Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: farjana aovi on October 13, 2016, 02:14:30 PM
-
পেয়ারা, অত্যন্ত পছন্দের একটি ফলের নাম। সুমিস্ট এই ফলটি আমরা প্রায় সবাই পছন্দ করি। পেয়ারা একটি সবুজ বেরী জাতীয় ফল, তবে লাল রঙয়ের পেয়ারাও পাওয়া যায় যা লাল আপেল নামে পরিচিত।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava. প্রায় ১০০টির মত প্রজাতি রয়েছে পেয়ারার। অসাধারণ পুস্টিগুণে ভরপুর দেশীয় এই ফলটি, আমাদের দেশে অহরহ জন্মে থাকে। বিভিন্ন রকম রোগ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঠান্ডা-কাশি, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন কমানো, ত্বকের যত্নে এর জুড়ি নেই। পেয়ারার বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি জন্মাতে অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না যেমনটা প্রয়োজন হয় আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি বিদেশী ফলে।পেয়ারার স্বাস্থ্যগু্ণ:
ওজন কমাতে ও বাড়াতে
অবাক করার মত ব্যপার হচ্ছে পেয়ারা দেহের ওজন কমাতে ও বাড়াতে অর্থাৎ দুক্ষেত্রেই সাহায্য করে। এটি নির্ভর করে আপনি কিভাবে এটি গ্রহন করছেন। যারা ওজন কমাতে চান তারা কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই এটি গ্রহন করতে পারেন। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল। তাই আপনাকে ওজন কমাতে এইসব খাদ্য-উপাদানের সাথে কোন প্রকার আপস করতে হবে না। কারণ এতে কোন কোলেস্টরল নেই আর কারবোহাইড্রেডও রয়েছে খুব অল্প পরিমাণে। কাঁচা পেয়ারাতে সুগারের পরিমাণ খুব কম থাকে অন্যান্য ফলের তুলনায়। তাই ওজন কমানোর ডায়েট চার্টে এটি রাখতে পারেন অনায়াসে।
অন্যদিকে আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে দুপুরের খাবারের সাথে একটি মিডিয়াম সাইজ পেয়ারা যোগ করতে পারেন, এতে রয়েছে অসাধারণ মেটাবোলিজম গুণ যা আপনাকে সঠিকভাবে পুস্টি শোষণে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
পেয়ারায় আছে প্রচুর ভিটামিন এ, আমরা সবাই জানি ভিটামিন-এ চোখের জন্য কত উপকারী। এটি চোখকে ছানি পরা থেকে রক্ষা করে, চোখের পেশী ও স্বাস্থ্য ভাল রাখে। যাদের চোখে ইতিমধ্যে সমস্যা হয়ে গিয়েছে তাদের চোখের সমস্যা আরও বাড়তে বাঁধা দেয়ার পাশাপাশি এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
পেয়েরার আরেকটি অসাধারণ গুণ হচ্ছে এতে রয়েছে B3 এবং B6 ভিটামিন। B3 রক্তের সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে আর B6 ব্রেইন ও নার্ভ এর জন্য অত্যন্ত উপদায়ক ভিটামিন। তাই পেয়ারা আপনার ব্রেইন ফাংশনকে ভাল রেখে আপনাকে করবে অধিক বুদ্ধিদীপ্ত।
ত্বকের যত্নে
অত্যন্ত উন্নতমানের বিভিন্ন বিউটি ক্রিম ও টোনার থেকেও বেশ ভালো কাজ করে পেয়ারা। এটি ত্বকের টেক্সচার ইমপ্রুভ করতে সাহায্য করে।কচি পেয়েরা ও পেয়ারা পাতাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সংকোচক পদার্থ যা স্কিনের পেশীকে দৃঢ়তা দেয়। এটি ত্বকের টোনার হিসেবে কাজ করে ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে
রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পেয়েরার জুড়ি নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি উত্তম খাবার, এতে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার যা দেহের ইনসুলিন ও গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
প্রোসটেইট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওরাল ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে পেয়ারা বেশ কার্যকরী, এটি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়।
এটি কপারের ভাল উৎস বিধায় থাইরয়েড কোষের মেটাবোলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয় রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও পেয়ারা বেশ উপকারী।
তাই সাশ্রয়ী মূল্যের এই মৌসুমী ফলটি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করে ফেলুন আজই।
-
very informative
-
Good Fruit
-
nice to know.
-
Informative post ...........
-
ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ও মিনারেল থাকে পেয়ারায়। বিশেষ করে ভিটামিন সি। অনেকের ধারণা লেবুতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন থাকে। কিন্তু বহু লোক জানেন না, একটি পেয়ারায় লেবু বা কমলার চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধও পেয়ারা। পাতিলেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ থাকে পেয়ারায়। এ ছাড়াও পেয়ারায় থাকে ভিটামিন B2, ভিটামিন K এবং E। শুধু ভিটামিনই নয়, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেরাস, লোহা, তামা, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো প্রচুর খনিজও থাকে এই ফলে। পেয়ারার আরও একটি সুবিধে হল, এই ফলের চাষ করতে রাসায়নিক প্রয়োজন হয় না। ফলে সব সময়ই খাঁটি। রোজ খাওয়ার পর দিনে একটি পেয়ারা খেতে পারলে ডায়াবেটিস ধরে না। ব্লাড সুগার নর্মাল করে দেয়।
-
পেয়ারা আমার প্রিয় ফল