Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Allah: My belief => Topic started by: Md. Zakaria Khan on January 04, 2011, 11:03:58 AM

Title: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on January 04, 2011, 11:03:58 AM
ইসলামে নারীর অধিকার
১• আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে মানুষ তথা নারী ও পুরুষ সবচেয়ে সুন্দর। সূরা আত তীনের ৪নং আয়াতে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে বানিয়েছি।” মানুষকে নারী ও পুরুষ এই দুই রকমে সৃষ্টি করার কারণ বুঝা কঠিন কিছু নয়। দুইভাবে সৃষ্টি না করলে তো মানব বংশই বিস্তার হতো না; প্রথম মানুষ আদম (আঃ) পর্যন্তই তা থেমে যেত। সূরা আন নিসার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, “হে মানব জাতি! তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একজন মানুষ থেকে সৃষ্টি করেছেন, তার থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং এ দু’জন থেকে বহু পুরুষ ও নারী দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন।”
মানুষকে এমন গুণ বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে সঙ্গী ছাড়া থাকতে পারে না নারীর প্রতি পুরুষের এবং পুরুষের প্রতি নারীর রয়েছে দারুণ আকর্ষণ । এ আকর্ষণ স্থায়ী হওয়ার জন্য দেয়া হয়েছে ভালোবাসা। আর এ আকর্ষণের প্রয়োজনেই নারী ও পুরুষের সৃষ্টিতে অবয়বগত ও বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক রয়েছে। র্পাথক্যের কারণে এমন হয়নি যে, পুরুষ সুন্দর আর নারী বিশ্রী হয়েছে কিংবা নারী সুন্দর আর পুরুষ বিশ্রী হয়েছে বরং উভয়ই সুন্দর। এমন কোন নারী খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে পুরুষের ব্যক্তিত্বশীল স্বভাব পছন্দ করে না, আবার এমন কোন পুরুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে নারীর লাজুক স্বভাব পছন্দ করে না।
২• মানুষকে নারী ও পুরুষ এই দুই প্রকার সৃষ্টি করার অনস্বীকার্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর এবার দেখা যাক তাদের মর্যাদার ক্ষেত্রে কোন তারতম্য আছে কিনা। মর্যাদার দিক দিয়ে আল্লাহর কাছে নারী বা পুরুষ বলে আলাদা কিছু নেই; পুরুষের বেশী মর্যাদা আর নারীর কম মর্যাদা, এমন নয়। সূরা আল হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, হে মানব সমাজ! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন কাওম ও গোত্র বানিয়ে দিয়েছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো। আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে তরাই (নারী হোক, পুরুষ হোক) বেশী সম্মানিত, যারা তাঁকে বেশী ভয় করে চলে। আল্লাহ সব কিছু জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন।” সুতরাং আল্লাহর কাছে মর্যাদা বা সম্মানের মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি।
যেসব মানুষ আল্লাহর কথা বা দীন মেনে চলে, তারা তাঁর কাছে শুধু সম্মানিতই নয় বরং তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও পুরস্কার। নিশ্চয়ই যেসব নারী ও পুরষ মুসলিম, মুমিন, আল্লাহর অনুগত, সত্য পথের পথিক, সবরকারী, আল্লাহর সামনে অবনত, দানশীল, রোযাদার , লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী এবং আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফিরাত ও বিরাট পুরস্কারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।” সূরা আল আহযাবঃ৩৫
মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষ উভয়ই সমান, উভয়ের জাত একই, মানুষ জাত। সূরা আলে ইমরানের ১৯৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমরা পুরুষ হও বা নারী হও, আমি তোমাদের কারো আমল নষ্ট করবো না। তোমরা সবাই সমাজাতের লোক।”
