Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: rumman on September 03, 2016, 05:57:35 PM
-
যে কেউ যে কোন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারে। ইলেকট্রিক শকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। ফলে শরীর অবস হয়ে পড়ে এবং কাঁপুনি আসে ও হঠাৎ করেই কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয় (যদিও এটি বিরল)। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে আক্রান্ত অঙ্গ পুড়ে যেতে পারে বা ক্ষত হতে পারে। বৈদ্যুতিক শক তীব্র ক্ষমতার হলে হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে অ্যারিথমিয়া বা ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন হতে পারে। যার ফলে হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যাটাক এবং মৃত্যুও হতে পারে। বৈদ্যুতিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানলে জীবন রক্ষা করা যায়। চলুন জেনে নিই বৈদ্যুতিক শকের প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে।
১। বৈদ্যুতিক শকে আক্রান্ত কাউকে সাহায্য করার জন্য যাওয়ার আগে চারপাশে ভালো করে দেখে নিন। আশেপাশে পানি ও লোহা থাকলে তা বিপদজনক হয়। কারণ পানি ও লোহা বিদ্যুৎ পরিবাহী। সেক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য দ্রুত ইমারজেন্সি হেল্প লাইনে ফোন দিন।
২। আক্রান্ত মানুষটিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে দূরে সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। বৈদ্যুতিক উৎসের পাওয়ার অফ করে দিন অথবা ডিভাইসটি আন প্লাগ করুন। যদি এটি না করতে পারেন তাহলে শুকনো ও অপরিবাহী কোন উপাদানে তৈরি যেমন – কাঠের টুলের উপর দাঁড়িয়ে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে ব্যক্তিকে আলাদা করার চেষ্টা করুন। কখনো খালি হাতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করবেন না তাহলে আপনার ও শক লাগতে পারে।
৩। বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে আনার পর একটি স্থানে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিন এবং হাতের উপর মাথা রাখুন। হাঁটুগুলো মুড়ে দিন এবং চিবুক উঁচু করে শ্বাস পরীক্ষা করুন।
৪। আক্রান্ত ব্যক্তির যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে এবং ছোটখাট পোড়া হলে টেপের পানির নীচে ধুয়ে নিন। পরনের কাপড় ঢিলা করে দিন।
৫। যদি রক্তপাত হয় তাহলে শুষ্ক ও পরিষ্কার কাপড় রক্তপাতের স্থানে রেখে চাপ দিন যাতে রক্তপাত বন্ধ হয়।
৬। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকমত না চললে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করুন।
বৈদ্যুতিক শকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে তাকে সুস্থ মনে হলেও।