Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: riazur on September 27, 2016, 05:54:28 PM
-
প্রচুর কম্পিটিশন এর মধ্যে দিয়ে এস.এস.সি, এইচ এস সি পার করে আমাদের দেশের ছেলেমেয়রা। তারপর মেধা যাচাই এর কোন বালাই নেই, কারন লিখিত আর ভাইভা পার হয়ে গেলেও কয়েক মার্কস এর জন্য ওয়েটিং লিস্টে পরে থাকতে হয়। ভালো নাম করা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়ার খরচ এতো বেশী যে সবার সাধ্যের মধ্যে খাকে না।সব জায়গায় ঢালাও ভাবে পরিক্ষা দিয়ে অবশেষে যেখানে ভাগ্য খুলবে সেখানেই সই। হয়ত পড়ার ইচ্ছা ছিল ইন্টারন্যাশনাল এফ্যেয়ার নিয়ে কিন্তু মার্কস আর ফলাফল মিলে দর্শন এ চান্স পাওয়া যেতে পারে, অগত্যা সেখানেই এডমিশন। সাবজেক্ট যেটাই হোক দেশের বড় বিদ্যাপিঠ বলে কথা।
আর্টস, কমার্স না সায়েন্স?
সায়েন্স এ রেজাল্ট ভালো হয়নি বলে সাবজেক্ট চেঞ্জ করে কমার্স কিংবা আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করাটা একটা সাধারন ঘটনা। একাউন্টিং এ পড়লে চাকরির অভাব হবে না, কিন্তু…………লজিক আর অঙ্কের মাথা ভালো না হলে তো ডাব্বু খেতে হবে। এটা তো আর ইতিহাস কিংবা গার্হস্থ না যে কলমের খোঁচাতে দু’এক নম্বরে টেনেটুনে পাস। তাহলে সেটাই সই……। পাস ফেল এর ঝুঁকি না বাড়িয়ে অগত্যা আর্টস। বাকিটা দীর্ঘ পথ ইতিহাস, বাংলা,দর্শন, অর্থনীতি, ইংরেজি ইত্যাদি বইয়ের পাতার উপর পাতা মুখস্থ আর চশমার পাওয়ার বাড়ানো।
বিএ, বি এস এস, অনার্স, মাস্টার্স, বি বি এ, এম বি এ …এরপর কি?
বিসিএস, সেতো বছর বছর যেন যোগ্যতার পরীক্ষা আর ভাগ্যের লটারি। ইতিহাসের ছাত্রী, কর্মক্ষেত্রে এসে ইতিহাসের শিক্ষিকা হওয়া ছাড়া তার যোগ্যতার সাথে মেলে এমন পেশা খুঁজে পাওয়া যেন একটা গোলক ধাঁধাঁ। কিন্তু থেমে থাকলে তো চলে না। যুগের সাথে তাল মেলাতে হবে। আরও কিছু প্রশিক্ষণ, কিছু ডিপ্লোমা কোর্স, বাস্তব জীবনে চলার জন্য আবার যোগ্যতার জন্য কিছু সার্টিফিকেট এর পেছনে ছুটোছুটি। কিছু সংখ্যক ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পদে, কিছু সংখ্যক সরকারি কিছু পদে, কিছু সংখ্যক মালটি-ন্যাশনাল কোম্পানিতে একটা মোটামুটি সম্মানির ডেস্ক জবে। এই জবগুলতে অনেক চ্যেলেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে হয় প্রতি পদে পদে। কিন্তু সেই অনুযায়ী সম্মানি এবং সুযোগ সুবিধা খুব ই কম থাকে।
কিন্তু একজন শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারের আরও অনেক স্বপ্ন থাকে।ছেলেমেয়েকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেকচার বানানোর স্বপ্ন।একটি ভালো মাইনের চাকরীর স্বপ্ন। আমার দেখা অনেক ডিজাইনার, ডেভেলপার নিজেদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বুদ্ধিমানের মতো বেছে নিয়েছে আইটি ক্যারিয়ার। আইটি তে এখন চাইলেই মেধা আর ইচ্ছাশক্তি কে কাজে লাগিয়ে যে কেউ হতে পারে একজন বেস্ট ওয়েব ডিজাইনার, ইউ এক্স ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ওয়েব ডেভেলপার ।
বাংলাদেশের জব মার্কেটে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তার ক্যারিয়ার ত্রিশ হাজার থেকে শুরু করে মাত্র দু এক বছরেই দেড়, দু’লাখ টাকা পর্যন্ত অর্জন করতে পারে। দিন দিন কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বেতন’ও বাড়তে থাকে।
একজন ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ইউ এক্স ইঞ্জিনিয়ার বিশ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে।দিন দিন অভিজ্ঞতার উপর তার বেতন ও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে অনেকেই লাখ লাখ টাকা আয় করে।
আইটি জবগুলো দিতে পারে একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় জীবনের প্রতিস্রুতি। বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর চাহিদা আছে। মারকেটপ্লেস গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় বাজারে আইটি জবস এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই, গতানুগতিক পড়াশোনার দৌড়ে হয়ত গ্রেডিং এর দিক দিয়ে তুমি পিছিয়ে আছ, কিন্তু ক্যারিয়ার এর দিক দিয়ে তুমিও পারো প্রথম সারির একজন হতে!
-
thank you!