Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sahadat Hossain on May 18, 2016, 11:04:46 PM
-
অনেকেরই অভ্যাস আছে ডিম না খাওয়ার। একেবারে একটি সাধারণ খাবার হওয়ার কারণে আবার কেউ ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা রক্তে চর্বি কম রাখতে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু আসলে ডিমের অপকারিতা কিংবা উপকারিতাগুলো কি কি? চিকিৎসকদের ভাষ্য সকালে নাশতায় একটি ডিম মাসে প্রায় তিন পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমাতে পারে! আসুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডিমের ১২টি উপকারিতা। জানাচ্ছেন- হাসান ভূইয়া
১. ছোট্ট একটা ডিম হাজারও ভিটামিনে ভরা। এর ভিটামিন বি-১২ আপনি যা খাচ্ছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
২. ডিমে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের কেরোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েঙ্নেথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সাহায্য করে।
৩. কেবল ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি। যা পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৪. আছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকে উৎপন্ন ফ্রি র্যাডিক্যাল নষ্ট করে দেয় এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৫. ডিমের সবচেয়ে বড় গুণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে রোজ একটি ডিম মানে সারা দিন আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায়, শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালরি কমাতে পারে সকালে একটি ডিম খাওয়া। তার মানে মাসে ওজন কমার পরিমাণ প্রায় তিন পাউন্ড। সমীক্ষা বলছে, ৬৫ ভাগ বডি ওয়েট, ১৬ ভাগ বডি ফ্যাট, ৩৪ ভাগ কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমাণ কমাতে পারে ডিম!
৬. ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস। মেনস্ট্রুয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এ ঘাটতি মেটাতে পারে সহজেই। জিঙ্ক শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
৭. প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। সুতরাং চাঙ্গা থাকতে রোজ ডিম খেতেই পারেন।
৮. ২০০৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে বা পরবর্তীকালে সপ্তাহে ছয়টি করে ডিম নিয়মিত খেলে প্রায় ৪৪ ভাগ ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব সঙ্গে এটাও জানিয়েছে, ডিম হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা কম থাকে।
৯. শরীর সুস্থ রাখার আরও একটি জরুরি উপাদান কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি ঘটলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার, লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে। যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃৎ ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০. নতুন সমীক্ষায় জানা গেছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটি ডিম শরীরের লিপিড প্রোফাইলে কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং ডিম রক্তে লোহিতকণিকা তৈরি করে।
১১. প্রোটিন শরীর গঠন করে। আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে অ্যামিনো অ্যাসিড। ২১ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এ কাজে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের শরীর অতি প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। তার জন্য আমাদের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়। খাবারের মধ্যে এই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হলো ডিম। যা ঝটপট শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে।
১২. নখ ভেঙে যাচ্ছে, চটপট নাকি চুলের স্বাস্থ্য একেবারেই বেহাল। চোখ বন্ধ করে রোজ ডিম খেয়ে যান। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান উন্নত করবে।
-
Recently some researchers claimed that eggs do not have as much effect on increasing cholesterol as previously thought.
-
Thank you.
-
ডিমটা কি পোলট্রি নাকি দেশি কোনটা খাওয়া বেশি ভাল?
-
Habituated with this.