Daffodil International University
Famous => Place => Topic started by: Faruq Hushain on May 29, 2016, 11:38:22 AM
-
ভূমধ্যসাগরের পূর্বপাশে অবস্থিত গ্রিক দ্বীপ ইকারিয়া। দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত চরিত্র ইকারুসের নাম থেকে। যে উড়তে উড়তে চলে গিয়েছিল একদম সূর্যের কাছে। তারপর সূর্যের গনগনে তাপে ডানা গলে গেলে ঝরে পড়ে সাগরের বুকে। না, এই ইকারিয়ার মানুষদের জীবন অবশ্য অমন নয়। তাদের জীবন মাঝপথেই থেমে যায় না; বরং এই ইকারিয়া বিখ্যাত এখানকার মানুষদের দীর্ঘ জীবনের জন্য। লিখেছেন নাবীল অনুসূর্য ইকারিয়ার প্রতি তিনজনের একজন ৯০ বছরের বেশি বাঁচেন। শতবর্ষী মানুষের দেখাও মেলে অহরহ। এখানকার মানুষ যে কেবল বেশি দিন বাঁচে, তা-ই নয়। রোগ-শোক, অপঘাত-দুর্ঘটনাও তেমন একটা দেখা যায় না তাদের মধ্যে। ইউরোপের অন্য যেকোনো অংশের তুলনায় ইকারিয়ার অধিবাসীদের শরীর-স্বাস্থ্য অনেক ভালো। এখানে ক্যান্সার-হৃদরোগের প্রকোপ কম, মানুষ হতাশা-ডেমেনশিয়ায় তেমন একটা ভোগে না। বুড়ো-বুড়ো মানুষগুলোও বেশ পরিশ্রম করে বেড়ায়। পারিবারিক, এমনকি যৌনজীবনেও তারা অসুখী নয় মোটেই।
ইকারিয়ার মানুষ যে বেশি দিন বাঁচে, সেটা কিন্তু কেবল চোখের দেখা দেখে বলে দেওয়া কোনো খবর নয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করে এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। ‘ইকারিয়া স্টাডি’ নামে তাদের সেই গবেষণার বিষয় অবশ্য কেবল ইকারিয়ার মানুষের দীর্ঘ জীবনই ছিল না, সেই দীর্ঘ জীবনের কারণও অনুসন্ধান করে তারা। তাদের ও অন্য গবেষকদের অনুসন্ধানে এই দীর্ঘ জীবনের বেশ কয়েকটি কারণ বের হয়ে এসেছে। তার কয়েকটি জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, বাকিগুলো তাদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়।
ইকারিয়ার মানুষ যে বেশি দিন বাঁচে, সেটা কিন্তু কেবল চোখের দেখা দেখে বলে দেওয়া কোনো খবর নয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করে এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। ‘ইকারিয়া স্টাডি’ নামে তাদের সেই গবেষণার বিষয় অবশ্য কেবল ইকারিয়ার মানুষের দীর্ঘ জীবনই ছিল না, সেই দীর্ঘ জীবনের কারণও অনুসন্ধান করে তারা। তাদের ও অন্য গবেষকদের অনুসন্ধানে এই দীর্ঘ জীবনের বেশ কয়েকটি কারণ বের হয়ে এসেছে। তার কয়েকটি জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, বাকিগুলো তাদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়।