Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Cold / Flu => Topic started by: yousuf miah on February 01, 2017, 01:09:48 PM
-
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে সিজনাল ইনফেকশন হয়। একটি সাধারণ সিজনাল ইনফেকশন হচ্ছে ভাইরাস জ্বর। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পূর্বে কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সহজলভ্য এবং ভাইরাস জ্বর নিরাময়ে অনেক কার্যকরী।
১। ধনেপাতা
ধনেপাতার বীজে ভিটামিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ এবং ক্ষমতাশালী এসেনশিয়াল অয়েল থাকে যা ভাইরাসের ইনফেকশন দূর করতে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে ১ গ্লাস পানি এবং ১ টেবিলচামচ ধনে বীজ নিন। এই মিশ্রণটি গরম করুন। তারপর এটিকে ঠান্ডা হতে দিন এবং ছেঁকে নিন। এবার এর মধ্যে সামান্য দুধ ও চিনি মেশান। চায়ের মত পান করুন। এই পানীয়টি ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
২। তুলসি পাতা
ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এবং ব্যপক ব্যবহৃত প্রাকৃতিক প্রতিকারটি হচ্ছে তুলসি পাতা। ব্যাকটেরিয়া রোধী, ছত্রাকরোধী, জীবাণুরোধী, এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় তুলসি পাতা ভাইরাস জ্বরের শক্তিশালী প্রতিকার। এছাড়াও তুলসি পাতা আপনার ইমিউনিটির উন্নতিতে সাহায্য করে। ১ লিটার পানিতে ২০ টির মত পরিষ্কার ও তাজা তুলসি পাতা এবং আধা চামচ লবঙ্গ গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটির পানির পরিমাণ অর্ধেকে কমে যাওয়া পর্যন্ত ফুটাতে থাকুন। প্রতি ২ ঘন্টা পর পর এই পানীয়টি পান করুন।
৩। ভাতের মাড়
অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাস জ্বর নিরাময়ের জন্য ভাতের মাড় ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিকারটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকেও উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে। এটি একটি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবেও কাজ করে, বিশেষ করে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। ১ কাপ চালে ১ বা আধাকাপ পানি দিয়ে তাপ দিন। চালগুলো যখন অর্ধেক রান্না হবে তখন পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার এই তরলের সাথে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে উষ্ণ থাকা অবস্থায় পান করুন ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে।
৪। শুষ্ক আদার মিশ্রণ
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আদা। এতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ব্যথানাশক উপাদান থাকে যা ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের শুকনো আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। ১ কাপ পানিতে ২ টুকরো শুকনো আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
৫। মেথির পানি
ঔষধি যৌগ যেমন ডাইওসজেনিন, স্যাপোনিন এবং অ্যাল্কালয়েড থাকে মেথিতে। এছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত উপসর্গ এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে মেথিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের যৌগ। ১ টেবিলচামচ মেথিবীজ আধাকাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে দ্রবণটি ছেঁকে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর পান করুন। মেথি বীজের গুঁড়াও খেতে পারেন।
সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট