Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on April 26, 2016, 10:37:53 AM
-
বিভিন্ন ইসলামি আলোচনায় এদের নাম চলে আসে। কুরআনের এদের নাম এসেছে। কি তাদের পরিচয়? তারা কি মানুষ না ফেরেশতা? তাদের পরিচয়ের ব্যাপারে দুটি অভিমত পাওয়া যায়। যা তুলে ধরা হলো-
১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, হারূত ও মারূত উভয়ে দুজন জাদুকর ছিল। মানুষকে জাদু বিদ্যা শিক্ষা দিতো। এ অবস্থায় প্রশ্ন চলে আসে যে, কুরআনে তাদের দুজন ফেরেশতা বলে সম্বোধন করা হয়। এর উত্তরে বলা হয়- যেহেতু উভয় ব্যক্তিই পূর্বে সৎ ছিল। তাই পূর্বের সততার বিচারে তাদের ফেরেশতা বা মালাকাইন বলা হয়েছে।
২. হারূত ও মারূত উভয়েই মানুষ নয় বরং ফেরেশতা ছিল। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব জাতির পরীক্ষা স্বরূপ জাদু বিদ্যা শিক্ষা দেয়ার জন্য নাজিল করা হয়। এ মতটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ।
আল্লাহ তাআলা নবি-রাসুল প্রেরণ করে তাঁদেরকে বিশেষ মুজিযা দান করেছেন। ইয়াহুদি, খ্রিস্টান ও অবিশ্বাসীরা নবি-রাসুলদের মুজিযাকে অসম্মান করে জাদু এবং তাঁদেরকে জাদুকর বলে আখ্যায়িত করতো। কেননা সে যুগে জাদুবিদ্যার প্রচলন অনেক বেশি। তাই আল্লাহ তাআলা জাদু এবং মুজিযার মধ্যে পার্থক্য করার লক্ষ্যে মানুষকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করার জন্য পরীক্ষাস্বরূপ ফেরেশতাদ্বয়কে পাঠিয়েছিলেন।
সুতরাং কুরআনের আয়াত এবং তাফসিরে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মতামত হলো হারূত ও মারূত আল্লাহর ফেরেশতা ছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিতো। যা বাবেল শহরে হারূত ও মারূতের ফেরেশতাদ্বয়ের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছিল।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবি-রাসুলদের মুজিযায় বিশ্বাস করে, জাদুবিদ্যা, গণক ও জ্যোতিষীদের অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার তাওফিক দান করুন।