Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: Shakil Ahmad on October 26, 2016, 01:55:40 PM

Title: দুই নতুনের লক্ষ্য
Post by: Shakil Ahmad on October 26, 2016, 01:55:40 PM
কদিন আগেও দুজনই ছিলেন চট্টগ্রামে। খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। অবশ্য একই হোটেলে থেকেও বাংলাদেশ টেস্ট দলের সঙ্গে তাঁদের যেন বিস্তর দূরত্ব ছিল! দুজন কেউ যে ছিলেন না চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াডে। তবে ঢাকা টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শুভাশিস রায়। কাল দুপুরেই দুজন যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে।
গত বছর জাতীয় লিগে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন মোসাদ্দেক। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০১৫ সালটা তাঁকে দুহাত ভরিয়ে দিয়েছে। তিনটি ডাবলসহ সেঞ্চুরি করেছেন ছয়টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির মতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি তাঁরই। এমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখে ভাবা হচ্ছিল, টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে পারে মোসাদ্দেকের।
যদিও মোসাদ্দেকের অভিষেক হয়েছে টি-টোয়েন্টি দিয়ে, গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। গত মাসে আফগানিস্তান সিরিজে ওয়ানডে অভিষেকটাও হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্করণে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির কারণেই হয়তো টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা হয়নি তাঁর। তবে এবার মোসাদ্দেকের সুযোগ এসেছে টেস্টের স্বাদ নেওয়ার। সুযোগটা তিনি কাজে লাগাতে প্রস্তুত, ‘আসলে তেমন বড় কোনো লক্ষ্য নেই আমার। লক্ষ্য শুধু নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলা। এটা টেস্ট। আগ থেকে বলতে পারব না ম্যাচ জিতিয়ে দেব বা এমন কিছু করব। চেষ্টা করব যেমন ব্যাটিং করি তেমনই করতে। অনেক সময় ধরে ব্যাটিং করা, ভালো একটা জুটি গড়া বা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করাই আসলে লক্ষ্য।’

অভিষেকেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চমকে দেওয়ার উদাহরণ কম নেই। সর্বশেষ উদাহরণ মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। চট্টগ্রাম টেস্টে ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে সাব্বিরের লড়াকু ইনিংসটা অনুপ্রাণিতই করছে মোসাদ্দেককে, ‘ব্যাটিংয়ের ধরন চিন্তা করলে সাব্বির আর আমার মোটামুটি এক রকমই। এর আগে জাতীয় লিগে ভালো খেলেছি। চতুর্থ দিনে কীভাবে খেলতে হয় ধারণা আছে। সে যদি তুলনামূলকভাবে চার দিনের ম্যাচ কম খেলে এত ভালো খেলতে পারে, তাহলে একাদশে সুযোগ পেলে আমি পারব না কেন?’

ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই চেনা মুখ শুভাশিস। ২০০৭ সালের নভেম্বরে অভিষেকের পর খেলে ফেলেছেন ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। নিয়েছেন ১৩৬ উইকেট। গত মাসে মিরাজের সঙ্গে খেলেছেন জাতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচগুলো। তখনই বোঝা হচ্ছিল নির্বাচকদের নজরে বেশ ভালোভাবেই আছেন ২৭ বছর বয়সী এ পেসার। শুভাশিসও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যেকোনো সময় ডাক পেতে পারেন জাতীয় দলে, ‘প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি, একটু রোমাঞ্চ তো কাজ করছেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছিলাম। একটা আশা ছিল, যেকোনো সময় ডাক পেতে পারি। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছি। একাদশে সুযোগ পেলে নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করব।’