৩• দুনিয়ার সকল কাজ-কারবার পুরুষ করবে, আর নারী শুধু ঘবে বসে রানাí-বান্না করবে, এ রকম যাদের ধারণা তারা ভুল ধারণা পোষণ করেন। ইসলাম কখনো নারীকে চার দেয়ালে আবদ্ধ করেনি। মুসলিম সমাজ যদি তার কর্ম পরিসর সংকীর্ণ করে দেয়, সে জন্য ইসলাম দায়ী নয়। মুসলিম সমাজের অনেকে তো মদ খায়, ঘুষ খায়, কিন্তু ইসলাম কি তাদেরকে মদ, ঘুষ খেতে বলেছে? ঘরের বাইরেও যে নারীর কর্মক্ষেত্র প্রসারিত, তার প্রমাণ হিজাব বা পর্দা। ঘরের ভিতরে হিজাব পরার কোন প্রয়োজন আছে কি? নারীকে ঘরের বাইরে যেতে হবে বলেই ইসলাম তার সম্মান ও নিরাপত্তর জন্য পর্দার ব্যবস্থা করেছে। সূরা আত তওবার ৭১নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কাজের আদেশ দেয়, মন্দ কাজে বাধা দেয়, নামায কয়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে চলে। এরা এমন লোক যাদের উপর অবশ্যই আল্লাহর রহমত নাযিল হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজয়ী ও সুবিজ্ঞ।” এ আয়াত থেকে বুঝা যায়, নারী ও পুরুষ উভয়ে নিজ নিজ বলয়ে একে অপরের বন্ধু ও সঙ্গী হয়ে সংসারে, সমাজে কাজ করবে।
নারীর প্রধান কর্মক্ষেত্র ঘর। ঘর কি শুধু রান্না-রান্নার কাজ? রান্না-বান্না তো পুরুষ বাবুর্চি রেখেও করানো যায়। ঘরের আসল কাজ হচ্ছে স্বামীকে নিয়ে ভালোবাসাপূর্ণ ও কলহমুক্ত একটি আদর্শ পরিবারের সূচনা করা। ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা। বাবা যেহেতু বাইরে চাকুরী বা ব্যবসায় ব্যস্ত সেহেতু ঘরে সন্তানদেরকে সঠিক শিক্ষা দেয়া ও চরিত্র গঠন করার মতো বিরাট দায়িত্ব মাকেই পালন করতে হয়। বোকারাই এ মহান কাজকে ছোট করে দেখে। কোন ঘরে যদি নারীর বুদ্ধিমত্তা ও প্রচেষ্টায় শান্ত, ভদ্র ও পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং ছেলে-মেয়ে শিক্ষিত ও চরিত্রবান হয়, তবে তা একটি আদর্শ ঘর, আদর্শ পরিবার। আদর্শ পরিবারের সমম্বয়েই আদর্শ সমাজ গড়া সম্ভব। সমাজ আদর্শ হলেই কেবল আদর্শ রাষ্ট্র কায়েম করা যায়। ঘরের এই আসল দায়িত্বকে উপেক্ষা না করে কোন নারী যদি সময়- সুযোগ, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী সুইটেবল কোন চাকুরী বা ব্যবসা করে, তবে তা অতি উত্তম।
ইসলাম নারীকে ঘরের বাইরের কাজ করতে নিষেধ করেনি; নিষেধ করলে হিজাব ফরয হলো কেন? হিজাব তো ঘরের বাইরে প্রয়োজন, ঘরের ভিতরে নয়। ঘরের বাইরেও নারীর অনেক ভূমিকা রয়েছে বলেই পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে। পর্দার প্রয়োজন আছে কিনা, তা মনে হয় আজকের এই সময়ে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। বৃটেনের এক খৃস্টান ছাত্রী হিজাব পরে কলেজে আসা-যাওয়া করলে তাকে তার কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। জবাবে সে বলেছে, “পর্দা করলে নিরাপত্তা লাভ করি, রাস্তায় বখাটেরা আর বিরক্ত করে না।”
৪• নারীর কল্যাণ বেশী কিসে, তা বেশী জানেন আল্লাহ তায়ালা, নারী নিজে নয়, পুরুষ তো নয়ই। নারী ও পুরুষের স্রষ্টা আল্লাহ, তিনি এদের স্বভাব-প্রকৃতি সম্যক অবগত। তাই সুস্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতেই তিনি নারী ও পুরুষকে জীবন -বিধান দিয়েছেন, যা মেনে চললে তারা উভয়েই ভালো থাকতে পারবে এবং পবিত্র ও আনন্দঘন জীবন যাপন করতে পারবে। আজকের নারী-পুরুষরা যেহেতু আল্লহকে ভুলে গেছে তাই তাঁর দেয়া দীন (জীবন-বিধান) তারা মেনে চলে না। ফলে সমস্যার পর সমস্যায় জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষভাবে নারীরা। সে জন্য নারীর উচিত পুরষের তৈরি করা নিয়মে পদাঘাত করে আল্লাহর দেয়া নিয়ম গ্রহণ করা। নারীকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তার বড় হিতাকাংঙ্খী। তিনি তার ভালোর জন্যই বলছেনঃ
হে নবী! মমিন পুরুষদের বলো, যেন তারা নিজেদের চোখ (পর নারী থেকে) নিচু রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এটাই তাদের জন্য বেশী পবিত্র নিয়ম তারা যা কিছু করে আল্লাহ তার খবর রাখেন। হে নবী! মুমিন নারীদেরকে বলো, তারা যেন চোখ নিচু রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে এবং রূপ-যৌবন যেন দেখিয়ে না বেড়ায়, ঐটুকু ছাড়া যা আপনা-আপনিই প্রকাশ হয়ে পড়ে। আর তারা যেন তাদের বুকের উপর উড়না জড়িয়ে রাখে।ঃ• তারা যেন তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে মাটির উপর জোরে পা ফেলে চলাফেরা না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা কর, আশা করা যায় যে, তোমরা সফলকাম হবে।”
