Daffodil International University
Faculty of Engineering => Textile Engineering => Topic started by: naser.te on August 01, 2016, 09:47:25 PM
-
১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সাশনে পুর্ব বাংলায় ৩৩টি উইভিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় । এই স্কুল গুলো করা হয়েছিল বাংলার চলমান বস্র শিল্পে কিছু সংখ্যক টেকনিশিয়ান নিয়োগদানের উদ্দ্যেশ্যে। সেই সময়ে এই স্কুল গুলোতে মাত্র ছয় মাসের একটি আর্টিসান লেভেল কোর্স করানো হতো। এই ৩৩ টি স্কুল বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা সহ প্রায় ৩৩টি লোকেশনে গড়ে উঠেছিল। ছাত্র ততটা ছিলো না বলা চলে। তবু আস্তে আস্তে চলছিলো এই প্রতিষ্ঠান গুলো। সাথে সাথে বেড়ে চলছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ জনশক্তি।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে সেই একই আইনে ব্রিটিশ সরকার নতুন আরেকটি উইভিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকার নারিন্দায়। সেখানে আর্টিসান লেভেল ছয়মাসের কোর্স করানো হতো। অর্থাৎ অই ৩৩ টির সমান পর্যায়ের । সেই সব স্থান থেকে কেবল মুষ্টিমেয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ টেকনিশিয়ান বের হয়ে এসেছিল।
১৯৩০ এর পর ৩৩টি স্কুলের কিছু কিছু আপগ্রেড করে একবছরের কোর্সে উন্নীত করা হয়। ১৯৫০ সালে নারিন্দার সেই উইভিং স্কুল কে পুর্ব পাকিস্তান টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউট নাম দিয়ে ডিপ্লোমা কোর্সে উন্নীত করা হয়। ১৯৬০ সালে এই প্রতিষ্ঠান কে বর্তমান ক্যাম্পাস তেজগাঁও শিল্প এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৭৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান কে ডিগ্রী বা স্নাতক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। তখন এর নাম দেয়া হয় কলজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি।
১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ সালে ৩৩টি উইভিং স্কুলের কোনো কোনোটিতে চালু হয় দুই বছরের টেক্সটাইল টেকনোলোজী কোর্স। কিন্তু এই কোর্স্ শিল্প কারখানায় তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।তাই ১৯৯৩ সালে চালু হয় তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স। এটি এক যোগে ছয়টি ইনষ্টিটিঊটে চালু হয়। এগুলো যথাক্রমে বেগমগঞ্জ, জোরারগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরশাল, দিনাজপুর ও রংপুর টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউট।
২০০১ সালে এই ডিপ্লোমা কোর্স কে চার বছরে উন্নীত করা হয় এবং ২০০৭ সালে স্নাতক কোর্স চালু হয়। বর্তমানে শধু মাত্র টাঙ্গাইল , দিনাজপুর এবং বরিশাল এই তিনটি প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা চালু আছে আর বাকি গুলোয় শুধু মাত্র স্নাতক কোর্স চালু আছে। এই সব কলেজ থেকে এখনো বের হয়ে আসছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ কিছু ব্যক্তি।
বর্তমানে কতজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ দক্ষ মানুষ এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আসছেন? এটা আসলে বলা মুশকিল তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেক্সটাইল বিশ্বব্দ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তেজগাঁওয়ের সেই টেক্সটাইল কলেজটি। এটি-ই প্রথম টেক্সটাইল কলেজ এবং প্রথম টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থী এখান থেকে বের হয়েছে তা হিসেব করা খুব মুশকিল ৷
-
Thank you for shearing.