Daffodil International University
General Category => Common Forum => Topic started by: khyrul on March 05, 2017, 07:35:13 PM
-
কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর অন্য প্রচলিত নাম আলুই । বাংলাদেশে কালমেঘ/কালপানাস, আসামে- চিরতা, আরবীতে- কুচবুড়া, মারঠিতে- ওলি-কিরোতা, চায়নাতে- চুন জিন লায়া। অকেনথেসি বর্গের অন্তর্ভুক্ত এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম অ্যান্ড্রোগ্রাফিস পানিকুলাটা । বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে এই গাছ জন্মায়।এটি একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। গড় উচ্চতা ১ মিটার।এর শাখা চতুষ্কোণ এবং পাতা বল্লমাকৃতির হয়ে থাকে। ফুল ক্ষুদ্রাকার। অল্প পরিমাণে বিক্ষিপ্ত গুচ্ছে ফুল ফোটে। ১ সে.মি. লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে দু সে.মি. লম্বা ফল অনেকটা চিলগোজার মতন দেখতে। শিকড় ব্যতীত কালমেঘ গাছটির সব অংশই ঔষুধের কাজে লাগে। কালমেঘ অত্যন্ত তেতো এবং পুষ্টিকর।
মানব দেহের রোগ প্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি করে। জ্বর, কৃমি, আমাশয়, সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা এবং বায়ু আধিক্যে কালমেঘ অত্যন্ত উপকারী। শিশুদের যকৃৎ রোগে এবং হজমের সমস্যায় কালমেঘ ফলপ্রদ। কালমেঘের পাতা থেকে তৈরি আলুই পশ্চিম বাংলার ঘরোয়া ঔষুধ বা পেটের অসুখে শিশুদের দেয়া হয়। টাইফয়েড রোগে এবং জীবাণুরোধে কালমেঘ কালমেগ কার্যকরী। সাধারণ একটা বিশ্বাস ছিল যে সাপের কামড়ে কালমেঘ খুব উপকারী। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, কথাটা ভুল। কোথাও কোথাও কালমেঘ গাছ বেটে সরষের তেলে চুবিয়ে নিয়ে চুলকানিতে লাগানো হয়। গাছের পাতার রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভার রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। কালমেঘ গাছের পাতার রস জ্বর, কৃমি, অজীর্ণ, লিভার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা শিশুদের বদহজম ও লিভারের সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যবহার করছে। এ গাছের রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক ও রেচক হিসেবেও কাজ করে। আবার এ গাছের পাতা সিদ্ধ করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে ঘা-পাঁচড়া জাতীয় রোগ দূর হয় বলে আদিবাসীদের বিশ্বাস।
(সূত্র:ইন্টারনেট)
-
Informative..........
-
Nice Writing. It was really informative.