সূরা আন নূরঃ ৩০-৩১
পুরুষের তুলনায় নারীর চিরসুখের জান্নাত লাভ করা এবং ভয়াবহ শাস্তির জায়গা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া বেশী সহজ। আয়-রোজগারের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। কিভাবে আয় করা হল, এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে তার কোন জবাবদিহি নেই। তাকে জবাবদিহি করতে হবে শুধু আল্লাহকে ভয় করে চলেছে কিনা, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার হক সে হিফাজত করেছে কিনা এবং সন্তানদের ইসলামের আঙ্গিকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে কিনা।
৫• স্বভাবগতভাবেই নারী পুরুষের তুলনায় অনেক বেশী শান্ত ও ভদ্র। জটিল বিষয় ও ঝামেলার বিষয় থেকে সে সব সময় মুক্ত থাকতে চায়। এতে বুঝা যায় নারীকে সহজ-সরল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। মুসলিম নারীকে একটি কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। তা হলো, আল্লাহর বিধান মেনে চললেই কেবল দুনিয়ায় তার শান্তি, নিরাপত্তা , সম্মান ও অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং আখিরাতেও মুক্তি পাওয়া যাবে। আল্লাহর বিধান না মানায় নবীর স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়ার তাঁর শাস্তি থেকে, আখিরাতে দোযখ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়নি। সূরা আত তাহরীমের ১০নং আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ কাফিরদের ব্যাপারে নূহ ও লূতের স্ত্রীদের উদাহরণ পেশ করেছেন। তারা আমার দু’জন নেকবান্দার অধীনে ছিল কিন্তু তারা তাদের স্বামীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তাই (তাদের স্বামীগণ নবী হওয়ার পরও ) আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার জন্য কোন উপকারে আসেনি। তাদের দু’ জনকে বলা হলো, জাহান্নামের দিকে যারা যাচ্ছে তাদের সাথে তোমরও জাহান্নামে যাও।”
৬• ইসলামই নারীকে সঠিক মর্যাদা দিয়েছে। আরব দুনিয়ায় নারীর যখন এক পয়সার দামও ছিল না, যখন পুরুষরা তাকে শুধুই ভোগের জন্য ব্যবহার করতো, যখন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়াকে অপমানজনক মনে করে তাকে জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো, তখন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহই(সা) কেবল নারী ও পুরুষের সমান মর্যাদার কথা বললেন। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা করলেন, আর যে সৎ কাজ করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী হোক,, যদি সে মুমিন হয়, তাহলে এমন লোকেরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের বিন্দু পরিমাণ হকও নষ্ট করা হবে না।” সূরা আন নিসাঃ ১২৪। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আল্লাহ পোশাকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। পোশাকের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক যত নিবিড়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ততটাই নিবিড় হওয়া চাই। তারা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরুপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।” সূরা আল বাকারাঃ১৮৭ মেয়েদেরও তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে, যেমন তাদের উপর পুরুষদের অধিকার আছে।” সূরা আল বাকারাঃ ২২৮
সম্পদে নারীদের রয়েছে নির্ধারিত অংশ।”সূরা আন নিসাঃ৭
৭• আল্লাহর দেয়া কোন বিধান যদি কোন মানুষের কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি তাঁর বিধানটি বুঝতে ভুল করেছেন। মহাজ্ঞানী আল্লাহর কোন বিধানই অযৌক্তিক হতে পারে না। তাই কোন বিষয়ে আল্লাহর দেয়া ফয়সালাকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়াই হচ্ছে একজন মুসলিমের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সূরা আল আহযাবের ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা করে দেন, তখন কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর এ অধিকার থাকে না যে, সে ঐ বিষয়ে নিজে কোন ফয়সালা করবে। আর কেউ আল্লাহ ও রাসূলের নাফরমানী করে সে সুস্পষ্ট গুমরাহ।” আল্লাহর জ্ঞান হচ্ছে অসীম, তাঁর জ্ঞানে কোন ভুল নেই। সুতরাং তাঁর মীরাস বন্টন ব্যবস্থায়ও কোন ভুল নেই। আকাশের দিকে তাকালে আমরা কি দেখি? জগতসমূহ, নক্ষত্ররাজি চাঁদ-সূর্য সমেত গোটা ইউনিভার্স কি নির্ভুল জ্ঞান দ্বারা, কি নিপুন ভাবে পরিচলিত! কোথাও কি কোন ত্রম্নটি খুঁেজ পাওয়া যায়? দৃষ্টিরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে ফিরে আসবে, ত্রম্নটি খুঁজে পাবে না
**************************


Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: shaikat on January 04, 2011, 11:57:32 AM
ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্টের জন্য, অনেক কিছু জানা গেল।
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: faruque on January 04, 2011, 12:35:32 PM
Thank you Mr. Zakaria
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Aarif on January 04, 2011, 12:46:00 PM
its a good article. pls provide the link.
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on October 10, 2015, 09:35:21 AM
#‪#‎আল্লাহর_উপর_ভরসা‬
অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী
আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন:
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ
“আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮]
এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা কারীর আবেদন বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হয়ে যায় দিশেহারা।
এ থেকেই বুঝা যায় আল্লাহর উপর ভরসা করার ফযীলত ও মর্যাদা কি?! তাঁর সাথে হৃদয়ের সম্পর্ককে গভীর করার গুরুত্ব কতটুকু?!
‘তাওয়াক্কুল আল্লাহ বা আল্লাহর উপর ভরসা করার অর্থ:
দুনিয়া-আখেরাতের যাবতীয় বিষয়ের কল্যাণ লাভ ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সঠিক ভাবে অন্তর থেকে আল্লাহর উপর নির্ভর করা। বান্দা তার প্রতিটি বিষয় আল্লাহর উপর সোপর্দ করবে। ঈমানে এই দৃঢ়তা আনবে যে, দান করা না করা, উপকার-অপকার একমাত্র তিনি ছাড়া আর কারো অধিকারে নেই।
আল্লাহ্ তাআলা মুমিন বান্দাদেরকে তাওয়াক্কুলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে পবিত্র কুরআনে অনেক আয়াত উল্লেখ করেছেন। তার মর্যাদা ও ফলাফল উল্লেখ করেছন। তন্মধ্যে:
আল্লাহ্ বলেন:
وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنتُمْ مُؤْمِنِينَ
“তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাকে তবে আল্লাহর উপরেই ভরসা কর।” [সূরা মায়েদা- ২৩]
তিনি আরও বলেন:
وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلْ الْمُؤْمِنُونَ
“মু’মিনগণ যেন একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা করে।” [সূরা তওবা- ৫১]
তিনি আরও এরশাদ করেন:
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হবেন।” [সূরা ত্বলাক- ৩]
তিনি আরও বলেন:
فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
“যখন তুমি দৃঢ়ভাবে ইচ্ছা করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ ভরসা কারীদের ভালবাসেন।” [সূরা আল ইমরান- ১৫৯]
হাদীছ গ্রন্থ সমূহেও তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব ও তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। ওমার বিন খাত্তাব (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা যদি সঠিকভাবে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে তবে তিনি তোমাদেরকে রিযিক দান করতেন- যেমন পাখিকে রিযিক দান করে থাকেন- তারা খালি পেটে সকালে বের হয় এবং পেট ভর্তি হয়ে রাতে ফিরে আসে।” (আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ্)
হাফেয ইবনু রজব (র:) বলেন, তাওয়াক্কুলের ক্ষেত্রে এ হাদীছটিই হল মূল। আর তাওয়াক্কুলই হল জীবিকা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,
وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
“আর যে আল্লাহ্‌কে ভয় করে, আল্লাহ্ তার জন্যে নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” [সূরা ত্বালাক-২,৩]
জাবের বিন আবদুল্লাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, “কোন প্রাণী তার নির্দিষ্ট রিযিক পরিপূর্ণরূপে না পাওয়া পর্যন্ত সে মৃত্যু বরণ করবে না। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর এবং রিযিক অনুসন্ধানের জন্য সুন্দর (বৈধ) পন্থা অবলম্বন কর। যা তোমাদের জন্য হালাল করেছেন তা গ্রহণ কর,আর যা হারাম করেছেন তা পরিত্যাগ কর।” (ইবনু মাজাহ্, হাকেম ও ইবনু হিব্বান)
ওমার (রা:) বলেন, “বান্দা এবং তার রিযিকের মধ্যে একটি পর্দা রয়েছে। সে যদি অল্পে তুষ্ট হয় এবং তার আত্মা সন্তুষ্ট হয় তবে তার রিযিক তার কাছে সহজে আগমন করবে। আর যদি সীমালঙ্ঘন করে এবং উক্ত পর্দাকে ফেড়ে ফেলে, তবে তার নির্দিষ্ট রিযিকের অতিরিক্ত কোন কিছু তার নিকট পৌঁছবে না।”
জনৈক বিদ্বান বলেন: “তুমি আল্লাহর উপর ভরসা কর, রিযিক তোমার কাছে ক্লান্তি ও অতিরিক্ত কষ্ট ছাড়া সহজেই এসে যাবে।”
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর উপর ভরসার সাথে আবশ্যক হল, জীবিকার উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা ও কাজ করা- ভরসা করে বসে না থাকা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,
وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلْ الْمُؤْمِنُونَ
“তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর মু’মিনগণ যেন আল্লাহর উপরই ভরসা করে।” [সূরা মায়েদা-১১]
এখানে ভরসা করার সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় করার কথা বলা হয়েছে। আর তা নির্দেশিত যাবতীয় বিষয়ের উপকরণকে শামিল করছে। সুতরাং নির্দেশিত উপকরণ অবলম্বন না করে বা কাজ না করে শুধু ভরসা করে বসে থাকা বিরাট ধরণের অপারগতা- যদিও এতে তাওয়াক্কুল পাওয়া যায়। সুতরাং কোন বান্দার জন্য উচিত নয় যে,ভরসাকে অপারগতায় রূপান্তরিত করবে অথবা অপারগতাকে ভরসায় রূপান্তরিত করবে। বরং যে সমস্ত উপকরণ সে অবলম্বন করবে তার মধ্যে ভরসাও শামিল থাকবে।
এ অর্থে একটি হাদীছও বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা:) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল,হে আল্লাহর রাসূল! উটটিকে বাঁধার পর আল্লাহর উপর ভরসা করব? নাকি আল্লাহর উপর ভরসা করে (না বেঁধেই) ছেড়ে দিব? তিনি (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “আগে তা বেঁধে দাও,তারপর আল্লাহর উপর ভরসা কর।” (তিরমিযী)
এক্ষেত্রে একদল লোক বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে (প্রয়োজনীয় উপকরণ অবলম্বন না করে, কাজ না করে,পরিশ্রম না করে) নিজেদের অপারগতাকে ভরসা ভেবেছে, আর তাকেই ওযর বা ছুতা হিসেবে গ্রহণ করেছে। ফলে নিজের এবং পরিবারের অনেক অধিকার- ওয়াজিব বিষয় বিনষ্ট করেছে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “কোন ব্যক্তির পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যাদের খরচ বহন করা তার উপর আবশ্যক তাদেরকে বিনষ্ট করা তথা তাদেরকে প্রয়োজনীয় খরচ না দেয়া।” (আবু দাউদ)
এদের উদ্দেশ্য করে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিনের চাইতে অধিক উত্তম ও বেশী প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। উপকারী বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হবে এবং তা হাসিল করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে,অপারগতা প্রকাশ করবে না। যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায়,তবে কখনই এরূপ বলবে না যে, ‘যদি’ আমি এটা করতাম তবে এরূপ এরূপ হত। বরং তখন বলবে, আল্লাহ্ যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি যা চান তাই করেন। কেননা ‘যদি’শয়তানের দরজা উন্মুক্ত করে।” (ছহীহ্ মুসলিম)
উল্লেখ্য যে, ভরসার ক্ষেত্রে মানুষের দুর্বলতা একমাত্র তাক্বদীরের প্রতি ঈমানের দুর্বলতা থেকেই সৃষ্টি হয়। কেননা মানুষ যখন তার যাবতীয় বিষয় আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে, আর তিনি যা ফায়সালা করেন তাতে সন্তুষ্ট হয়ে যায় ও তা পসন্দ করে, তাহলে সে প্রকৃত ভাবে তাওয়াক্কুল বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু সে যদি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করে এবং তার সাথেই স্বীয় হৃদয়কে সংশ্লিষ্ট করে, তবে নি:সন্দেহে সে লাঞ্ছিত হবে, স্বীয় মহান রব থেকে উদাসীন।
