Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Topic started by: sadiur Rahman on August 29, 2016, 01:30:30 PM
-
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের ফায়ার সার্ভিসের সামনের ফুটপাতে এনার্জি সেভিং লাইটস বিক্রি হচ্ছে। সাথে একটা সাউন্ড বক্সে রেকর্ড করা হয়েছে কিছু। সেই সাউন্ড বক্সে অনবরত বলে যাচ্ছে, 'শুধু কম্পানির প্রচারের জন্য ৩০০ টাকার এনার্জি বালবগুলি পাচ্ছেন মাত্র ১০০ টাকায়'। একই কথা বারবার বলে যাচ্ছে রেকর্ডিং প্লেয়ার। কালের কণ্ঠে এমন একটি সংবাদ প্রকাশের পর প্রচুর ব্যবহারকারী এই এনার্জি লাইটগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি মন্ত্রণালয় এসব বাতির বিষয়ে একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে। মান পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন হলে বিএসটিআই এসব বাতির মান নিয়মিত পরীক্ষা করবে।
ভাই এত কম দামে দিচ্ছেন কেন লাইটগুলো? মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের একজন বিক্রেতার নিকট এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা কম্পানির প্রচারের জন্য। লস করে আপনাদের কম্পানির প্রচার কতদিন করবেন? বিক্রেতা হাসলেন। কথা বলেন না। আচ্ছা বলেন, আপনাদের প্রচার কবে শেষ হবে, আমি তো আপনাকে দুই বছর ধরে লস করে বাতিগুলো বিক্রি করতে দেখছি? বিক্রেতা এবার একটু মুখ প্রসারিত করেই হাসলেন। বললেন ভাই আমাদের প্রচার তো শেষ হবে না। এই বাতি সম্পর্কে খবর প্রকাশ করার পর শরীফ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, এই লাইটগুলো নষ্ট সার্কিট থেকে রিপেয়ার করে বিক্রি করা হয়। গুলিস্তান, নবাবপুর, কাপ্তান বাজার, পাটুয়াটুলীতে এই লাইটগুলো ৪৫ টাকা থেকে পাইকারি মুল্যে বিক্রি হয়। ৩২ ওয়াট লাইটে ১০ ওয়াট ও আলো নাই। অর্ধবৃত্ত নামের একজন মন্তব্য করেছেন, '৩০০ টাকার বাত্তি ১০০ টাকায়, আর আলো দেয় ৫০ টাকার। পুরাই ধোঁকাবাজি। আমি নিজে ধরা খাইছি। ১০০টাকার ৩টা ৩৩ ওয়াটের বাত্তি লাগাইয়া রুমে অন্ধকার মনে হয়। অথচ ফিলিপসের ২৪ ওয়াট একটাই ঝাক্কাস আলো দিতাছে। কথায় আছে, জিনিস যেটা ভালো, দাম তার একটু বেশিই।' জিসান নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'এই লাইট এর আলো অন্য যে কোনো এনার্জি বাল্ব এর চেয়ে অনেক কম। আমি কিনে দেখেছি। তাই এত কম দামে দেওয়া যায়।' জানা গেছে, এসব বাতি নবাবপুর ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রি করে প্রতিটি বাতিতে ৩০-৩৫ টাকা লাভ থাকে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। বুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান বলেন, নিম্নমানের সিএফএল বাতির আবরণ ভালো থাকে না। এসব বাতি থেকে অতিবেগুনি রশ্মি নির্গত হয়। এই বাতিগুলো কাছ থেকে ব্যবহার করলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বাতির ভেতরে পারদসহ কিছু ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। বাতি ভেঙে গেলে এসব পদার্থ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
Source : http://www.kalerkantho.com/online/national/2016/08/28/398875#sthash.YiCLIUis.ApqbcfEE.dpuf
-
A timely post.
-
:o
-
বাতির প্রচারে অসহ্য জনতা এখন। >:(
-
Total waste of money >:(
-
Very helpful post...