কোমল ও ব্রণমুক্ত৷ কিশোর বয়সেও প্রকৃতির হাওয়া বুঝে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। বয়ঃসন্ধিতে হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে শারীরিক অনেক পরিবর্তন আসে৷ ১৩-১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মুখে ব্রণ ওঠা খুব পরিচিত একটি সমস্যা। ত্বকের যত্নের সঠিক নিয়ম না জানলে, অথবা এই সময়ে বড়দের নিয়ম অনুসরণ করতে গেলেই বাধতে পারে বিপত্তি। মিউনিস ব্রাইডালের স্বত্বাধিকারী তানজিমা শারমিন বলেন, এই বয়সী ছেলেমেয়েদের সুন্দর ও সুস্থ থাকার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। ভালো থাকার জন্য খুব সাধারণ ও প্রচলিত কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই এ সময় ওরা ত্বক ও চুলের সুস্থতা ধরে রাখতে পারবে। এই বয়সটাতে পড়াশোনার বাড়তি একটা চাপ থাকে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর শীতকালে পানিও বেশি খেতে চায় না। ত্বক এভাবে পানিশূন্য ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে৷
কিশোর-কিশোরীদের ত্বক ও চুলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞরা—
* ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসেই মুখ, হাত, পা কুসুম গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* এই বয়সী ছেলেদের ত্বক বড়দের মতো পরিপক্ব নয়৷ তাই কিশোরদের বড় ছেলেদের বা মেনজ ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ঠিক নয়। তার বদলে মাইল্ড বা মৃদু ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক শুষ্ক করে দেয় এমন কোনো সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না।
* ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আঙুরের রস, শসার রস ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।
* মুখ ধোয়ার পর ভেজা ভাব থাকতেই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ত্বকে যদি ব্রণের সমস্যা খুব বেশি থাকে, তাহলে ওয়াটার বেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
* এই বয়সে হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাও অনেকের বেড়ে যায়। বাজারের স্ক্রাবের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করলেই ভালো।
* চালের গুঁড়া, দুধ বা টক দই, পেস্তা বাদাম, মসুর ডাল অল্প পরিমাণে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ব্ল্যাক হেডস ও ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে।
* নিম পাতা, তুলসী পাতা এবং অ্যালোভেরা সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে ব্রণের সমস্যা দূর হবে, ত্বক হবে মসৃণ।
* শীতে খুশকির সমস্যা অনেক বেড়ে যায়, চুলের খুশকি চোখ ও ত্বকে লাগলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেথি, মেহেদি পাতা, টক দই ও লেবুর রস ভালো মতো মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি দুই থেকে তিনবার ব্যবহারেই খুশকি কমে আসার কথা।
* হাত-পায়ে লোশন ব্যবহার করতে হবে, আর ত্বক বেশি শুষ্ক হলে এই ঋতুতে লোশনেও কাজ না দিতে পারে। তখন জলপাই তেল ত্বক কোমল করবে।
Collected .......