ইবনু মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “কোন ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, অত:পর তার অভাবের কথা মানুষের কাছে পেশ করে, তবে তার অভাব দুর করা হবে না। আর যে ব্যক্তি তা আল্লাহর কাছে পেশ করে, অনতিবিলম্বে আল্লাহ্ তাকে অভাব মুক্ত করে দিবেন।” (আবু দাউদ )
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (র:) বলেন: কোন মাখলুকের কাছে যে ব্যক্তি আশা করবে এবং তার উপর ভরসা করবে, তার উক্ত ধারণা নি:সন্দেহে বাতিল হবে এবং সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর সে হবে মুশরিক।
আল্লাহ্ বলেন,
وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنْ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
“আর যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে যেন আকাশ থেকে আছড়ে পড়ল, অত:পর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল, কিংবা বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।” (সূরা হাজ্জ-৩১)
শায়খ সুলায়মান বিন আবদুল্লাহ্ বিন আবদুল ওয়াহাব (র:) বলেন: তাওয়াক্কুল দুপ্রকার:
১) এমন বিষয়ে তাওয়াক্কুল করা- যে ব্যাপারে আল্লাহ্ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই। যেমন, কোন কোন মানুষ মৃত ব্যক্তি এবং তাগুতের উপর ভরসা করে এই আশায় যে, তারা তাদেরকে সাহায্য করবে, তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করবে, তাদের জন্য শাফাআত করবে… এগুলো সবই বড় শিরক যা ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দিবে।
২) বাহ্যিক উপায়-উপকরণ ও বস্তুর উপর ভরসা করা। যেমন কোন আমীর বা বাদশার উপর ভরসা করা এমন বিষয়ে যা বাস্তবায়নের ক্ষমতা আল্লাহ্ তাকে দিয়েছেন। যেমন চাকরীর ব্যবস্থা করা বা নির্দিষ্ট কোন বিপদ দূর করা। এটা ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
বৈধ ভরসা হল- একজন মানুষ অপরজনকে তার পক্ষ থেকে কোন কাজ আদায় করার দায়িত্ব দেয়া। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত বিষয়ে সামর্থ্য রাখবে। এক্ষেত্রেও সে ব্যক্তির উপর পুরাপুরি নির্ভর করবে না। বরং উক্ত বিষয় বাস্তবায়নের জন্য সে নিজে এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে।
তাওয়াক্কুলের বাস্তবায়ন এবং বৈধ উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার সাথে সাথে হৃদয়কে আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য এ উদাহরণটি উল্লেখযোগ্য: রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের সময় মদিনার দিকে যাওয়ার জন্য মক্কা থেকে উল্টা দিকে গমন করেন। আর তা ছিল রাতের আঁধারে। অত:পর তাঁরা ‘ছওর’নামক গুহায় আত্মগোপন করেন। আবু বকর (রা:) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হিজরতের ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যখন ‘গারে ছওরে’ ছিলাম তখন আমি উপর দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম মুশরেকদের পা আমাদের মাথার ঠিক উপরেই। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের কেউ যদি নিজের পায়ের দিকে তাকায় তাহলেই আমাদেরকে দেখতে পাবে। তখন তিনি আমাকে বললেন, “আমাদের দুজন সম্পর্কে তোমার ধারণা কি হে আবু বকর! আল্লাহ্ আমাদের তৃতীয় জন। অর্থাৎ আমাদের সাহায্যকারী।” (বুখারী ও মুসলিম)
যে কথা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ এভাবে বর্ণনা করেছেন,
إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا
“যখন তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দুজনের একজন, যখন তারা গুহার মধ্যে ছিলেন। তখন তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন, বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ্ আমাদের সাথে আছেন।” (সূরা তওবাহ্-৪০)
সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে,সে অকল্পনীয় ভাবে তার মর্যাদা লাভ করবে,তার ফলাফল ভোগ করবে। আর সে হবে সর্বাধিক উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষ,সবচাইতে সুখী মানুষ। আল্লাহ্ বলেন,
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বালাক-৩)
আল্লাহ্ আমাদেরকে তাঁর প্রতি সঠিকভাবে ভরসা করার তাওফীক দান করুন। আমীন॥
আল্লাহর উপর ভরসা
অনুবাদকঃ শাইখ মুহা: আবদুল্লাহ আল কাফী আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক…
quraneralo.com
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: myforum2015 on November 17, 2015, 03:19:52 PM
ধন্যবাদ
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Saujanna Jafreen on November 24, 2015, 02:58:33 PM
onek sundor akti post...... pore valo laglo....
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on December 21, 2015, 05:53:17 PM
পরিচ্ছদঃ ১ ॥ বিয়ের ফাযীলাত এবং এজন্য উৎসাহ দেয়া

১০৮০। আবূ আয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি জিনিস নাবীদের চিরাচরিত সুন্নাত। লজ্জা-শরম, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিয়ে করা।

যঈফ,মিশকাত (৩৮২),ইরওয়া (৭৫) আর রাদুআল আল-কাত্তানী পৃঃ ১২

Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: hassan on January 11, 2016, 05:55:52 PM
Thank you for your post.
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on July 13, 2016, 07:47:45 PM
"আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্ট দিতে চান তাহলে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই, আর আল্লাহ যদি তোমার কল্যাণ করতে চান, তাহলে তাঁর অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই। তিনি তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যাকে চান অনুগ্রহ দিয়ে ধন্য করেন। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু।"
--[সূরা ইউনুস ১০, আয়াত ১০৭]
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on July 17, 2016, 09:42:06 AM
 "দায়িত্বশীলতা"

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

"প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল। সুতরাং প্রত্যেকেই অবশ্যই তার অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জবাবদিহী করবে।একজন পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। অতএব, সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের দায়িত্বশীল। কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে।তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। অতএব, প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।"

***বুখারীঃ ৮৯৩।
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on July 20, 2016, 08:09:37 PM
“মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদের ফিরিয়ে নেব এবং এ মাটি থেকেই তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব।”
.
—[সূরাঃ- তা'হাঃ: ৫৫]
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: Md. Zakaria Khan on August 09, 2016, 03:07:11 PM
জাহান্নামের ৬ নারী!! ১. ঐ নারী যে মাথার চুল খুলে বেপর্দা হয়ে ঘর থেকে বাহির হয়। ২. ঐ নারী যে তার স্বামীর সাথে তর্ক করে এবং স্বামীকে সম্মান করেনা। ৩. ঐ নারী তার স্বামী থাকার সত্বেও পর পুরূষের সাথে হাসি তামাশা ও কুকর্মে লিপ্ত হয়। ৪. ঐ নারী সে অপবিত্র থাকার সত্বের পবিত্রতা অর্জন করতে অলসতা করে এবং নামাজের অমনোযগী। ৫. ঐ নারী যে মিথ্যা কথা বলে এবং গীবত বলে রেড়ায়। ৬. ঐ নারী যে অন্যের সুখ দেখে হিংসা করে এবং উপকার করে খোটা দেয়। অাল্লাহ অামাদের মা-বোনদের এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে হেফাজত করেন... (((আমিন))
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: kanis on November 16, 2016, 06:42:07 PM
Thank u Sir for sharing....
Title: Re: ইসলামে নারীর অধিকার
Post by: smriti.te on December 09, 2016, 12:39:06 PM
Good to know...thank u..