Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Umme Salma Panna on June 25, 2016, 10:27:57 AM

Title: অ্যাপেন্ডিসাইটিস কীভাবে বুঝবেন
Post by: Umme Salma Panna on June 25, 2016, 10:27:57 AM
অনলাইন ডেস্ক : অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণ পেট ব্যথার তুলনায় বেশ আলাদা। এটা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় শল্যচিকিৎসা নিতে হয়। অনেক সময় এ ব্যথাকে আমল না দিয়ে নানা রকম ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে রোগীর শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি সরু থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। থাকে তলপেটের ডান দিকে। এর সঠিক কাজ যে কী, তা এখনো অস্পষ্ট। কিন্তু এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ হলে দেখা দেয় অসহনীয় ব্যথা। এর নাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
কেমন এই ব্যথা : অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী হয়। থেমে থেমে ব্যথা ওঠে সেটা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে। সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে রোগী হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়। তবে হালকা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে। কেননা, পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে, এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুতর সংক্রমণ। এ ধরনের ঘটনায় রোগীর জীবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়ে।
চিকিৎসা কী : অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।